বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৭, ০৯:৫৬:১০

শঙ্কা শেরেবাংলার মাঠ নিয়েও

শঙ্কা শেরেবাংলার মাঠ নিয়েও

স্পোর্টস ডেস্ক: জিমে ঘাম ঝরাচ্ছেন (বাঁ থেকে) মোস্তাফিজুর রহমান, তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। কাল মিরপুর একাডেমিতে। ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়। ফতুল্লায় অস্ট্রেলিয়া দলের প্রস্তুতি ম্যাচটি না হওয়ার পর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের মাঠের দিকে তাকালেও শঙ্কা জাগে, ২৭ আগস্ট থেকে শুরু মিরপুর টেস্টটা ঠিকঠাক হবে তো? এত দিন বিরতি পাওয়ার পরও মাঠের সেই সবুজাভ ভাবটাই যে নেই!

খেলা ঠিকঠাকমতো হওয়ার জন্য মাঠ সবুজ হতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু কথা হলো অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে এ মাঠে সর্বশেষ সাড়ে আট মাসে কোনো ম্যাচ হয়নি। তারপরও কেন মাঠের এই চেহারা? মাঝে সংস্কার করা হয়েছে উইকেট ও আউটফিল্ড। উইকেটে ফেলা হয়েছে নতুন মাটি। পানিনিষ্কাশনব্যবস্থায় উন্নতি আনতে আউটফিল্ডের পুরোনো মাটি তুলে ফেলা হয়েছিল ছয় ইঞ্চির মতো। পরে মাটি ফেলে লাগানো হয়েছে নতুন ঘাস।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের আর মাত্র পাঁচ দিন বাকি। অথচ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম এখনো ফিরে পায়নি পুরোনো চেহারা। মাঠটাকে আগের মতো সবুজ ক্যানভাস মনে হয় না। দূর থেকে যেটুকু সবুজ মনে হয়, সেটা আসলে ঘাসগুলো বড় থাকাতেই। কাছে গেলে তো সেটা আরও বাদামি! প্রতিটি ঘাসের মাঝে এতটাই ব্যবধান যে পায়ের একটু কর্কশ চাপেই উঠে আসবে মাটি। ঘাসের ঘনত্ব কম হওয়ায় মাঠের উপরিভাগের বেলেমাটিও দেখা যায় পরিষ্কার। সবুজের মাঝে বাদামি ভাব সে কারণেই।

সংস্কারের পর মাঠটা এখনো অব্যবহৃতই বলা যায়। শঙ্কা সে কারণেই। নতুন মাঠ, নতুন উইকেট কেমন আচরণ করবে? ম্যাচ পরিস্থিতির অনুশীলনের পর শঙ্কাটা ক্রিকেটারদের মধ্যেও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খেলোয়াড় বলেছেন, ‘আউটফিল্ড পুরোপুরি সমান হয়নি। ফিল্ডিংয়ের সময় বল হঠাৎ লাফিয়ে উঠছে। কোনো কোনো জায়গা দিয়ে এ কারণে বল হঠাৎ জোরে গেলেও ঘাস বড় থাকায় অনেক জায়গাই স্লো।’ ঘাস এখনো শক্ত হয়ে না বসায় এবং ঘনত্ব বেশি না হওয়ায় ফিল্ডিংয়ের সময় স্লাইড করলে মাঠের মাটি উঠতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁর। আরেক ক্রিকেটারের ধারণা, ‘অনেক জায়গাতেই ঘাস বড়, কোথাও কোথাও মাটি নরম। টেস্টের মাঝে বৃষ্টি হলে নতুন করে খেলা শুরু হতে সময় লাগবে।’

বিসিবি থেকে মাঠ নিয়ে কথা বলতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে কিউরেটর গামিনি ডি সিলভাকে। তবে গ্রাউন্ডস বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা আশ্বাস দিতে চাইলেন, ‘মিরপুরের মাঠ নিয়ে কোনো টেনশন নেই। ফুল রেডি। ঘাস এখন বড় হলেও ম্যাচের আগে কেটে ফেলা হবে। বৃষ্টি হলেও ৩০ মিনিট লাগবে খেলা শুরু করতে।’ তাঁর দাবি, উইকেটে এবার খুব একটা কাজ হয়নি। শুধু ওপরের এক ইঞ্চি পরিমাণ মাটি সরিয়ে নতুন মাটি ফেলা হয়েছে। তাতে উইকেটের আগের চরিত্রে কোনো ভিন্নতা আসবে না।
'২৩ আগস্ট ২০১৭/এমটিনিউজ২৪.কম/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে