এবার স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে খুন হলেন কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘাটপাড়া এলাকার মৃত হাজী আবু ছৈয়দের ছেলে মুহাম্মদ খালেদ। স্থানীয় ঈদগাঁও কলেজ গেট ব্রিজ এলাকার খালপাড় থেকে বস্তাবন্দি উদ্ধার হওয়ার ৩৬ ঘণ্টা পর নিহতের পরিবারের লোকজন কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে মরদেহটি শনাক্ত করেন।
জানা গেছে, ৬ মাস আগে সদরের খুরুশকুল ইউপির তেতৈয়ার নতুন ঘোনারপাড়ার ছৈয়দুল হকের মেয়ে জোবাইদার সাথে খালেদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে শ্বশুর বাড়িতে তিনি হত্যার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন নিহতের স্বজনরা। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী, বোন ও এক সৎ ভগ্নিপতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
নিহত খালেদের ভাই আবদুল্লাহ বলেন, বিয়ের পর কিছুদিন স্বাভাবিক আচরণ করলেও মাস দুয়েক পর থেকেই জোবাইদা তার ভাই (খালেদ) ও পরিবারের অন্যদের সাথে বাজে আচরণ করতেন। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে জানতে পারি বিয়ের আগে অন্য পুরুষের সাথে তার সম্পর্ক ছিল। এ কারণে দুর্ব্যবহার করতেন তার ভাইয়ের সাথে। ইতিমধ্যে জোবাইদা অন্তঃসত্ত্বা হন। মাতৃত্বকালীন সমস্যার কারণে সম্প্রতি তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেবার কথা বলে সেখান থেকে তার বাবা-মা তাকে (জোবাইদাকে) বাবার বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে তিনমাসের গর্ভের সন্তান নষ্ট করেন জোবাইদা।
এ নিয়ে খালেদের সাথে মুঠোফোনে বাকবিতণ্ডা হয় জোবাইদার। একপর্যায়ে পুরোনো প্রেমিককে দিয়ে খালেদকে গালিগালাজ করান তিনি। এমনকি স্ত্রীর দাবি নিয়ে শ্বশুরালয়ে গেলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। এরপর সন্তান নষ্ট করা ও স্ত্রীর পরকীয়ার ব্যাপারে কথা বলতে গত শনিবার (১৪ এপ্রিল) শ্বশুরালয়ে গেলে সেখানে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে ১০ কিলোমিটার দূরে নিয়ে ফেলে দেওয়া হয়।
এবিসয়ে ঝিলংজা ইউপি চেয়ারম্যান টিপু সুলতান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে খালেদকে হত্যার পর নিজেদের আড়াল করতেই মরদেহটি বস্তাবন্দি করে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে নিয়ে খালে ফেলে আসে নরপশুরা। এর উপযুক্ত বিচারদাবি করছি আমরা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কক্সবাজার সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেবাশীষ বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী জোবাইদা ও তার বোন মোবারেকা এবং তাদের আরেক সৎ বোনের স্বামী ফারুককে থানায় আনা হয়েছে।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি