মঙ্গলবার, ১৩ মার্চ, ২০১৮, ০৮:৫৫:১৫

তবুও উন্নতি দরকার যেসব জায়গায়

তবুও উন্নতি দরকার যেসব জায়গায়

স্পোর্টস ডেস্ক: নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদি বলা হয় বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সেরা পারফরম্যান্স, তাহলেও ভুল হবে না।

দলের প্রত্যেকের প্রচেষ্টা, নিবেদন এবং আত্মবিশ্বাস ছিল দেখার মতো। মাঠের লড়াইয়ে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেয়নি লঙ্কানদের। প্রতিপক্ষ, স্বাগতিক দর্শক, অচেনা উইকেট- সব কিছুকেই জয় করেছে দুর্বার বাংলাদেশ। লক্ষ্যটা বাংলাদেশের এখন অনেক বড়। নিদাহাস ট্রফির শিরোপা চায় বাংলাদেশ।

এক জয় দিয়ে তো আর শিরোপা জেতা সম্ভব নয়। তাই শেষ দুই ম্যাচে বাংলাদেশকে পেতে হবে জয়। অন্তত একটি জয় তো অত্যাবশ্যক। শ্রীলঙ্কাকে যেভাবে তুলোধুনো করেছে, ঠিক সেকরম একটি জয় পেলেই ফাইনালের মঞ্চে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। এরপর রান রেটের হিসাব কষা যাবে। জয় পাওয়া ম্যাচে আড়াল হয়ে যায় ভুলগুলো। সেই ভুলগুলোকে শুধরাতে পারলেও জয় অসম্ভব কিছু না। হারানো সম্ভব টি-টোয়েন্টির র‍্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে থাকা ভারতকেও।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ কলম্বোতে ২১৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছে। ২ বল হাতে রেখে জয় পায় ৫ উইকেটে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে যা চতুর্থ সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। অসাধারণ, অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশের পারফরম্যান্স অনেকের চোখে বিস্ময়ের কাজল পরিয়েছে! পারফরম্যান্স একশতে একশ হলেও এই ম্যাচেও বাংলাদেশের ডট বল ছিল স্বাভাবিকের থেকে বেশি।

ভারতের বিপক্ষে ৫৫ ডট বল খেলা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে ডট বল খেলেছে ৩৬টি! ১১৮ বলের ইনিংসে ৩৬ ডট বলের অর্থ ৮২ বলে ২১৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ। নিঃসন্দেহে গর্ব করার বিষয়। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের যে স্ট্রাইক রোটেটে গড়বড় আছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পেসার কিংবা স্পিনার, সব বোলারদের বিপক্ষেই সিঙ্গেল বের করতে বেগ পেতে হয়েছে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশ দুই ম্যাচে যত ডট বল খেলেছে, তার অর্ধেক খেললেও রান চূড়ায় উঠে যেত। এ জায়গায় পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশকে এগিয়ে আসতে হবে একধাপ।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বোলারদের পারফরম্যান্স ছিল তলানিতে। ব্যাটসম্যানরা যতটা ভালো ছিলেন, বোলাররা ছিলেন ঠিক ততটাই বিপরীত। চার পেসার ১২ ওভারে দিয়েছেন ১৪৪ রান। আর তিন স্পিনার বাকি ৮ ওভারে দিয়েছেন ৬৬ রান। পেসারদের মধ্যে ছিল না কোনো আগ্রাসন। তাসকিন বারবার জোর দিচ্ছিলেন তার গতিতে। কিন্তু গতি বাড়াতে গিয়ে হারাচ্ছিলেন তার লাইন ও লেংথ। রুবেল হোসেনেরও তাই। বারবার শর্ট বল করছিলেন। আর প্রতিটিতেই কড়া শাসনের শিকার। মুস্তাফিজুর রহমানের শুরুটা ভালো হলেও শেষটা ছিল বিবর্ণ। তবে উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষ শিবিরে বারবার আঘাত করছিলেন মুস্তাফিজই। স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ভালো বল করেছিলেন। তাকে হতে হবে ধারাবাহিক।

ফিল্ডিংয়েও ধার বাড়াতে হবে। দ্বিতীয় ম্যাচে ফিল্ডারদের হাতে বল রেখে এক রানকে দুই রান বানিয়েছেন লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। আর উইকেটের পেছনে মুশফিককে হতে হবে আরো তুখোড়।

আত্মবিশ্বাসের তলানিতে থাকা বাংলাদেশ পেয়েছে বহুকাঙ্খিত জয়। বুধবার বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত, এরপর শ্রীলঙ্কা। সবশেষ ম্যাচের আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে বাংলাদেশ নিদাহাস ট্রফির শেষটা রাঙাতে পারে কি না সেটাই দেখার। ভালো ফল পেতে হলে অবশ্যই ভুলগুলোকে আগে শুধরাতে হবে।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে