রবিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৮:০৯:৫৬

'আমি ভালো নাকি খারাপ কোচ, তা মানুষ বলবে'

'আমি ভালো নাকি খারাপ কোচ, তা মানুষ বলবে'

স্পোর্টস ডেস্ক: আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশের ক্রিকেটে যখন হাঁটতে শুরু করেছিল, সেই সময়ের অন্যতম সারথী ছিলেন তিনি। তবে সমালোচনা তাকে ছাড়েনি। ২০০৩ সালে যখন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক হলেন সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। ক্যারিয়ার শেষে বিভিন্ন সময় বিসিবির বিভিন্ন দায়িত্ব পালনকালেও বিতর্ক তার পিছু ছাড়েনি। সেই খালেদ মাহমুদ আজ জাতীয় দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর। আজ মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনেক কথাই খোলামেলা বললেন এই ক্রিকেট পাগল মানুষটি।

নিজের দায়িত্ব নিয়ে সুজন বললেন, 'যখন আমি বোর্ডরুমে ঢুকি, তখন পরিচালক। আমাকে অন্য যে দায়িত্ব দেওয়া হয়, চেষ্টা করি সেটা ভালোভাবে করতে। পারি বা না পারি, সফল হই বা না হই, সেটা অন্য ব্যাপার। আমি কোন বিতর্কে যেতে চাই না। মনে করি কোচিং আমার পেশা। সেটা উপভোগ করি....। কোচিংয়ের আমার অভিজ্ঞতা নেই, ব্যাপারটা তা নয়। আমি ভালো নাকি খারাপ কোচ, তা মানুষ বলবে। এখন কোচিং করানোটাই আমার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।'

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বিসিবির পরিচালক, কোচ, সংগঠক, ম্যানেজার, নির্বাচকসহ অনেক দায়িত্বেই ছিলেন সুজন। একটু ফ্ল্যাশব্যাকে গিয়ে তিনি বললেন, 'আমি টিম ম্যানেজার ছিলাম, তখন ওটাকেই লাভবান মনে করা হয়েছিল। জানি না, সেটা কতটা হয়েছিল। যেহেতু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা কিছুটা হলেও আছে, বাংলাদেশ দলে খেলেছি, অধিনায়কও ছিলাম এক সময়; তাই কিছু অভিজ্ঞতা তো ছিলই।'

এরপরই তিনি জানালেন ক্রিকেট তার জীবন, 'যখন ৮৩ বা ৮৪ সালের দিকে ক্যারিয়ার শুরু করি, তখন থেকে একটা দিনের জন্যও ক্রিকেটের বাইরে থাকিনি। ক্রিকেটই আমার সবকিছু। ক্রিকেটই আমার জীবিকা। ক্রিকেট ছাড়া নিঃশ্বাস নেয়াই কঠিন।'

কিন্তু ক্রিকেটার বলুন আর বোর্ড কর্মকর্তা বলুন, কখনো বিতর্ক পিছু ছাড়েনি সুজনের। এই ব্যাপারটিতে আলোকপাত করতে গিয়ে সুজন বলেন, 'জানি না আসলে। ২০০৩ সালে যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম, সময়টা খুব কঠিন ছিল। তখন দলটাকে এক করার একটা কাজ ছিল আমার। দায়িত্বটা অনেক বেশি ছিল। সে তুলনায় এখন কাজটা অনেক সহজ। কারণ এখন আমি অভিজ্ঞ। যদিও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমার অভিজ্ঞতা কম। কিন্তু গত তিন-চারটা বিপিএলে কাজ করে চাপ নেয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি মনে করি জাতীয় দলের চেয়ে বিপিএলে চাপ বেশি থাকে।'

আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হতে চলা ত্রিদেশীয় সিরিজে তার শিষ্যদের নিয়ে আশাবাদী সুজন। কোচ হিসেবে এটাই তার সবচেয় বড় পরীক্ষা। সাবেক দুই কোচের অধীনে থাকা শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পরীক্ষা বাংলাদেশ জাতীয় দলের জন্যও। এই অবস্থায় সুজন আস্থা রাখছেন দলের পরীক্ষিত ক্রিকেটারদের ওপর। এছাড়া তরুণরা দ্রুত শিখে নিলে দুর্দান্ত একটা দল হয়ে উঠবে বাংলাদেশ, এমনটাই প্রত্যাশা জাতীয় দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে