বুধবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৮, ০১:১৬:১২

মিরপুর স্টেডিয়ামে খুঁজে পাওয়া গেলো সেই টাইবুকে

 মিরপুর স্টেডিয়ামে খুঁজে পাওয়া গেলো সেই টাইবুকে

স্পোর্টস ডেস্ক: ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে প্রথম টেস্ট জয়ের দেখা পায় বাংলাদেশ দল। টাইগাররা ২২৬ রানের ব্যবধানে হারায় জিম্বাবুইয়ানদের। সেবার বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফেরে টাইগাররা।

চোখের সামনে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বপ্ন। তবে, সেবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দেখল অন্য জিম্বাবুয়েকে, যে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন অধিনায়ক টাটেন্ডা টাইবু। তাঁর অপরাজিত ৮৫ রানের সুবাদে প্রথম ইনিংসে ২৯৮ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় জিম্বাবুয়ে।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৭ রানে ৪ উইকেট হারানোর পরও জিম্বাবুয়ে ঘুরে দাঁড়াল টাইবুরই সেঞ্চুরির সৌজন্যে। ব্রেন্ডন টেলরের সঙ্গে ১৫০ রানের জুটি। টাইবুর ব্যাট থেকেই সেবার এসেছিল ১৫৩ রান। ২৮ টেস্টের ক্যারিয়ারে জিম্বাবুয়ের অন্যতম সফল এই অধিনায়কের এটাই ছিল ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান।

২০১২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেও তিনি আছেন ক্রিকেটের সঙ্গেই। মিরপুর স্টেডিয়ামে খুঁজে পাওয়া গেলো সেই টাইবুকে। চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়ের প্রধান নির্বাচক হিসেবে ঢাকায় এসেছেন টাইবু।

সংবাদ মাধ্যমের সাথে আলাপকালে জানালেন তার স্মৃতিতে আজও সজাগ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। ২০০৫ সালের স্মৃতিতে ফিরে গিয়ে টাইবু জানিয়েছেন, ‘ওটাই টেস্টে আমার সর্বোচ্চ ইনিংস। দল খারাপ অবস্থায় ছিল বলেই ওটার কথা বেশি মনে আছে। ব্রেন্ডন টেলরের সঙ্গে আমার বড় জুটি ম্যাচের চেহারাই বদলে দেয়।’

টাইবুর দুঃখ, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এখন আর ক্রিকেট হয় না। তারপরও সময় পেলে একবারের জন্য ঘুরে আসতে চান প্রিয় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, ‘সে মাঠে এখন আর ক্রিকেট হয় না। সেটি এখন ফুটবল মাঠ। আমার প্রিয় মাঠগুলোর একটি। সময় পেলে ওখানে ফুটবল খেলা দেখতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।’

অভিমানে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে ক্রিকেট থেকেই দূরে চলে গিয়েছিলেন টাইবু। বেছে নিয়েছিলেন ধর্মযাজকের জীবন। ২০১৬-এর জুনে আবারও ক্রিকেটে ফিরেছেন প্রধান নির্বাচক হয়ে। জিম্বাবুয়েতে চালাচ্ছেন একটা একাডেমিও। ক্রিকেটার তৈরি করাই এখন তার লক্ষ্য।
১৭ জানুয়ারি ২০১৮/এমটিনিউজ২৪.কম/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে