বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৮:০৪:০৫

জবাব

জবাব

আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি মনে করেন, গত নির্বাচন বর্জন করলেও এবার দলের অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনে তাদের নাকে খত দিয়ে নির্বাচনে আসতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কম্বোডিয়া সফর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বিকাল সাড়ে চারটার দিকে শুরু হওয়া সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী কম্বোডিয়া সফরের কর্মসূচি তুলে ধরার পর সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করার সুযোগ পান। ত

বে প্রশ্নোত্তরে সফরের বিষয়বস্তুর চেয়ে দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক অবস্থা, রোহিঙ্গা পরিস্থিতি এসবই গুরুত্ব পায় বেশি।এসময় ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, এটিএন বাংলার জ ই মামুন প্রমুখ তার কাছে জাতীয় নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বিএনপির সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কোনও উদ্যোগ নেবেন কিনা তা জানতে চান।     

এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘তাদের নির্বাচনে আনতে কি বরণডালা পাঠাতে হবে? মনে হয়, বরণডালা পাঠাতে হবে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রত্যেক দলের কর্তব্য। যে দল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, দলে গণতন্ত্রের চর্চাও করে না, তারা নির্বাচনে আসবে কিনা সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। এখানে আমাদের কিছু করার নাই। আমার এক কথা, আমি অপাত্রে ঘি ঢালি না।’

বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হবে কিনা এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘কার সঙ্গে আলোচনা সেটা বলতে হবে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ওনাকে (খালেদা জিয়া) ফোন করে যে ঝাড়ি খেলাম, আর অপমানিত হওয়ার ইচ্ছা নাই। তারা নির্বাচন করবে কিনা সেটা তাদের বিষয়। তবে তারা এবার নাকে ক্ষত দিয়ে নির্বাচনে আসবে বলে মনে করি।’  

আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় যে কোনও সময় নির্বাচন হয়। তবে আমরা কোনও দৈন্যদশায় পড়িনি যে আগাম নির্বাচন দিতে হবে। আমি চাই যেসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আমরা হাতে নিয়েছি, সেগুলো শেষ হোক। আমরা না থাকলে যে উন্নয়ন থমকে যায়, এ প্রমাণ তো পেয়েছেন। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে আমরা যে উন্নয়ন করেছি তা এর আগে কখনও হয়নি। আমরা বিশ্ব ব্যাংকে চ্যালেঞ্জ দেওয়ার মতো সৎ সাহসও দেখিয়েছি।’

সৌদি আরবে খালেদা জিয়ার শপিংমল ও সম্পদের ব্যাপারে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে কোনও সংবাদ প্রকাশিত না হওয়ায় সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনাদের কোনও আগ্রহ দেখলাম না এ সংবাদ প্রকাশের জন্য। তাদের কি সাত খুন মাফ? হতে পারে তাদের হাজার কোটি টাকা আছে। কিভাবে মুখ বন্ধ রাখতে হয় তারা ভালো করে জানে।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতি করে বিদেশে টাকা পাচার করা হলে সে টাকা আবার জনগণের কাছেই আসবে। ইতোমধ্যে মানি লন্ডারিংয় করে বিদেশে পাচার করা টাকা ফেরত এনেছি। ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে। জনগণের টাকা বাইরে নিয়ে বিলাস করবে, নিশ্চই বিচার হবে। টাকাও ফেরত আসবে।’

তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। সে তো সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাকে অবশ্যই দেশে আসতে হবে। বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’

জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতির ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এ ঘোষণা কারও কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। জাতিসংঘের একটি রেজ্যুলেশন আছে, এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে সে রেজ্যুলেশনকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে, এটা কেউ মেনে নেবে না।’ এজন্য সারা পৃথিবীর মুসলিম উম্মাহকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।  

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে