স্পোর্টস ডেস্ক : ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খুব একটা ভালো যায়নি দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজ। ‘নিজ ডেরায় সবাই বাঘ’- কথাটিকে সত্যি বানিয়ে সেই দক্ষিণ আফ্রিকাই নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে তেড়েফুঁড়ে খেলল, টেস্ট সিরিজের পর অপরাজিত থেকে জিতে নিলো ওয়ানডে সিরিজও।
অথচ এই বাংলাদেশের কাছেই বছর দুয়েক আগে সিরিজ হেরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। টাইগারদের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিত এই সহজ সাফল্যে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত দক্ষিণ আফ্রিকা শিবির। তৃতীয় ওয়ানডে শেষে দলটির ক্রিকেটারদের কথাবার্তায় রইল আনন্দের ছাপ।
ম্যাচ শেষে ওপেনার কুইন্টন ডি কক নিজেদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হয়ে ব্যাটিং-বান্ধব সিরিজ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বল খুব দারুণভাবে ব্যাটে আসছিলো। ইংল্যান্ডের সাথে সিরিজে ভালো করিনি। এখানে ভালো খেলতে পারলাম।‘
ওয়ানডে সিরিজে প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই ছিল ব্যাটিং-বান্ধব উইকেট। তবে প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেটের জয়ের পেছনে বড় অবদান রাখা নিজের ১৬৮ রানের ইনিংসটিকেই ডি কক রাখছেন এগিয়ে, ‘যদিও সব উইকেট একইরকম ছিল। প্রথম ম্যাচের ১৬৮ যদিও আমার একটু বেশি প্রিয়।‘
এক ম্যাচ আগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে ছিলেন না নিয়মিত ওপেনার হাশিম আমলা। ডি ককের সাথে তাই ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নেমেছিলেন টেম্বা বাভুমা, যিনি ম্যাচে বেশ ভালো পারফরমেন্স প্রদর্শন করেছেন।
তার প্রসঙ্গে ডি কক বলেন, ‘টেম্বাকে ওপেনিংয়ে পেয়ে ভালোই হয়েছে। সে আমাকে ভালো খেলতে সহযোগিতা করেছে। সে সত্যিই দারুণ খেলেছে। আমাদের দুজনের ফিফটি হলে ভালো হতো।‘
টেস্ট ও ওয়ানডেতে সহজ জয় পেলেও টি-২০’তে বাংলাদেশকে ভালো দল হিসেবেই আখ্যা দিচ্ছেন তিনি। ডি কক বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ শক্তিশালী দল। দেখা যাক, কী হয়।’
এদিকে ইনজুরির কারণে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে নিয়মিত অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস মাঠ ছাড়ায় ম্যাচের বাকি সময় অধিনায়কত্ব করতে হয়েছে এবি ডি ভিলিয়ার্সকে। ম্যাচ শেষে ভিলিয়ার্স জানান, অধিনায়কত্ব উপভোগ করেছেন তিনি, ‘অধিনায়কত্ব আসলেই মজার, যখন দলের সবাই ভালো ক্রিকেট খেলে। প্রতিটা ম্যাচেই আমরা যথেষ্ট পরিকল্পনা করে খেলেছি।‘
বাংলাদেশকে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা প্রোটিয়াদের ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের আমরা এক বিন্দুও ছাড় দেইনি। আমাদের বোলিং অসাধারণ ছিল। নতুনরাও ভালো করেছে। তাদের নিয়ে আমি আশাবাদী। টেম্বা ভালো ব্যাট করেছে।’
এমটিনিউজ২৪/এম.জে/এস