শনিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৭:২০:৫৫

বন্ধু ছিলাম, বন্ধু আছি, বন্ধু থাকব

বন্ধু ছিলাম, বন্ধু আছি, বন্ধু থাকব

স্পোর্টস ডেস্ক: বলা হয়ে থাকে যে, বিপথে পা না বাড়ালে শচীন টেন্ডুলকারের চেয়েও বড় ক্রিকেট লিজেন্ড হতে পারতেন বিনোদ কাম্বলি। দুজনের বন্ধুত্ব স্কুল ক্রিকেট থেকে। একই সঙ্গে ২২ গজে পা রেখেছিলেন। স্কুল ক্রিকেটে ৬৬৪ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ যা আজও ইতিহাস। এরপর একজন হয়ে যান 'লিটল মাস্টার', আর অন্যজন হারিয়ে যান অন্ধকারে। কিন্তু তাই বলে কি বন্ধুত্ব টিকে থাকবে না?

শোনা যায়, একটা সময় নাকি শচীন-কাম্বলির বন্ধুত্বেও ফাটল দেখা দিয়েছিল। সেই ফাটল ধরার পর শচীনের বিরুদ্ধে টিভির পর্দায় নানা বিষোদগার করেছিলেন কাম্বলি। পরে এই ঘটনার জন্য অবশ্য ক্ষমাও চান তিনি। এরপর সব বিবাদ ঝেড়ে ফেলে গত বছর আবারও একই ফ্রেমে হাজির হন দুই বন্ধু। মাস্টার ব্লাস্টারের পরামর্শেই আজ ক্রিকেট কোচিং শুরু করেছেন কাম্বলি। যার কৃতিত্বও দেন বন্ধু শচীনকেই।

এবার সেই বন্ধুর জন্মদিনেই হাজির হলেন শচীন টেন্ডুলকার। নিজের ফেসবুকে পোস্ট করলেন দুজনের বিরল কিছু ছবি। সঙ্গে শুভেচ্ছা বার্তা 'তুমি হাজার বছর বাঁচ, তোমার বছরগুলো হোক একহাজার দিনের।' একসময়ের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে শচীনের এই শুভেচ্ছা ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। মুহূর্তের মধ্যেই ক্রিকেট ভক্তদের শুভেচ্ছাবার্তা আসতে থাকা টেন্ডুলকার-কাম্বলি জুটির জন্য।

কোচ রমাকান্ত আচরেকরের দুই শিষ্যের ক্রিকেট দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি। এমনকী স্বয়ং কপিল দেব পর্যন্ত বলেছেন, 'কাম্বলি শচীনের থেকেও বড় হতে পারত'। কিন্তু ভাগ্য যেন কাম্বলির জন্য অন্য কিছু লিখে রেখেছিল। বহু বিতর্কের পর ২০০০ সাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জীবনের শেষ ম্যাচ খেলেন কাম্বলি। বিপরীতে শচীনের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে উজ্জ্বল তারকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে