বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৭:৫৫:২৮

আমরা সে ব্যাপারে অলরেডি কাজ শুরু করেছি: পাপন

 আমরা সে ব্যাপারে অলরেডি কাজ শুরু করেছি: পাপন

স্পোর্টস ডেস্ক: মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম গতকাল ছুঁয়েছে শততম ওয়ানডের মাইলফলক। বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে থাকলেও হতে পারেনি শততম ম্যাচের অংশীদার। এ নিয়ে একটা আক্ষেপ দেখা গেল অনেকের মধ্যেই। আর সাবেক ক্রিকেটারদের মতে, এখনো ‘হোম অব ক্রিকেট’ হিসেবে মিরপুর শেরেবাংলা পায়নি তার পূর্ণতা। এর অন্যতম কারণ বিশ্বের খ্যাতনামা স্টেডিয়ামগুলোর মতো এখানেই দেশের ক্রিকেটের ইতিহাসকে তুলে ধরার মতো নেই কোনো আর্কাইভ। গতকাল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন শততম ওয়ানডে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জানান এ মাঠ নিয়ে তার স্বপ্নের কথা।

জানান, আর্কাইভ নিয়ে তার পরিকল্পনা ও কাজ শুরু হলে মিরপুর মাঠে সেটির পূর্ণতা পাবে না। তার সব চিন্তা এখন পূর্বাচল স্টেডিয়াম ঘিরে। তিনি বলেন, ‘আসলে এটা (আর্কাইভ) নিয়ে অবশ্যই আমাদের চিন্তা আছে। এটা নিয়ে কাজ কিন্তু আমরা শুরু করেছি। দুর্ভাগ্যজনক যে ধরনের প্ল্যানটা আমরা করতে চাচ্ছি তার জন্য এখানে জায়গা কিন্তু কম। বাইরেরগুলোতে যদি দেখেন ওদের যে জায়গা আছে আমাদের কিন্তু সে রকম নেই। এখনও ম্যাক্সিমাম যেটুকু করা যায় আমরা সে ব্যাপারে অলরেডি কাজ শুরু করেছি। কমিটি করছি। তাছাড়া পূর্বাচলে আমাদের একটা নতুন স্টেডিয়াম হচ্ছে। আমরা এখন যেটা করছি ওটাকে টার্গেট করে ওখানটায় আমরা কী কী করতে চাই সেই কাজটা এখান থেকে শুরু করে দিয়েছি। এখানটায়ও থাকবে। এখানটা তো আর চলে যাচ্ছে না। স্মৃতি থাকবেই, স্টেডিয়াম তো থাকবেই। এখানে সর্বোচ্চ যা করা যায় করবো। বাকিগুলো আমরা ওখানে নিয়ে যাব।’

‘হোম অব ক্রিকেট’ হওয়ার পর থেকেই মিরপুর শেরেবাংলাতে আর্কাইভ তৈরির অনেক আশ্বাস দিয়েছেন সাবেক বোর্ড সভাপতিরা। এমনকি নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ডও এ নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার সব চিন্তা-চেতনা এখন পূর্বাচলে নতুন স্টেডিয়ামকে ঘিরে। সূত্র থেকে জানা যায়, মিরপুরে এখন ক্রিকেট ঘিরে যে উত্তাপ ও উদ্দামতা পূর্বাচলে স্টেডিয়াম তৈরি হলে সেটি থাকবে না। এমনকি বিসিবির প্রধান কার্যালয় সেখানেই চলে যেতে পারে নতুন রূপে।

তবে সেই স্টেডিয়ামের কাজ এখন কত দূর? কবে থেকে শুরু হবে সেটির কাজ? এনিয়ে নাজমুল হাসান বলেন, ‘পূর্বাচল  স্টেডিয়াম নিয়ে লেটেস্ট আপডেট হচ্ছে, আমাদেরকে যে জায়গা বরাদ্দ দেওয়ার জন্য সরকারের তরফ থেকে সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে গিয়েছিল এখন ওটা ফাইন্যান্স মিনিস্ট্রিতে। অন্যান্য সব জায়গা থেকেই অনুমোদন হয়ে গেছে। এবং ফাইনালি এটা ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে আবার প্রধানমন্ত্রীর অফিসে গেছে ফাইলটা। কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে, এখন একদিন আমাদের বসে ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

উৎসব হবে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচি করেছিল বিসিবি। ইচ্ছা করলেই বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ শততম ম্যাচেই বাংলাদেশকে রেখেই সূচি করতে পারতো। কিন্তু সেটি হয়নি। এ নিয়ে কিছুটা আফসোসও ঝরলো বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কণ্ঠে। তবে শততম ম্যাচের চেয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হওয়াই তাদের আসল লক্ষ্য বলে জানান তিনি। নাজমুল হাসান বলেন, ‘এটা একদিক দিয়ে আপনি বলতে পারেন যে, আজকের এই শততম ওডিআইতে বাংলাদেশের খেলাও রাখতে পারতাম। এটা ঠিক আছে।

আমরা শততম টেস্ট ম্যাচটাও বাইরে খেলেছি, শ্রীলঙ্কায় গিয়ে। যেখানেই হোক। আজকেরটা ভেন্যুর ওপরে গেছে। একটা সিগনিফিক্যান্ট জিনিস কিন্তু আমার কাছে আছে। প্রথম খেলাতে জিম্বাবুয়ে এবং মাসাকাদজা ছিল আজকেও আছে। ওদিক দিয়ে যদি আপনি দেখেন, ইট ইজ ওকে। তবে বাংলাদেশ হলে আরও ভালো হতো। আর একটা বিষয় আমাদের মাথায় আসলে শততম ওয়ানডের উৎসবের চেয়ে বড় একটি বিষয় আছে। সেটি হলো এ ত্রিদেশীয় সিরিজে চ্যাম্পিয়ান হওয়া। কারণ আমরা কিন্তু এখনো কোনো ধরনের টুর্নামেন্টে শিরোপা জিততে পারিনি। একটা সুযোগ এসেছিল এশিয়া কাপে কিন্তু ২ রানের জন্য হেরে যায় দল। এখন তো আমাদের সামনে এ সিরিজে জেতার সুযোগ আছে। সেটি জিততে পারলেই বেশ আনন্দ হবে।’
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে