মঙ্গলবার, ১৩ মার্চ, ২০১৮, ০৩:১৯:৪১

বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা নিয়ে কোন রহস্যের বার্তা দিচ্ছে ভারতীয় মিডিয়া?

বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা নিয়ে কোন রহস্যের বার্তা দিচ্ছে ভারতীয় মিডিয়া?

নিউজ ডেস্ক : নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। আর বিধ্বস্তের ঘটনা নিয়ে রহস্যের গন্ধের আভাস দিচ্ছে ভারতের জনপ্রিয় এক সংবাদ মাধ্যম।

বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা নিয়ে কোন রহস্যের বার্তা দিচ্ছে ভারতীয় মিডিয়া? নিচে তাদের এই সংবাদটি হুবুহু তুলে ধরা হলো…

‘কোনও সমস্যা নেই’। কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে ভেঙে পড়া অভিশপ্ত বিমানটির পাইলটের এই ছিল শেষ বার্তা। তারপরই চালকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায় ‘এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের’। সংক্ষিপ্ত এই বার্তাই কিন্তি উসকে দিয়েছে জল্পনা। বিমানে নির্দিষ্ট কোনও গোলযোগ থাকলে তা কী করে পাইলটের চোখ এড়িয়ে গেল? উঠছে এমন প্রশ্নই।

রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শীর্ষ আধিকারিক রাজ কুমার ছেত্রী বলেন, “বিমানবন্দরে নামার অনুমতি পাওয়ার পর উড়োজাহাজটির পাইলট জানান, তিনি উত্তর দিকে অবতরণ করতে চান। তখন কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে জানতে চাওয়া হয়, সব ঠিকঠাক আছে কি না? এর জবাবে পাইলট জানিয়েছিলেন, কোনও সমস্যা নেই। অবতরণের আগে দুবার আকাশে চক্কর দেয় বিমানটি।

আবার এটিসি থেকে জানতে চাওয়া হয়, সবকিছু কি ঠিক আছে? জবাবে পাইলট জানান, অল ইজ ওয়েল।” ছেত্রীর সংযোজন, এরপরই অবতরণে সমস্যা দেখে এটিসি থেকে পাইলটকে জানিয়ে দেওয়া হয়, উড়োজাহাজটি ঠিকভাবে অবতরণ করছে না। কিন্তু এই বার্তার কোনও জবাব পাইলটের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। এরপর থেকে কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে পাইলটের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

ঘটনার জন্য কে দায়ী তা নিয়ে নানা সূত্র খোঁজার চেষ্টা হয়েছে। এমনই পরিস্থিতিতে ছেত্রীর এই বয়ান উসকে দিয়েছে বহু প্রশ্ন। সাধারণত বিমানে যান্ত্রিক গোলযোগ হলে তা সেন্সরের মাধ্যমে পাইলটের জানার কথা। কিন্তু এবার সেরকমটা হয়নি কেন? অবতরণের সময় কেন এটিসি-র সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেননি চালক? সহ-চালক তখন কী করছিলেন? এসব প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। এই প্রশ্নগুলির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে রহস্য সমাধানের পথ।

এমনই মনে করছেন তদন্তকারীরা। সোমবার, কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাংলাদেশের একটি যাত্রীবাহী বিমান। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় অন্তত ৫০ জন যাত্রীর। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটির দুর্ঘটনার জন্য কাঠমান্ডুর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকেই দায়ী করছে বিমানসংস্থাটি।

তবে পালটা পাইলটদের বিরুদ্ধেই গাফিলতির অভিযোগ জানিয়েছে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কতৃপক্ষ। একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে বিমানটির যে রানওয়েতে অবতরণ করার কথা ছিল, সেখানে না নামার ফলে এমন বিপত্তি। ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা হতে চললেও দুর্ঘটনার কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা জারি রয়েছে।

এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে