রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১০:৫৮:২৪

সোজা ব্যাটের ‘মাস্টার’ হার্দিক পাণ্ডিয়া

সোজা ব্যাটের ‘মাস্টার’ হার্দিক পাণ্ডিয়া

স্পোর্টস ডেস্ক: লংঅফ দিয়ে ২১ রান। কাউ-কর্নার দিয়ে ২৭। লংঅন দিয়ে ৩। সোজা ব্যাটে খেললে যে অঞ্চলে বেশি বল যায় সেসব জায়গা থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে হার্দিকের মোট রান ২১+২৭+৩=৫১! দলকে সিরিজ জেতাতে তার মূল রান ৭৮।

এবার একটু প্রথম ম্যাচের কথা স্মরণ করা যাক। সেদিন করেছিলেন ৮৩। তার মধ্যে লংঅফ দিয়ে ছিল ৩৪। লংঅন দিয়ে ১০। কাউ-কর্নার দিয়ে ৭। সোজা ব্যাটের অঞ্চল থেকে তাহলে মোট রান হচ্ছে, ৩৪+১০+৭=৫১! সোজা ব্যাটে হার্দিকের এই পরিসংখ্যান নেহাত কাকতালীয়।  তবে একটি কথা সত্য- দিনকে দিন লংঅফ, লংঅনকে নিজের প্রিয় অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছেন তিনি। উল্লেখ করা প্রয়োজন লংঅফের ঠিক পাশে কাউ-কর্নার অঞ্চলে ক্রস ব্যাটে খেললেও বল যায়। কিন্তু এখানে হার্দিকের যে দুই ম্যাচের কথা বলা হল, তাতে সোজা ব্যাটে খেলার পর একটু এদিক-ওদিক হয়ে ওই অঞ্চলে বেশি গেছে।

হার্দিককে যারা শেষ কয়েক ম্যাচ থেকে দেখছেন, তারা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন সোজা ব্যাটে তার এমন ক্ষমতা। পায়ের কাজ অতটা ভালো নয়। কিন্তু তাতে কী। বলের ওপর যেভাবে চোখ রাখতে পারেন তা দেখে বীরেন্দ্র শেবাগও তাকে হিংসা করবেন। জায়গায় দাঁড়িয়ে যে ছয়গুলো মারছেন, দেখে চোখ কপালে না উঠে পারে না।

তাই বলে ব্যাপারটা এমন নয় যে তিনি শুধু ওই একদিকেই খেলেন। তার বৈচিত্র্য সম্পর্কে ধারণা পেতে হলে দ্বিতীয় ম্যাচের কথা স্মরণ করতে হবে। রোহিত শর্মা সেদিন শর্টবলে ডিপস্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়েছিলেন। রোহিতকে ওইভাবে শিকার করা স্টয়নিস এরপর থেকে থেকে শর্টবল মারতে থাকেন। হার্দিক এসেই পুল বাদ দিয়ে কোমর ভেজিয়ে আপারকাট করেন। ওই শটটি বলে দেয় বোলার এবং পরিস্থিতিকে রিড করার ক্ষমতায় তিনি কতটা পারদর্শী হয়ে উঠছেন।

হার্দিকের উত্থানের গল্পটা বেশি পুরনো নয়। ২০১৫ সালের আইপিএল। কলকাতা বনাম মুম্বাই। নাইটদের বিপক্ষে সেদিন ৩১ বলে ৬১ করেন। ভারতের আমজনতা সেই থেকে তাকে চিনে রাখে। পরের বছর সৈয়দ মুস্তাক আলী ঘরোয়া টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টে বারোদার সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী হন। ১০ ইনিংসে ৩৭৭। গড় ৫৩.৮৫!

তাকে নিয়ে বাংলাদেশের স্মৃতি অবশ্য খুব একটা সুখকর নয়। গেল বারের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মনে আছে? শেষ ওভারে তিন বলে দুই রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। হার্দিক সেটা আটকে দিয়েছিলেন।

এই যুগে সিম-বোলিং অলরাউন্ডারদের কথা বলতে গেলে ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস কিংবা সাউথ আফ্রিকার ক্রিস মরিসের নাম সবার আগে আসে। হার্দিক তাদের টেক্কা দিয়ে চলছেন। তার এই যাত্রা কতদিন বজায় থাকে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে