স্পোর্টস ডেস্ক: অনেকেই তার ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলছিলেন। তবে তিনি নিজে নিশ্চুপ ছিলেন। এবি ডি ভিলিয়ার্স অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন। মুখ খুললেন চমকানোর মতো ঘোষণা দিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। তবে টেস্ট ক্রিকেট এখনই ছাড়ছেন না।
ডি ভিলিয়ার্সের দুটি সিদ্ধান্তই আসলে চমক। গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যর্থ হওয়ার পর প্রবল সমালোচনার মধ্যেও ছিলেন অটল। নিজেকে ‘ভালো অধিনায়ক’ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন, ২০১৯ বিশ্বকাপেও দলকে নেতৃত্ব দিতে চান। সেই ঘোষণার দুই মাস পর দিলেন বিদায়ের ঘোষণা। মূলত ফাফ দু প্লেসির নেতৃত্ব গুণ দেখেই ভাবনার বদল, জানালেন ডি ভিলিয়ার্স।
অসাধারণ একজন অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টি ও টেস্টে নিজেকে প্রমাণ করেছেন ফাফ দু প্লেসি। সেটিকে মাথায় রেখেই আমি ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকাকে জানিয়ে দিয়েছি যে ওয়ানডে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছি। ”
গত ৬ বছর ধরে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া ছিল দারুণ সম্মানের। কিন্তু এখন নতুন কারও দলকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার সময়। নতুন অধিনায়ক যাকেই করা হোক, আমার পূর্ণ সমর্থন থাকবে।
বাকি দুই সংস্করণের মত ওয়ানডে অধিনায়ক যে দু প্লেসিই হচ্ছেন, সেটিকে স্রেফ বলা যায় সময়ের ব্যাপার। কদিন আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ হারার পর দু প্লেসি বলেছিলেন, টেস্টে আবার ডি ভিলিয়ার্সের ফেরার আশা তিনি খুব একটা করেন না।
২০১৬ সালের জানুয়ারির পর আর টেস্ট খেলেননি ডি ভিলিয়ার্স। সবশেষ টেস্ট খেলার কিছুদিন পর পাকাপাকিভাবে পেয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দলের নেতৃত্ব। কিন্তু চোটের কারণে এরপর আর সাদা পোশাকে নামতেই পারেননি।
পিছু না ছাড়া চোট ডি ভিলিয়ার্সকে ভুগিয়েছে আরও অনেক। ততদিনে দু প্লেসি দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দারুণ করছেন। ডি ভিলিয়ার্সও রঙিন পোশাকে ছিলেন বেশি আগ্রহী। সব মিলিয়ে ধারণা করা হচ্ছিলো, তার টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ। তবে সব গুঞ্জন থামিয়ে ডি ভিলিয়ার্স দিলেন ফেরার ঘোষণা।
সাম্প্রতিক বিরতির পর নিজেকে দারুণ তরতাজা ও পুনরুজ্জীবিত মনে হচ্ছে। মাঠে ফিরতে চাই আমি। জাতীয় নির্বাচকদের জানিয়ে দিয়েছি যে আসছে মৌসুমে তিন সংস্করণেরই জন্যই পাওয়া যাবে আমাকে।
নেটে অনেক ঘাম ঝরাতে হবে আমার, ঠিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে। তবে অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে খেলতে তৈরি হয়ে থাকব আমি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে অক্টোবরের মাঝামাঝি টেস্ট সিরিজে থাকছেন না ডি ভিলিয়ার্স নিশ্চিতভাবেই। দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ২৮ সেপ্টেম্বর, দ্বিতীয় টেস্ট ৬ অক্টোবর।
তাই এটি স্বস্তির খবর বাংলাদেশ টাইগার দলের জন্য । তবে এরপরই ফিরছেন ডি ভিলিয়ার্স, নেতৃত্বের ভার মুক্ত হয়ে। বিশ্ব জুড়ে বোলারদের জন্য সেটি দুঃসংবাদ!
এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি/এএস