শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৪:৫০:১৭

জবাব

জবাব

বিএনপির নেতারা অভিযোগ করছেন, রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার পথে তাদের একটি প্রতিনিধি দলকে মাঝপথে আটকে দেয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ত্রাণ সামগ্রী গুলো আবার বিতরণের চেষ্টা করবেন বলে জানান তারা।

বিএনপির নেতা নজরুল ইসলাম খান জানান, কক্সবাজার থেকে ২২টি ট্রাকভর্তি ত্রাণসামগ্রী নিয়ে রওনা হওয়ার আগেই জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয় যে তাদের সেগুলো বিতরণ করতে দেয়া হবে না। তারা আমাদের বলে যে আপনার যেতে পারবেন না। আপনারা যা কিছু নিয়ে যাচ্ছে সেগুলো আমাদের হাত তুলে দিন। জেলা প্রশাসনই সেগুলো বিতরণ করবে।"

তিনি জানান, চাল, ডাল, তেল, পানিসহ যে সাড়ে ছয় হাজার ত্রাণের প্যাকেট তারা বহন করছিলেন তার প্রতিটির ওজন ছিল ১৪ কেজি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠনগুলো গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মঙ্গলবার রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন।

পরে কক্সবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি প্রতিনিধিদলের নেতা মির্জা আব্বাস প্রশাসনের এই বাধাদানের ঘটনাকে বৈষম্যমূলক বলে বর্ণনা করেন। মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেন, অসহায় শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ বিতরণে কোনো রাজনীতি নেই। তবুও সরকার আমাদেরকে ত্রাণও দিতে দিচ্ছে না।

তিনি বলেন, এটা নিন্দনীয় ও চরম অমানবিক কাজ। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নির্দেশে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সাহায্য নিয়ে আমরা কক্সবাজার এসেছিলাম কিন্তু এখানে পুলিশ আমাদের গাড়ি বহরকে নানা অযুহাতে আটকে দিয়েছে। শরণার্থীদের কাছে যেতে দিচ্ছে না।

তিনি বলেন, কক্সবাজার প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রথমে বলা হলো আপনারা দুইটার পরে যান। কুটনীতিকরা চলে গেলে আপনারা যাবেন। আমরা মেনে নিলাম। আমার দুইটা পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম। কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে রওনা দিলে আমার গাড়ির পিছনের সবগুলো গাড়ি আসতে দেয়নি। পুলিশ গাড়ি বহরের মুখোমুখি তাদের একটি গাড়ি দিয়ে আমাদের বহরকে আটকে দেয়।

মির্জা আব্বাস আরো বলেন, এখানে আমরা ত্রাণ দিতে এসেছি অন্য কিছু না। তাই সরকারের উচিত ছিল আমাদের নির্বিঘ্নে নিপীড়িত মানুষের কাছে যেতে দেয়া কিন্তু তারা পদে পদে বাধা দিচ্ছে। এককভাবে কোনো রাজনৈতিক দল ২০ ট্রাক ত্রাণ নিয়ে আসেনি, এমন কি আওয়ামী লীগও আসেনি। ওবায়দুল কাদের সাহেব যদি এসে থাকেন সরকারের কিছু মালামাল নিয়ে এসেছেন, যা’ একেবারে অপ্রতুল। আমরা প্রায় দশ হাজার পরিবারের পঞ্চাশ হাজার সদস্যের জন্য ত্রাণ নিয়ে এসেছি। বিশাল ত্রাণের বহর দেখে আওয়ামী লীগ সহ্য করতে পারছে না, এটা ওনাদের ভালোলাগছে না।

তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি নেত্রী যদি নির্যাতিত মানুষের পক্ষে মাঠে না নামতেন এবং রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বিবৃতি না দিতেন তাহলে আওয়ামী লীগ রোহিঙ্গাদের জন্য মাঠে নামতো না। খালেদা জিয়ার নির্দেশে আমরা রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ নিয়ে এসেছি। আওয়ামী লীগের উচিত ছিল আমাদের ত্রাণ বহরকে স্বাগত জানানো। আমরা কী দেখলাম? আমরা ত্রাণও দিতে পারব না!
এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে