নিউজ ডেস্ক: রংপুরে দায়ের করা মানহানির একটি মামলায় গ্রেফতার সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম কায়সারুল হক জামিন না মঞ্জুর করে মইনুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রংপুরে দায়ের করা এক মামলায় আ স ম রবের উত্তরার বাসা থেকে মইনুলকে সোমবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে গ্রেফতার করা হয়। আটকের পর মইনুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে মইনুল হোসেনকে আদালতে নেওয়া হয়।
আদালতের মইনুলের পক্ষে শুনানি করেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সানাউল্লাহ মিয়া, জয়নুল আবেদীন মেজবাহসহ একাধিক আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষে অংশ নেন পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল, ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি কাজী নজীবুল্লাহ হিরুসহ একাধিক আইনজীবী।
শুনানির সময় উভয়পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোলের সৃষ্টি হলে কয়েক দফা শুনানি কার্যক্রম বন্ধ থাকে। পরে আদালতের বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সিএমএম আদালতের হাজতখানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোতালেব হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
আদালতের শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, এটি জামিনযোগ্য মামলা। আসামির জামিন পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
তারা আরো বলেন, রংপুরের ওই মামলায় মইনুলের বিরুদ্ধে কোনো ধারা-সেকশন উল্লেখ করা
হয়নি।
মাসুদা ভাট্টি ক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকায় মামলা করেছেন। ঢাকার বাইরে তার বিরুদ্ধে মামলা করার এখতিয়ার অন্য কারও আছে কি না সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন আসামির আইনজীবীরা।
এদিকে শুনানি শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে জামিন দেয়া হয়নি।