শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০১৭, ০৭:০৬:১৯

নতুন করে সাজানো হচ্ছে মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়াম

নতুন করে সাজানো হচ্ছে মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়াম

আল-মামুন: জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছ থেকে ২০০৪ সালে আনুষ্ঠানিক বুঝে পাওয়ার পর মাঠটাকে ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত করেছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরপর মাঝে মধ্যে টুকটাক কিছু কাজ করা হলেও ব্যস্ত সূচির কারণে পুরো সংষ্কার কাজে হাত দেয়া যায়নি।

আগামী জুলাইয়ের আগে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ঘরের মাঠে কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ নেই। লম্বা একটা সময় বিরতি থাকায় এই সময়টাকে মাঠ সংস্কারের উপযুক্ত মনে করেছে বিসিবি। প্রায় ১২ বছর পর সংস্কার করা হচ্ছে দেশের হোম অব ক্রিকেট ভেন্যুর। মিরপুর স্টেডিয়ামকে নতুন মাত্রা দিতে গত জানুয়ারী থেকে কাজ শুরু করে দিয়েছি বিসিবি।

মাঠ সংস্কারের মূলে অনেকগুলো কারণ আছে। তার মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য হলো, মাঠের ড্রেনেজ ব্যবস্থা আগের চেয়ে উন্নত করা, মাঠের নিচে থাকা অকেজো পাইপগুলোকে পরিবর্তন করা, বালু ফেলে নতুন বালু দিয়ে ভরাট করা এবং আউট ফিল্ড সবুজ ঘাসে আচ্ছাদিত করে মাঠের প্রাণ ফিরিয়ে আনা।

একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে মিরপুর স্টেডিয়ামের ড্রেনেজ ব্যবস্থা কোন অংশেই খারাপ ছিলো না। তবে দীর্ঘ দিন সংস্কার না করায় বালুর সাথে মাটি মিশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে বলছেন বিসিবির গ্রাউন্স এন্ড ফ্যাসেলিটিজের ন্যাশনাল ম্যানেজার সৈয়দ আব্দুল বাতেন,  ‘আসলে ড্রেনেজ ব্যবস্থার অবনতি হয়েছে। বালির সাথে মাটি মিশে গেছে। যার কারণে পানি নিস্কাশনের পথ সংকুচিত হয়ে গেছে।’

তৈরির ছয় বছর পর সংস্কারের লক্ষ্যমাত্র থাকলেও বাংলাদেশ দলের ব্যস্ত সূচির কারণে করা যায়নি। যার কারণে মাটির নিচে যে জিও ট্যাক্স পাইপ নেটিং সিস্টেম বালু-স্টোন দেয়া আছে, এগুলো অকেজো হয়ে গেছে। তা নতুন করে বসানো হবে।

বিশ্বকাপের মতো বড় বড় টুর্নামেন্টে মাঝে মধ্যে স্টেডিয়ামের আংশিক কাজ করা হলেও এবার পুরো মাঠের সংস্কার করা হচ্ছে। মাঠের ভেতরের পৃষ্টতলা প্রায় ৬ ইঞ্চি পরিমান কেটে উপড়ে ফেলা হচ্ছে। মাঠের এখন যা অবস্থা, তা দেখলে যে কারোরই চোখ কপালে উঠবে। মনে হবে, এটা কোন কোন স্টেডিয়াম নয়;। এটা হলো একটা ইটের ভাটা।

মাঠ সংস্কারের কারণ নিয়ে বাতেন বলেন, ‘মাঠ সংস্কারের মূল উদ্দ্যেশ হলো, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিক করা। ভালো মানের ঘাস বসানো, মাঠের আধুনিকায়ন করা।’ বিদেশী নয়, বাংলাদেশী ভালো মানের ঘাস বাসানো হবে জানান বিসিবির গ্রাউন্স কমিটির এই কর্মকর্তা, ‘মাঠের বৈচিত্র ফিরিয়ে আনতে বারমুডা ঘাস (গ্রাম-গঞ্জের মানুষ যেটাকে দুর্বা ঘাস বলে থাকেন) দিয়ে মাঠকে আচ্ছাদিত করা হবে। যাতে করে পুরো মাঠ সবুজের সমারোহে ভরে যায়।’

শেরেবাংলার ড্রেনেজ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের কাজ শুরুর আগে বিসিবি অস্ট্রেলিয়ান বিশেষজ্ঞ কিউরেটর থিককে নিয়ে আসেন। তার পরামর্শ অনুসারে কাজ করছে বলে জানান বাতেন। মাঠে নতুন কোন প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে কিনা জাতনে চাইলে বিসিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘নতুন প্রযুক্তি বলতে আমরা একুরেট জিনিসটা লাগাচ্ছি। আমরা শুধু আউট ফিল্ডের কাজ করছি। উইকেট আগের মতোই থাকবে। উইকেটে আমরা হাত দিবো না।’

এই প্রক্রিয়ায় সফল হওয়ার জন্য দেশিয় একটি কানসালটিং ফার্ম বসত ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার একটা ফার্মের সাহায্য নিচ্ছে বিসিবি। মাঠে আগের সব বালু ফেলে দিয়ে নতুন করে বালু দিয়ে ভারাট করা হচ্ছে জানিয়ে বাতেন বলেন, ‘আগের কোন বালু রাখা হচ্ছে না। সব ফেলে নতুন করে বসানো হচ্ছে। যেসব পাইপ নষ্ট হয়ে গেছে সেগুলো নতুন করে বসানো হচ্ছে ‘

মাঠ পুরো সংস্কারের বিসিবির প্রায় ৬৫ রাখ টাকা খরচ হবে বললেন বাতেন। তার ধারণা কাজ আগামী জুলাইয়ের আগে শেষ হবে।-খেলাধুলা
২৪ মার্চ ২০১৭/এমটি নিউজ২৪ডটকম/আ শি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে