স্পোর্টস ডেস্ক: ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাই সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকলেন তিনি। এই জিম্বাবুয়েকে গত বছর সফরকারী হিসেবেই সিরিজ হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। এরপর ত্রিদেশীয় সিরিজের এই জয় দলটির সাফল্যের মুকুটে যুক্ত করেছে নতুন পালক। লঙ্কানদের বিপক্ষে তুলনামূলক খর্বশক্তির জিম্বাবুয়ের সাফল্যের মূল রহস্য কী?
সিকান্দার রাজা জানান, বিশ্বাস এবং আস্থাই তাদের সাফল্যের মূল ভিত্তি। ২০১৯ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের মূল লড়াইয়ে নামার আগে এমন সাফল্যে যেন বার্তাই রাখতে চাইল টেস্ট র্যাংকিংয়ের তলানির দলটি। সাংবাদিকদের রাজা বলেন, ‘সাফল্যের পেছনে আছে আমাদের বিশ্বাস, আমাদের চারিত্রিক উৎকর্ষতা এবং পারস্পরিক আস্থা। ২০১৯ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে যাওয়ার আগে সব দলকেই আমরা একটি বার্তা দিতে চাই, প্রতিটি দলের বিপক্ষে জয়ের সামর্থ্য আমাদের আছে।’
কদিন আগে সিকান্দার রাজা বাংলাদেশ মাতিয়ে গেছেন চিটাগং ভাইকিংসের জার্সি গায়ে বিপিএল খেলে। আসরে দলটির পারফরমেন্স খুব একটা ভালো না হলেও সন্তোষজনক পারফরমেন্স ছিল রাজার। এর আগে জিম্বাবুয়ে দলের হয়ে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ সফর করা হয়েছে তার। সব মিলিয়ে এখানকার কন্ডিশন তার কাছে এতটাই পরিচিত ঠেকছে যে বাংলাদেশকে তিনি আখ্যা দিচ্ছেন নিজের ‘সেকেন্ড হোম’ হিসেবে- ‘বাংলাদেশ ধীরে ধীরে সেকেন্ড হোম-এ পরিণত হচ্ছে। বিপিএলের অভিজ্ঞতা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে বলে আমি মনে করি। এই বিষয়গুলো অবশ্য শব্দে প্রকাশ করা কঠিন। আপনি যখন একই জায়গায় সফর করতে করতে জায়গাটির সাথে পরিচিত হবেন, তখন খেলার বিষয়গুলো বেশ সহজ হয়ে যায়।’
অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বিসিবি ও চিটাগং ভাইকিংসকে ধন্যবাদও জানান তিনি, ‘এই অভিজ্ঞতাটা আমার আগে ছিল না, যেটা এখন আছে। আমি বিসিবি ও চিটাগং ভাইকিংসকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস