সোমবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৮, ১০:৫৮:৫১

খালেদা-তারেক নয়, যার স্বাক্ষরে বিএনপির মনোনয়ন

খালেদা-তারেক নয়, যার স্বাক্ষরে বিএনপির মনোনয়ন

নিউজ ডেস্ক: দলের দুই প্রধান খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে বিএনপির প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরমে স্বাক্ষর করছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার থেকে শুরু হওয়া মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাতকারে হাজির ছিলেন রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ৮টি করে ১৬টি জেলার মোট আসন ৭২টি এবং মোট মনোনয়ন প্রত্যাশী ৫২৬ জন ।

সাক্ষাতকারে অংশ নেয়া প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মনোনয়ন ফরমে স্বাক্ষর করছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কয়েকজন বলেছেন, মনোনয়ন ফরমে লেখা আছে, ‘আমি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মহাসচিব, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বিএনপি। দলের নিবন্ধন নম্বর ৭। এতদ্বারা নির্বাচনি এলাকা …, জেলা…, হতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থীরূপে … কে, ভোটার নম্বর….. কে দলের মনোনয়ন প্রদান করছি’।

সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, যেসব মনোনয়ন প্রত্যাশীর ফরমে সাক্ষাতকারের পর বিএনপি মহাসচিবের স্বাক্ষর রয়েছে তারাই প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হবেন।

গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) বলা আছে, যেকোনও দলের মনোনয়ন ফরমে দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় মনোনীত প্রার্থী স্বাক্ষর করবেন।

বিএনপির গুলশান অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন ফরমে স্বাক্ষর করেছিলেন দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। এবার তিনি কারাগারে থাকায় মির্জা ফখরুল স্বাক্ষর করেছেন।

বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডে রয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। তবে লন্ডন থেকে সকাল থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষাতকার বোর্ডে আছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করে প্রার্থী বাছাইয়ে সরাসরি নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

জানা গেছে, বিগত দিনগুলোতে দলে নেতাদের অবস্থান, তাদের কর্মকাণ্ড, ২০১৪ সালে আন্দোলনে ভূমিকা, আগামী নির্বাচনে বিরোধীপক্ষের শক্তিমত্তার কাছে কিভাবে টিকে থাকবে, অনাহুত কোনো ঘটনা ঘটলে সিলেটের মেয়র নির্বাচনে জয়ের মতো করে আগামী নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে আনতে পারবে কিনা; ইত্যাদি বিষয়গুলোকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তারেক রহমান।

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা তারেক রহমানকে পেয়ে নিজেদের উজ্জীবিত বলছেন এবং এতে করে আগামীর পথচলায় তাদের সাহস ও শক্তি পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতা।

তবে সরকারি দলের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তাদের যুক্তি হলো, তারেক রহমান আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী হয়ে কোনোভাবে ভিডিও কনফারেন্সে নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করতে পারেন না।

অবশ্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর প্রতিবাদ করে বলেছেন, ‘ইসি নিজেরাই আচরণ ভঙ্গ করছেন। আমার দলের সাক্ষাৎকার কীভাবে নেবো, এটা আমার সিদ্ধান্ত। এ ব্যাপারে কথা বলার এখতিয়ার নেই’।

তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করছি না অবাধ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যে নির্বাচনের জন্য আমরা দীর্ঘকাল আন্দোলন সংগ্রাম করছি। সরকার এক তরফা, একদলীয় নির্বাচন করার পাঁয়তারা করে যাচ্ছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে