স্পোর্টস ডেস্ক: কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচটি বেশ কয়েকটি কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। একে তো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অবিশ্বাস্য জয় উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশকে। শেষ তিন বলে ১২ রান, এমনকি ছক্কা মেরে অবিস্মরণীয় এক জয় এন দিয়েছেন তিনি। সেই তিন বলের আগে যে ঘটনা ঘটেছে সেটাও মনে রাখার মত।
বিশেষ করে বোলার ইসুরু উদানা দুটি ডেলিভারি পরপর এমন বাউন্স দিলেন যে, সেগুলোকে নো কিংবা ওয়াইড ডাকতে হয়; কিন্তু আম্পায়াররা কিছুই ডাকলেন না। বরং, ৬ বলে ১২ রান থেকে পরিণত হলো ৪ বলে ১২ রান। দুটি বল নষ্ট হয়ে গেলো আম্পায়ারের পক্ষপাতিত্বে।
শুধু ম্যাচের শেষের ওই ঘটনাই নয়, পুরো ম্যাচেই বলতে গেলে পক্ষপাতিত্ব করেছেন মাঠের দুই শ্রীলঙ্কান আম্পায়ার। একে তো ডু অর ডাই ম্যাচ। যে জিতবে, সেই খেলবে ফাইনাল। যে হারবে, তার বিদায়। এমন ম্যাচেই কি না স্বাগতিকদের ম্যাচ পরিচালনায় দায়িত্ব দেয়া হলো শ্রীলঙ্কান আম্পায়ারের ওপর! মাঠে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন রবিন্দ্র উইমালাসিরি, রুচিরা পালিয়াগুরুগে। টিভি আম্পায়ার ছিলেন শ্রীলঙ্কারই রানমোর মার্টিনেজ এবং রিজার্ভ আম্পায়ার ছিলেন লিন্ডন হ্যানিবাল। তিনিও শ্রীলঙ্কান।
অর্থ্যাৎ এই ম্যাচে বাংলাদেশ খেলতে নেমেছিল মোট ১৫জন শ্রীলঙ্কানের বিপক্ষে। মাঠে যে আম্পায়াররা নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্ব করেছেন, সেটা স্পষ্ট হয়ে যায় আরেকটি ঘটনায়। খেলা চলছিল ১১তম ওভারের। বোলার জীবন মেন্ডিস। ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। আম্পায়ার তখন রুচিরা পালিয়াগুরুগে। মেন্ডিজের বলটিকে আলতো খোঁচায় উইকেটরক্ষকের পাশ দিয়ে ঠেলে দেন তামিম। উইকেটরক্ষক মিস করলেও যদি স্লিপ ফিল্ডার থাকতো, তাহলে আউট হয়ে যেতেন।
স্বাভাবিকভাবেই বোলার জীবন মেন্ডিস হতাশা প্রকাশ করলেন। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্য্যের বিষয় হলো, আম্পায়ার রুচিরা পালিয়াগুরুগেকেও দেখা গেলো হতাশা প্রকাশ করতে। যেন বোলার তখন তিনি নিজে। উইকেট না পাওয়ার হতাশা প্রকাশ করলেন মুখ দিয়ে, এক হাতের ওপর আরেক হাতের আলতো ঘুষিতে।
এই ঘটনারই ভিডিওটা ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নিশ্চিত, আম্পায়ারদের এমন পক্ষপাতিত্বের বিষয়টি নজরে পড়বে আইসিসিরও।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি