সোমবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৬:৩৫:১৩

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কোনো কোটা থাকছে না: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কোনো কোটা থাকছে না: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

নিউজ ডেস্ক: সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কোনো কোটা থাকছে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম। আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের বিষয়ে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এসব কথা বলেন।

শফিউল আলম বলেন, আমরা কোটা নিয়ে প্রতিবেদন আজকে জমা দিয়েছি। আমাদের ফাইন্ডিংস হলো নবম থেকে ১৩ গ্রেড পর্যন্ত অর্থাৎ আগে যেসব পদকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি বলা হতো, সেগুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো কোটা থাকবে না।

সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি মেধাবীদের সরকারি চাকরিতে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ জুলাই সরকার এই কমিটি গঠন করে।

'কাজেই গ্রেড ১ থেকে ১৩ পর্যন্ত, সচিব থেকে সহকারি সচিব পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদগুলোতে মেধাভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হবে' বলেন সচিব।

তিনি বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবার প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক অনুমতি গ্রহণ করা হবে, অনুমোদনের পরে এটা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপিত হবে। কেবিনেটে পাস হলে প্রজ্ঞাপণ জারি করা হবে।

শফিউল আলম বলেন, কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কোনো কোটা থাকছে না।

মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিষয়ে আদালতের রায় সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমরা এই ব্যাপারে আইন বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছি। তারা বলেছেন যে, এটা যেহেতু সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত কাজেই এই ক্ষেত্রে আদালতের রায় কার্যকর হবে না।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের কোটা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে শফিউল আলম বলেন, আমরা ওটা যাচাই-বাছাই করে দেখে বলেছি যে, তাদের জন্য কোটা অপরিহার্য নয়।

তিনি বলেন, সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকার চাইলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা রাখতে পারে, কিন্তু এটা বাধ্যতামূলক নয়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে