সোমবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৯:৪৫:৪৮

দুই স্পিনার দিয়ে শুরু কেন? কারণ জানা গেল অবশেষে

দুই স্পিনার দিয়ে শুরু কেন? কারণ জানা গেল অবশেষে

স্পোর্টস ডেস্ক: হোক বেলা বারোটা, আজ শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে যখন ম্যাচ শুরু হলো, তখনো মিরপুর ও তার আশপাশে ঘন কুয়াশায় ঢাকা। এরকম হিমশীতল আবহাওয়ায় মাশরাফি যখন টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন, তখন সবার ধারণা ছিল পেসাররাই বোলিংয়ের সূচনা করবেন। অধিনায়ক নিজেই হয়ত বল তুলে নেবেন। সাথে বাঁ-হাতি মোস্তাফিজ হয়ত থাকবেন।

কিন্তু সবাইকে অবাক করে কনকনে ঠান্ডা আর কুয়াশা ভেজা আবহাওয়ায় পেস বোলিং দিয়ে শুরু না করে সাকিবের হাতে বল তুলে দিলেন মাশরাফি। মানা গেল, সাকিব সব্যসাচি। যার জন্য কন্ডিশন বড় ফ্যাক্টর নয়। যে কোন উইকেটে যখন-তখন তার বোলিংয়ের পর্যাপ্ত সামর্থ্য আছে।

তারচেয়ে বড় কথা, আজকাল টি-টোয়েন্টি আসরে সাকিব অনেক ম্যাচেই বোলিংয়ের সূচনা করেছেন। কাজেই তার বোলিং শুরু করাটা সে অর্থে বিস্ময়ের খোরাক হয়নি; কিন্তু প্রশ্ন উঠলো দ্বিতীয় ওভারে বাঁ-হাতি সানজামুলকে বল করতে দেখে।

এই বাঁ-হাতি স্পিনারও আজ উদ্বোধনী বোলারেরর ভূমিকায়। এমন কুয়াশাঢাকা সিমিং কন্ডিশনে কেন দুই বাঁ-হাতি স্পিনার দিয়ে বোলিং শুরু? অনেকের মনেই প্রশ্ন। একই প্রশ্ন উঠলো খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনেও।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে আসা ম্যাচ সেরা পারফরমার সাকিব আল হাসানের কাছে জানতে চাওয়া হলো কুয়াশা ঢাকা কন্ডিশনে পেসারদের বাদ রেখে দুই প্রান্তে স্পিনার দিয়ে বোলিং শুরু কেন?

সাকিব জবাব দিতে গিয়ে পরিষ্কার বলে ওঠেন, ‘আসলে জিম্বাবুয়ের সাথে আমাদের সবসময় সাকসেসফুল হওয়ার বড় একটা অস্ত্র হল বাঁ-হাতি স্পিন। এ কারণেই বাঁ-হাতি স্পিনার দিয়ে শুরু করানো। সকালের দিকে উইকেটে একটু হেল্পফুল ছিল আসলে। এরপর যত সময় গেছে তত ইজি হয়ে গেছে উইকেটটা। আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল দ্রুত কিছু উইকেট নেওয়া। আর যেহেতু ওরা পেস বোলিংয়ে একটু হলেও ভালো খেলে, সে কারণেই আমাদের স্পিন বল দিয়ে শুরু করা।’

আর সে কৌশল কাজেও দিয়েছে। বল হাতে শুরু করা সাকিব প্রথম ওভারে দুই জিম্বাবুইয়ান সলোমন মির ও ক্রেইগ আরভিনকে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়েকে পিছনের পায়ে ঠেলে দেন। আর সেখান থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারেনি ক্রেমারের দল।

সত্যিই যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাঁ-হাতি স্পিনাররা কার্যকর, তার একটা প্রামাণ্য দলিল- সাকিব ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এই ম্যাচের আগে ৪৩ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাকিবের ওয়ানডে উইকেট ছিল ৬৮টি। এ নিয়ে ৪৪ ম্যাচে হলো ৭১টি।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে