বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৪:২৪:০৬

বাংলাদেশের কাছে হার এখনো ভুলতে পারেন না শচীন

বাংলাদেশের কাছে হার এখনো ভুলতে পারেন না শচীন

স্পোর্টস ডেস্ক: আগে একাধিকবার বলেছেন। আরো একবার বললেন শচীন টেন্ডুলকার। তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে সময় ছিল ২০০৭ সাল। সে বছর তাদের সবচেয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে হার।

২০০৭- ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে বাংলাদেশের কাছে ৫ উইকেটের হার তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে তিক্ত ছিল বলে ফের জানালেন শচীন টেন্ডুলকার। ২১ বছর ধরে বিশ্বের তাবদ বোলারদের রাতের ঘুম হারাম করেছেন ভারতের এ লিটল মাস্টার। অবসরে যান ২০১৩ সালে।

কিন্তু এখন থেকে ১০ বছর আগের একটি ঘটনা এখনো ভুলতে পারেননি শচীন। মুম্বইয়ের এক অনুষ্ঠানে আবার সে কথা বললেন, ‘আমার মনে হয়, ২০০৬-০৭ মৌসুম আমাদের সবচেয়ে বাজে সময় ছিল। ২০০৭ বিশ্বকাপে আমরা শেষ আটেও উঠতে ব্যর্থ হই।’

তিনি আরো বলেন, ‘তবে বাংলাদেশের কাছে হারের পরপরই আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম। নতুন চিন্তাভাবনা শুরু করেছিলাম। আমরা অনেক কিছুতেই পরিবর্তন এনেছিলাম। কিন্তু সেই পরিবর্তনটা ঠিক ছিল না ভুল, সেটা জানতাম না। আমরা অপেক্ষা করে ছিলাম। বিশ্বকাপের ট্রফিটা হাতে নিতে আমার লেগে গিয়েছিল ২১ বছর।’

২০০৭ বিশ্বকাপে ত্রিনিদাদে বাংলাদেশের কাছে ৫ উইকেটে হারে ভারত। তখন ভারত দলে খেলতেন শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি, বীরেন্দর সেওয়াগ, রাহুল দ্রাবিড়, যুবরাজ সিং, মহেন্দ্র সিং ধোনি, হরভজন সিং ও জহির খানের মতো খেলোয়াড়রা। আর বাংলাদেশ দলে তখন তরুণ খেলোয়াড় তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম সাকিব আল হাসানরা।

মাশরাফি বিন মুর্তজার ৪ আবদুর রাজ্জাক ৩ ও মোহাম্মদ রফিকে ৩ উইকেটে ভারত অলআউট হয় ১৯১ রানে। জবাবে তামিম ইকবালের ৫১, মুশফিকুর রহিমের ৫৬ ও সাকিব আল হাসানের ৫৩ রানে পাঁচ উইকেটে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। এরপর শ্রীলঙ্কার কাছেও হারে ভারত। এতে গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বের ভারত।

২০০৭ বিশ্বকাপে ধাক্কা খাওয়ার পর ভারতীয় দলে আমূল পরিবর্তন আনা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেয়া হয় মহেন্দ্র সিং ধোনির কাঁধে। শুরুতেই বাজিমাত করেন তিনি। ধোনির হাত ধরেই ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে ভারত।

এরপর ২০১১ সালে তার নেতৃত্বেই ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ শিরোপা জেতে তারা। ২১ বছরের ক্যারিয়ারে স্বপ্নের বিশ্বকাপ স্পর্শ করেন শচীন টেন্ডুলকার।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে