রবিবার, ১৮ মার্চ, ২০১৮, ০১:৩৫:১৫

তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে রাজনীতি, তিন দলেই তরুণ্যের জয়জয়কার

তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে রাজনীতি, তিন দলেই তরুণ্যের জয়জয়কার

আজহার মাহমুদ, রফিকুল ইসলাম রনি ও শফিকুল ইসলাম সোহাগ : বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতৃত্ব। একঝাঁক সাবেক ছাত্রনেতা সংসদে কিংবা বাইরের রাজনীতিতে ভূমিকা পালন করছেন।

প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিতেও তরুণদের জয়জয়কার। একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও কাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তরুণরা। এরইমধ্যে নির্বাচনী মাঠে দৃশ্যমান শোডাউনেও এগিয়ে তারা।

দল ও সংসদে সক্রিয় আওয়ামী লীগের তরুণ নেতৃত্ব :  তরুণরাই গড়বে আগামীর বাংলাদেশ-এমনটাই চান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে কারণেই কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সংসদ ও মন্ত্রিসভায় তরুণদের রাখছেন তিনি। অপেক্ষাকৃত যেসব তরুণের প্রতি তিনি আস্থা রাখছেন, তারা দলের রাজনীতি, সংসদ ও মন্ত্রণালয়ে মেধা ও সাংগঠনিক দক্ষতার প্রমাণ দিচ্ছেন।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় একশ আসনে তরুণ প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। তারুণ্য ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তি কাজে লাগানো এবং নৌকার গণজোয়ারে প্রথমবারের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তারা। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকায় নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রাখা এবং জাতীয় সংসদে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হন তারা।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে তরুণদের প্রাধান্য দেয়া হয়। দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত করা হয় প্রায় ৩০ জনের মতো সাবেক ছাত্রনেতাকে। দলের নীতি নিধার্রকদের মতে, তরুণদের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সক্রিয় করা মানেই বয়স্কদের বাদ দেয়া নয়। বরং নতুন ও পুরনোর যৌক্তিক সংমিশ্রণ ঘটানো।

মেধাবী ও যোগ্য তরুণদের আরও অংশগ্রহণের মাধ্যমেই দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে চান তারা। ২০০৯ সালের সম্মেলনে অপেক্ষাকৃত তরুণরাই পেয়েছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের দায়িত্ব। এ পদে এসেছিলেন আহমদ হোসেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, বি এম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তারাও তিন মেয়াদে দলের একই দায়িত্বে রয়েছেন।

২০১৬ সালের অক্টোবরের সম্মেলনে সাংগঠনিক সম্পাদকদের দায়িত্ব পান একেএম এনামুল হক শামীম ও ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এনামুল হক শামীম স্কুল ছাত্রলীগ নেতা থেকে জাকসুর ভিপি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দুই মেয়াদে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। এবারই সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হয়ে চট্রগ্রাম বিভাগের দায়িত্ব পালন করছেন।

চট্রগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র জননেতা প্রয়াত মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর ছেলে ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রথমবার দলের পদে এসে ঢাকা বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছেন। দলে তিন মেয়াদে উপ-প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নব্বইয়ের ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা অসীম কুমার উকিল। তিনি বর্তমানে দলের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।

দলে প্রথমবারের মতো স্থান পেয়েই সম্পাদকমণ্ডলীর পদ পেয়েছেন ড. শাম্মী আহমেদ ও ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। ২০১৬ সালের অক্টোবরে জাতীয় কাউন্সিলের সময় যখন কমিটি ঘোষণা করা হয়, তখন তাদের দুজনকেই সদস্য করা হয়। কিছুদিন পরই পর্যায়ক্রমে দুজনকে পদোন্নতি দিয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মনোনীত করা হয়।

ড. শাম্মী আহমেদকে দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে উপ-দফতর সম্পাদক মনোনীত করা হয়। আবার প্রথমবারের মতোই দলের চমক হিসেবে পদ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন। তিনি বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। দলের উপ-প্রচার সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন আরেক তরুণ নেতা আমিনুল ইসলাম আমিন।

এ ছাড়া আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পাদকমণ্ডলী ও কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতাদের মধ্যে রয়েছেন সুজিত রায় নন্দী, মো. আবদুস সবুর, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, রিয়াজুল কবির কাওছার, গোলাম কবীর রাব্বানী চিনু, আনোয়ার হোসেন, ইকবাল হোসেন অপু, মারুফা আকতার পপি। বয়সে তরুণ না হলেও দলের সর্বস্তরের নেতার কাছে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস ছড়াচ্ছেন যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান।

এ ছাড়া ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ছেলে বর্তমান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির তরুণ মেয়র হিসেবেই পরিচিত দেশব্যাপী। তারুণ্যের উদ্দীপনা দেখা যায় নারায়ণগঞ্জের এমপি এ কে এম শামীম ওসমানের মধ্যেও।

শুধু কেন্দ্রীয় রাজনীতিই নয়, মন্ত্রিসভার তরুণ সদস্যরাও দক্ষতার সঙ্গে মন্ত্রণালয় পরিচালনা করছেন। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন মির্জা আজম এমপি। তিনি যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মেধা ও দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।

প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রীর পাশাপাশি সংসদে তরুণ এমপি হিসেবে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, তাহজীব আলম সিদ্দিকী, রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, জাহিদ আহসান রাসেল, নাহিম রাজ্জাক, হাবিবে মিল্লাত মুন্না, আলী আজম মুকুল, নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, কাজী নাবিল আহমেদ, মনিরুল ইসলাম মনি, জগলুল হায়দার, অনুপম শাহজাহান জয়, পঙ্কজ দেবনাথ, নাইমুর রহমান দুর্জয়, নজরুল ইসলাম বাবু। সংরক্ষিত আসনের অপেক্ষাকৃত তরুণ নেত্রীরাও সংসদে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। এর মধ্যে নুরজাহান বেগম মুক্তা, সাবিনা আকতার তুহিন, আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পীসহ অনেকেই রয়েছেন।

এদিকে জাতীয় পার্টিতেও এগিয়ে তরুণরা। এই দলের পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ তরুণ এমপি হিসেবে সংসদে কার্যকর ভূমিকা রাখছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জাতীয় পার্টির একাধিক তরুণ প্রার্থী হয়েছিলেন। সংসদেও রয়েছেন বেশ কয়েকজন তরুণ এমপি। এরই ধারাবাহিকতায় আগামীতে জাতীয় পার্টিতে অনেক তরুণ মুখ দেখা যাবে। তরুণ নেতৃত্বের মধ্যে সিলেট-৪ আসনের এ টি ইউ তাজ রহমান ও সিলেটের ইয়াহিয়া চৌধুরী দল ও সংসদে ভূমিকা রাখছেন।

বিএনপির কমিটিতে তরুণ নেতৃত্বের জয়জয়কার : দলের ৫০২ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে এবার ঠাঁই পেয়েছেন একঝাঁক তরুণ। একাদশ সংসদ নির্বাচনেও অর্ধশত তরুণ নেতা ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেতে পারেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। দলের কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডেও অগ্রভাগে তারা।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগে একাধিকবার দলীয় অনুষ্ঠানে তরুণদের হাতে নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। তাদের নিয়ে আশার কথাও বলেছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানও অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতা।

জানা গেছে, ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচন থেকেই তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে আসছে বিএনপি। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৫ জনের মতো তরুণ নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১৭ জন এমপির পাশাপাশি কয়েকজন মন্ত্রীও হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও এ ধারা অব্যাহত ছিল।

দলের চরম দুর্দিনেও ওই নির্বাচনে শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফার মতো তরুণ নেতা এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। তবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অর্ধশত তরুণ নেতা মনোনয়ন পেতে পারেন। এরই মধ্যে নেতারা নিজ নিজ সংসদীয় আসনে শোডাউনও করছেন।

বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটিতে গত মেয়াদেই জায়গা করে নিয়েছেন মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মতো যুবনেতা। এবার যুক্ত হয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাউদ্দিন আহমদ। একই অবস্থা দলের উপদেষ্টা ও ভাইস চেয়ারম্যান পদেও। উপদেষ্টা পদে একঝাঁক তরুণ নেতৃত্বের বিস্তৃতি।

ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, আবুল খায়ের ভূইয়া, জয়নুল আবদিন ফারুক, কাজী আসাদ, ফজলুর রহমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, তাহমিনা রুশদীর লুনা, নাজমুল হক নান্নু, আফরোজা খান রিতা, আবদুস সালাম, শাহজাদা মিয়ার মতো সাবেক ছাত্র ও যুবনেতারা স্থান করে নিয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদেও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বরকত উল্লা বুলু, মো. শাহজাহান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদুও ঠাঁই পেয়েছেন।

যুগ্মমহাসচিব পদেও একঝাঁক সাবেক ছাত্রনেতা। সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রুহুল কবির রিজভী। এ ছাড়া ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল এখনো তারুণ্যদীপ্ত নেতা। সাংগঠনিক সম্পাদক পদেও সাবেক ছাত্র ও যুবনেতাদেরই প্রাধান্য।

বিএনপির সাংগঠনিক চালিকাশক্তিতে ফজলুল হক মিলন, অ্যাডভোকেট রুহুল কবির তালুকদার দুলু, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, মাহবুবুর রহমান শামীম, আসাদুল হাবিব দুলু, ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস জাহান শিরিন, শামা ওবায়েদও দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। বিশেষ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা ড. আসাদুজ্জামান রিপনও এককালীন তুখোড় ছাত্রনেতা। প্রচার সম্পাদক পদে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী কাজ করছেন।

আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদেও তরুণ নেতাদের অবস্থান। সেখানে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন, মাহিদুর রহমান, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, ব্যারিস্টার নওশাদ জমির দৃশ্যমান। এ ছাড়া বিভিন্ন সম্পাদকীয় ও সহসম্পাদকীয়তে অবস্থান করছেন একঝাঁক তরুণ নেতা। এর মধ্যে কামরুজ্জামান রতন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, প্রকৌশলী খালেদ মাহবুব শ্যামল, আবু সাঈদ খান খোকন, সাইফুল আলম নীরব, আজিজুল বারী হেলাল, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান।

এছাড়াও সাবেক ফুটবলার আমিনুল ইসলাম, আশরাফ হোসেন উজ্জ্বল, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, মীর সরাফত আলী সপু, মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, ডা. ফাইয়াজ হোসেন শুভ, জি কে গউছ, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, শিরিন সুলতানা, ফরিদ উদ্দিন আহমেদ মানিক, শাহ শরীফ কামাল তাজ, অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, এম এ কাইয়ুম, লুত্ফর রহমান কাজল, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম, শহীদুল ইসলাম বাবুল, হারুন অর রশীদ, শাহীন শওকত, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কলিম উদ্দিন মিলন, জয়ন্তু কুমার কুণ্ডু।

রয়েছেন আ ক ন কুদ্দুসুর রহমান, মাহবুবুল হক নান্নু, আবদুল আউয়াল খান, ওয়ারেস আলী মামুন, শরিফুল আলম, মাশুকুর রহমান মাশুক, সেলিমুজ্জামান সেলিম, আবদুল লতিফ জনি, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, আসাদুল করিম শাহীন, শামিমুর রহমান শামীম, নজরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ফাহিমা মুন্নী, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, বেবি নাজনীন, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম, মনির খান, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, অর্পণা রায়, আফরোজা আব্বাস।

দলে সুলতানা আহমেদ, দীপেন দেওয়ান, জন গোমেজ, অমলেন্দু অপু, আবদুল বারী ড্যানী, আশরাফ উদ্দিন নিজান, শফিকুল হক মিলন, হালিমা নেওয়াজ আরলি, শাকিল ওয়াহেদ সুমন, রিয়াজউদ্দিন নসু, কাদের গনি চৌধুরী, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, শাম্মী আকতার, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, রেহেনা আক্তার রানু, আনিসুজ্জামান তালুকদার খোকন, রওনাকুল ইসলাম টিপু, নিলোফার চৌধুরী মণি, আসিফা আশরাফি পাপিয়াও শক্ত অবস্থানে।

বিএনপির একঝাঁক তরুণ ও যুবনেতা এবার নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে ঠাঁই পেয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ফরহাদ হোসেন আজাদ, আ ক ম মোজাম্মেল হক, মামুন হাসান, আবদুল হামিদ, শেখ রবিউল আলম, খান রবিউল ইসলাম রবি, মাহবুবুল ইসলাম মাহবুব, শামসুজ্জামান সুরুজ, এস এম জাহাঙ্গীর, কাজী রফিক, আবদুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, আবদুল মতিন, নূরুল ইসলাম নয়ন, হায়দার আলী লেনিন।

রয়েছেন বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, শেখ মোহাম্মদ শামীম, ওমর ফারুক শাফিন, দুলাল হোসেন, আবু বকর সিদ্দিক, শামসুজ্জামান মেহেদী, ওবায়দুল হক নাসির, একরামুল হক বিপ্লব, রফিকুল ইসলাম রাসেল, সাইফুল ইসলাম পটু, আবু সাঈদ, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, আবু তালেব, ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান, অ্যাডভোকেট আরিফা জেসমিন, ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী, ব্যারিস্টার মীর হেলাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল, ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, হেলাল খান, সালাউদ্দিন ভূইয়া শিশির, মির্জা ফয়সাল আমিন, এস এ জিন্নাহ কবীর, শেখ মজিবর রহমান ইকবাল, ফয়সাল আলীম, ওবায়দুল হক চন্দন, দীপু ভূইয়া, গিয়াস উদ্দিন, মির্জা খোকন, সুশীল বড়ুয়া, নিপুণ রায় চৌধুরী, তাবিথ আউয়াল, হুম্মাম কাদের চৌধুরী প্রমুখ। এদিকে, বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনেও একঝাঁক নেতা রয়েছেন, যাদের কেউ কেউ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী। বিডি প্রতিদিন

এমটিনিউজ/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে