স্পোর্টস ডেস্ক: শেষ ওভারে প্রয়োজন ১২ রান। টান টান উত্তেজনা। দ্বিতীয় বলে রানআউট হয়ে গেলেন মোস্তাফিজুর রহমান। স্ট্রাইকে থাকার কথা মাহমুদউল্লাহর। কিন্তু আম্পায়ার তাকে স্ট্রাইকে দেবেন না। এ নিয়ে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মাহমুদউল্লাহ আর রুবেলকে উঠে আসতে বললেন।
আম্পায়ার আর ম্যাচ রেফারিসহ অন্য কর্মকর্তারা থামালেন। স্ট্রাইকে থাকলেন মাহমুদউল্লাহই। তৃতীয় বলেই মারলেন বাউন্ডারি। চতুর্থ বলে দুই রান। আর প্রয়োজন ৬ রান। পঞ্চম বলে ইসুরু আদানাকে ছক্কা মেরেই বাংলাদেশকে ২ উইকেটের ব্যবধানে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিলো ওপেনার তামিম ইকবাল। তবে তার সঙ্গী লিটন দাস গত ম্যাচের মতো আজও ব্যর্থ। আউট হওয়ার আগে করে ৩ বলে ০ রান। লিটনের পরে উইকেটে নেমেই পরপর দুই বলে বাউন্ডারি হাকিয়ে ভালো কিছুর আভাস দিয়েছিলেন সাব্বির রহমান। কিন্তু আকিলা ধনঞ্জয়ার পরের ওভারে এসেই সাজঘরে ফেরেন সাব্বির। এগিয়ে এসে খেলতে গেয়ে বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি সাব্বির। তার প্যাড ছুঁয়ে যাওয়া বল গ্লাভসে জমিয়ে স্ট্যাম্প ভেঙে দেন কুশল পেরেরা। সাজঘরে যাওয়ার আগে করে ৮ বলে ১৩ রান।
দলীয় ৩৩ রানেই ২ উইকেট হারানোর পর তামিম ইকবালের সাথে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেটে তামিমের সঙ্গে ৬৪ রানের জুটি পর আগের দুই ম্যাচের নায়ক মুশফিকুর রহিম এবার ফেরেন ২৫ বলে ব্যক্তিগত ২৮ রান করে। সাবাই যখন আসা যাওয়ার মিছিলে তখন দলকে একাই টেনে রেখেছে ওপেনার তামিম ইকবাল।
অনেকটা ধীর গতিতেই পিচে আটকে থেকে ফিফটি তুলে নেন তামিম। ৪১ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ফিফটি করেন তিনি। ফিফটির পর তার কাছ থেকে দারুণ কিছু প্রত্যাশা ছিল টাইগার ভক্তদের। কিন্তু ইনিংসের ১৪তম ওভারের শেষ বলে অফ স্পিনার ধানুশকা গুনাথিলাকাকে বেরিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন তামিম।
বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে উইকেটরক্ষক কুশল পেরেরা হাতে তালুবন্দি হয়। তামিমের মতোই সাজঘরে ফিরে সৌম্য সরকার। এরপর বিপদের সময় দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তার ব্যাটিংয়ে ভড় করে বাংলাদেশ জয়ের বন্ধরে পৌছে যায়।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি