স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের স্পট ফিক্সিং নিয়ে নতুন বোমা ফাটিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার ন্যানেস। অ্যাশেজের ফিক্সিং খবর চাউর হওয়ার পর এবিসি রেডিওতে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে যান ন্যানেস। শুক্রবার কথায় কথায় সেখানেই দাবি করেন, তিনি যে বছর বিপিএল খেলতে আসেন সে বছর সবার চোখের সামনে ফিক্সিং করেন ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরা।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে মজার আসর হিসেবে আখ্যায়িত করে ন্যানেস বলেন, ‘বিপিএল আরেকটা মজার টুর্নামেন্ট, যেখানে মালিকরা এগিয়ে আসত। তাদের মাঠে প্রবেশের অনুমতি ছিল না। কিন্তু একজন টিম ম্যানেজার মালিকের কাছে যেত এবং বলত আমরা এরপর কী করতে যাচ্ছি।’
ন্যানেস ২০১৩ সালে বিপিএলে খেলতে আসেন। ওই বছর তিনি সিলেট রয়্যালসের হয়ে মাঠে নামেন। একই বছর মোহাম্মদ আশরাফুল ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িয়ে আলোচনায় আসেন। আলোচিত সেই বছরে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের এক মালিক ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত হন।
সিলেট রয়্যালসের জার্সিতে ন্যানেস
ন্যানেস বলেন, ‘তারপর মাঠে থাকা ম্যানেজার কোচের কাছে যেত। নিরাপত্তাকর্মীরা বলতেন অনেক হয়েছে। তারপরও এটা চলত। মালিকরা ফোনে যোগাযোগ রাখত। তারা কোচের সঙ্গে সব সময় টাচে থাকত। নিরাপত্তাকর্মীরা জানত, মাঠে যারা থাকত তারা জানত, সবাই জানত।’
৪১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। টি-টুয়েন্টি খেলেছেন ১৭টি।
ফিক্সিংয়ের প্রক্রিয়া বর্ণনা করতে যেয়ে তিনি বলেন, ‘স্পটে যারা থাকত, তাদের শার্টে একটি মাইক্রোফোন লাগানো থাকত। কোমরে থাকতে ১০টি মোবাইল। এভাবে তারা তথ্য আদান-প্রদান করতো। নিরাপত্তকর্মীরা তাদের ঠেলে দেয়া ছাড়া কিছু করত না। আসলে বাংলাদেশে অন্য কিছু তারা করতে পারত না। রেডিও অনুষ্ঠানে অ্যাশেজের ফিক্সিং নিয়ে কথা বলতে যেয়ে ন্যানেস বলেন, ‘আমার মনে হয় না অস্ট্রেলিয়ার কেউ এর সঙ্গে জড়িত।’
এমটি নিউজ/আ শি/এএস