রবিবার, ১৮ মার্চ, ২০১৮, ০৯:৫৬:১১

সন্ধ্যায় ভারত-বাংলাদেশ ফাইনাল নিয়ে আজ সকালে কলকাতার পত্রিকায় যা লিখলো

সন্ধ্যায় ভারত-বাংলাদেশ ফাইনাল নিয়ে আজ সকালে কলকাতার পত্রিকায় যা লিখলো

স্পোর্টস ডেস্ক : একটা দল টানা তিনটে ম্যাচ জিতে ফেভারিট। অন্য দলটা কার্যত সেমিফাইনালে একটা উত্তেজক লড়াই জিতে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে আজ, রোববার কলম্বোয় ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ। তার আগে দুই শিবির থেকেই যে ছবিটা ফুটে বেরোচ্ছে, সেটা হল আত্মবিশ্বাস।

ভারতের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশের রেকর্ড মোটেই ভাল নয়। কিন্তু অতীত আদৌ ভাবাচ্ছে না সাকিব আল হাসানের দলকে। চোটের জন্য বাইরে থাকার পরে শেষ ম্যাচ থেকে দলে ফিরেছেন সাকিব। ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনাল নিয়ে তার বক্তব্য, ‘কোনও সন্দেহ নেই, ভারত ভাল দল। কিন্তু আমরা একটা ছন্দ পেয়ে গিয়েছি। আশা করব, ফাইনালে এই পারফরম্যান্সটা ধরে রাখতে পারব।’

সাকিব দলে ফিরে আসায় বাংলাদেশের শক্তি যে অনেক বেড়েছে, তা বলছিলেন মাহমুদুল্লাহ্। তার কথায়, ‘সাকিবের দলে ফিরে আসাটা আমাদের জন্য খুব কাজে এসেছে।’

সাকিবরা যতই শেষ ম্যাচ জিতে চাঙ্গা হয়ে থাকুন না কেন, দীনেশ কার্তিক মনে করছেন, তারা বাংলাদেশ-কে সামলানোর জন্য তৈরি। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে এসে কার্তিক বলে দিলেন, ‘গ্রুপ লিগে আমরা ভাল খেলেছি। প্রথম ছ’ব্যাটসম্যানই ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছে। সবাইকে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। ফাইনালের জন্য আমরা পুরোপুরি তৈরি।’

ফাইনালে দু’দলের লড়াইয়ের আগে কার্তিক প্রত্যাশার চাপ নিয়ে বলছিলেন, ‘আমরা প্রথম সারির দল নিয়ে খেলছি, না দ্বিতীয় সারির, তাতে কিছু যায় আসে না। ভারত যখন খেলতে নামে, দেশের মানুষ জয় ছাড়া আর কিছু দেখতে চায় না। আমরা যখন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতি, তখন সার্বিক প্রতিক্রিয়াটা মোটামুটি এ রকম হয়: ‘ওহ, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতেছ!’

আবার যদি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ হারি, তা হলে প্রতিক্রিয়া দাঁড়ায়: ‘সে কী, বাংলাদেশের কাছে ম্যাচ হেরেছ?’ তা হলেই বুঝতে পারছেন পরিস্থিতিটা।’ ফাইনালের আগে ভারতীয় শিবিরের মনোভাবও পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে কার্তিকের কথায়।

এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘রোহিত আমাদের বলেই দিয়েছে, দলে হয়তো কয়েক জন ক্রিকেটার নেই, কিন্তু গত এক বছর ধরে আমরা যে ক্রিকেটটা খেলে আসছি, ফাইনালে সেটাই খেলতে চাই।’

ফাইনালে ফেভারিট হলেও বাংলাদেশকে কোনও ভাবেই যে হাল্কা ভাবে নিচ্ছেন না তারা, তা বলে দিয়েছেন কার্তিক। তার বক্তব্য, ‘উপমহাদেশের পরিবেশে বাংলাদেশ সব সময়ই বেশ ভাল দল। নাছোড়, লড়াকু মনোভাব ওদের বড় অস্ত্র। ওরা সব সময় চেষ্টা করে যায়। টেস্ট স্বীকৃতি পাওয়ার পরে ওরা বাকি ফর্ম্যাটের ক্রিকেটেও ভাল খেলছে।’

এই টুর্নামেন্ট যেমন ভারতের বেশ কয়েক জন নতুন মুখের পরীক্ষা, ঠিক তেমনই কার্তিকেরও পরীক্ষা। ভারতের সীমিত ওভারের ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ঘটানো এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান জানেন, দু’একটা ব্যর্থতাই তাঁকে আবার ছিটকে দিতে পারে জাতীয় দল থেকে।

তাই কার্তিক বলেছেন, ‘আমার কাছে প্রতিটা টুর্নামেন্টই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি জানি, একটা টুর্নামেন্টে ব্যর্থ হলেই আমাকে ছিটকে যেতে হতে পারে। ভারতীয় দলে এখন তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তাই যে সুযোগটা পাচ্ছি, সেটাই কাজে লাগাতে হবে।’

পরের বছরেই বিশ্বকাপ। সে ব্যাপারটা কি মাথায় রেখে নিজেকে তৈরি করছেন? কার্তিক পরিষ্কার বলে দিচ্ছেন, ‘বিশ্বকাপ অনেক দূরে। আমি সে সব নিয়ে ভাবছি না। আমাকে এখন প্রতি ম্যাচে ভাল খেলতে হবে।’ ভাল খেলার জন্য মুখিয়ে আছে বাংলাদেশও। যার জন্য শাকিবের ফর্মুলা হল, সম্পূর্ণ চাপমুক্ত থেকে খেলতে নামা।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা ফাইনাল নিয়ে এখনও কোনও কিছু ভাবছি না। আমরা এটাকে চাপ হিসেবে দেখছি না। আমরা চাই চাপমুক্ত হয়ে ফাইনাল খেলতে। যদি কেউ চাপের কথা ভেবে খেলে, তা হলে সেটা চাপ। না হলে নয়।’

-কলকাতা থেকে ভারতের সর্বাধিক প্রকাশিত বাংলা সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদন।

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে