বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১০:৫৫:১৫

এলিমিনেটর বিতর্ক: কুমিল্লাকে দুষছে বিসিবি

এলিমিনেটর বিতর্ক: কুমিল্লাকে দুষছে বিসিবি

স্পোর্টস ডেস্ক: বিপিএলের পঞ্চম আসরে এলিমিনেটর ম্যাচ সুপার ওভারে না নিয়ে বাইলজ (টুর্নামেন্টের নিয়ম) ভেঙে পরের দিনে নেয়ার কারণ হিসেবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে দুষছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।

বৃহস্পতিবার মিরপুরে বিপিএলের বিতর্কিত কয়েকটি বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিসিবির কয়েকজন বোর্ড পরিচালক, যারা বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলেরও সদস্য। সেখানে সবাই দাবি করেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কারণেই বাইলজ ভাঙতে হয়েছে। কারণ দলটি সুপার ওভার খেলতে চায়নি। সংবাদ সম্মেলনের আগে-পরে কয়েকজন বিসিবি পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে চ্যানেল আই অনলাইন জানার চেষ্টা করেছে, ১০ ডিসেম্বরের সেই বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে খেলা বন্ধ থাকার সময় তিন পক্ষের (গভর্নিং কাউন্সিল, কুমিল্লা, রংপুর) ভেতর আসলে কী আলোচনা হয়েছিল।

সেই আলোচনার কথা শোনার আগে জেনে নেয়া যাক কী আছে বাইলজে
সংবাদ সম্মেলনে বাইলজ নিয়ে হাজির হন বিসিবি কর্মকর্তা মাহবুব আনাম। সেটা পড়ে বলেন, ‘কোনো ম্যাচ যদি টাই হয়, কিংবা কোনো কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায় তাহলে ম্যাচ সুপার ওভারে যাবে। সুপার ওভার খেলানোর সময় না থাকলে পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে থাকা দল পরের রাউন্ডে চলে যাবে। অর্থাৎ, তারাই বিজয়ী হবে।’

বিতর্কটা মূলত শেষ লাইন নিয়ে। কুমিল্লার দাবি, সুপার ওভার খেলার সময় ছিল না। তাই নিয়মানুযায়ী তাদের ফাইনালে চলে যাওয়ার কথা। সেটা না করে ম্যাচ পরেরদিন নেয়ায় কুমিল্লার অন্যতম প্রধান কর্ণধার নাফিজা কামাল ‘ষড়যন্ত্র’ খুঁজে পান। তার যুক্তি, বাইলজে ম্যাচ পরেরদিন নেয়ার কোনো কথা বলা ছিল না।
সংবাদ সম্মেলনে গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যরা

গভর্নিং কাউন্সিল বলছে, সুপার ওভার খেলার সময় ছিল। মাহবুব আনামের দাবি, ৯ টা ৪০ মিনিটে দুপক্ষকে জানানো হয় ম্যাচ সুপার ওভারে যাবে। ১০টা থেকে খেলা শুরু হবে। তখন কুমিল্লার অধিনায়ক তামিম ইকবাল সুপার-ওভার খেলতে আপত্তি তোলেন।

ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলছেন, ‘কুমিল্লা সুপার ওভার নিয়ে আপত্তি তোলায় রংপুরেরই বরং ফাইনালে চলে যাওয়ার কথা! সেটা না করে টুর্নামেন্টের স্বার্থে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ম্যাচ পরেরদিন নেয়ার প্রস্তাব দেই। তাতে দুপক্ষ রাজি হয়।’

কী আলোচনা হয়েছিল তখন
বিসিবির এক পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘ওই সময় মুস্তফা কামাল সাহেব (নাফিজা কামালের বাবা) মানসিকভাবে বেশ হতাশ ছিলেন। তিনি সাবেক বোর্ড প্রেসিডেন্ট। তার একটা সম্মান আছে। তারও কিছু যুক্তি ছিল। আমরা তাকে দুটি প্রস্তাব দেই। সুপার ওভার এবং পরেরদিন একই জায়গা থেকে খেলার। তিনি দ্বিতীয়টিতে রাজি হন।’

বাইলজ ভাঙার বিষয়ে বিসিবির বক্তব্য, ‘দুই অধিনায়ক সায় দিলে অনেক সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা যায়। এটা শুধু বিপিএলে নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও হয়।’
এমটি নিউজ/আ শি/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে