শনিবার, ২৭ মে, ২০১৭, ০৫:৫৯:২৯

তামিমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি- ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ২৩৫ রান

তামিমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি- ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ২৩৫ রান

স্পোর্টস ডেস্ক: ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই রান পেয়েছেন। চার ম্যাচের দুই ম্যাচেই পেয়েছিলেন হাফ সেঞ্চুরির দেখা। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তামিম। ৮৮ বলে ৯ চার ৪ ছয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁ-হাতি এই ওপেনার।

এর আগে ৪১ বলে ফিফটি করেছিলেন তামিম ইকবাল। জুনায়েদ খানের এক ওভারে ২৫ রান নিয়ে তাকে বোলিং থেকে সরিয়ে দিলেন। হাসান আলি, ওয়াহাব রিয়াজ, ফাহিম সারোয়ারাও তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের শিকার। এই তামিমই শেষ ৩ দেখার দুটিতে ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন। এবার ৫ চার ও ২ ছক্কায় ফিফটি পেরিয়ে একটু ঠাণ্ডা হলেন। ওখান থেকে ধরলেন ইমরুল কায়েস। বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে তুলতে ফিফটি পেরিয়ে ফিরলেন তিনি। একটু ধীরে চলো নীতিতে ততক্ষণে চলে আসা তামিম টার্গেট করেছিলেন সম্ভবত সেঞ্চুরি। রেকর্ডের পাতায় শনিবারের প্রস্তুতি ম্যাচের সেঞ্চুরির জায়গা হবে না। কিন্তু একটা সেঞ্চুরি তো সবসময়ই তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার। আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে তামিমের জন্য শুধু নয়, বাংলাদেশ দলের জন্যই বড় টনিক। এজবাস্টনে সেই সেঞ্চুরির উৎসবে মাতলেন তামিম। তার ৮৮ বলের সেঞ্চুরি ও ইমরুলের দ্রুত ফিফটিতে ৩২ ওভারে ২ উইকেটে ২১৪ রান এখন বাংলাদেশের। তামিম ১০০ ও মুশফিকুর রহীম ২৪ রানে ব্যাট করছেন।

আয়ারল্যান্ড থেকে দারুণ আত্মবিশ্বাস নিয়েই প্রথম এই প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। টাইগাররা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে এখন ৬ নম্বর। ৮ পাকিস্তান। আর পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১৫ সালে ঢাকায় ৩-০ তে সিরিজ জেতার সুখস্মৃতি আছে। সেই সাথে আছে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পূর্বসূরিদের পাকিস্তান বধ কাব্যের ঐতিহাসিক প্রেরণা। মাশরাফি বিন মুর্তজা এজবাস্টনে টস জিতে পাকিস্তানকে ফিল্ডিংয়ে পাঠালেন।

তামিম আর সৌম্য সরকারের শুরুতে অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণের ব্যাপার ছিল। শেষ ম্যাচে গোল্ডেন ডাক। তার আগের দুই ইনিংসে ফিফটি। সৌম্য ফর্মেই ফিরেছিলেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে ইনিংস ওপেন করে এই বাঁহাতি আক্রমণাত্মক মেজাজটা শুরুতেই দেখিয়েছেন। প্রথম ওভারে বাউন্ডারি জুনায়েদ খানকে। চতুর্থ ওভারে হাসান আলিকে টানা দুই বলে সীমানাছাড়া করেছেন। কিন্তু এই আগ্রাসণ বেশিক্ষণ চললো না। সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই সৌম্যকে শিকার বানিয়ে ফেললেন জুনায়েদ। দলীয় ২৭ রানে পড়েছে বাংলাদেশের প্রথম উইকেট। ব্যক্তিগত ১৯ রানে ফিরেছেন সৌম্য।

তামিম তৃতীয় ওভারের শেষ বল পর্যন্ত বেশ সতর্ক ছিলেন। তারপর জুনায়েদকে চালিয়ে দিলেন। বাউন্ডারি। সৌম্য ফেরার পর তার শিকারী জুনায়েদকে আরেকবার চেপে ধরলেন তামিম। নবম ওভারে কি মারটাই না দিলেন! তিনটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকালেন তামিম। ওই ওভারে জুনায়েদকে দিতে হলো ২৫ রান! ইমরুল কায়েস সুযোগ পেয়েছেন ব্যাট হাতে নামার। তামিমের সাথে বোঝাপড়াটা বরাবর ভালো তার। এখানেও তার দেখা মিলছে। তামিম যেখানে থামছিলেন সেখানে ইমরুলের ব্যাট চলছিল।

তামিম অবশ্য থামেন না। এলোমেলো করতে থাকেন পাকিস্তানি বোলিং। এর মধ্যে তরুণ স্পিনার শাদাব খান আসেন। ওয়াহাব আরেক প্রান্তে। তখন তামিম বুঝেশুনে খেলেন। বল হাওয়ায় ভাসান না। ব্যাটের আগল খোলেন ইমরুল। ৭ চারে ৪৬ বলে ফিফটি তুলে নেন। সুযোগটা হারাননি। তামিমের সাথে ২০.২ ওভারে ইমরুলের ওভারপ্রতি প্রায় ৭ গড়ে দ্বিতীয় উইকেটে গড়া জুটিটা ১৪২ রানের। শাদাবের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফেরার সময় ৬২ বলে ৮ চারে ৬১ রান ইমরুলের।

এরপর আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারাতে দারুণ ব্যাট করা মুশফিকুর রহীমকে পান তামিম। মুশফিককে ছক্কা হাঁকাতে দেখে তামিমও বহুক্ষণ পর আড়মোড়া ভাঙেন। ইমাদ ওয়াসিম ও শাদাবকে পর পর দুই ওভারে দুটি ছক্কা হাঁকালেন। এরপর ৩৩তম ওভারে সেঞ্চুরিটা পেয়ে যান তামিম। ৮৮ বলে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় দারুণ শতকে বাংলাদেশের স্কোরটাকে অনেক বড় করার পথে টানছেন তামিম।
২৭ মে ২০১৭/এমটি নিউজ২৪ডটকম/আ শি/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে