শুক্রবার, ০৬ অক্টোবর, ২০১৭, ১০:৩৩:৪৯

জবাব

জবাব

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে অভিযোগ করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায়কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে নতুন নতুন আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটছে। যা আগে কখনো ভাবিনি।

প্রধান বিচারপতির ছুটির আবেদনকে ভুয়া ও জালিয়াতি দাবি করে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির অসম্মতিতে তাকে ছুটিতে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকার নিজেই বিচার বিভাগের মৃত্যু ঘটিয়েছে। এখন তাকে বিদেশ পাঠানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে শুনছি। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব বলেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ প্রধান বিচারপতির ছুটি প্রসঙ্গে বলেন, আজকে তার সঙ্গে তার আত্মীয়-স্বজন দেখা করতে পারেন না, আমাদের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সম্পাদক দেখা করতে গিয়েছিলেন, বলা হয়েছে যে, দেখা করা সম্ভব নয়। তার টেলিফোন সংযোগ নাই। এটাকে আমরা বলব যে, তিনি আজকে গৃহবন্দি। তাকে গৃহবন্দি করে এই সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতার মৃত্যু ঘটিয়েছে, সরকার নিজেই সমাধি রচনা করে দিয়েছেন। এটা বাংলাদেশের জন্য একটা বিরাট ভয়ঙ্কর যা বর্ণনার ভাষা নেই। বর্তমানের ব্যবস্থাকে আপনি কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন, কী বলে আখ্যায়িত করবেন?

ছুটি চেয়ে প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতির কাছে দেয়া চিঠি যা গত বুধবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের দেখিয়েছেন তাকে ভুয়া অভিহিত করে সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের ওই চিঠিটা দেখিয়ে বলেন, এই চিঠিতে ভুলগুলো বলি- শারীরিক বানান ভুল, ভুগছি বানান ভুল। আমি‘র জায়গায়ে অমি, আক্রান্ত লেখা আছে- হবে আক্রান্ত। শারীরিক ও ভুগছি দুই জায়গায় ভুল। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এই চিঠি সাংবাদিকদের দেখিয়েছিন। এটা একটা ভুয়া চিঠি। দেশের প্রধান বিচারপতির এই চিঠির পাঁচটা ভুল- এই ভুল নিয়ে কোনো প্রধান বিচারপতি চিঠিতে সই করতে পারেন না। এটা একটা অসম্ভব ব্যাপার। এটা সম্ভব না।

প্রধান বিচারপতির স্বাক্ষরও জাল করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। মওদুদ আহমদ বলেন, যতদূর জানি তিনি নিজে থেকে ছুটি চান নাই। তার কোনো সম্মতি ছিলো না। কারণ শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বলেছেন আমার শরীর ভালো আছে। আমার কোনো ছুটির প্রয়োজন নাই। কেউ কি এখন বিশ্বাস করবে বাংলাদেশে কোনো বিচারক সুস্থ মনে, নিরপেক্ষভাবে বিবেক অনুযায়ী বিচারকার্য পরিচালনা করতে পারবেন? তার মনে এই ভয় থেকে যাবে যেটা আজকে প্রধান বিচারপতির বেলা হয়েছে। সুতরাং আর তো বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নাই। প্রধান বিচারপতিকে একটা রায় দেয়ার জন্য তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে