রবিবার, ১৮ মার্চ, ২০১৮, ১১:৪৫:২৩

ওদের মনে ট্রফি জেতার ক্ষুধাটা দেখতে পাচ্ছি: খালেদ মাহমুদ

ওদের মনে ট্রফি জেতার ক্ষুধাটা দেখতে পাচ্ছি: খালেদ মাহমুদ

স্পোর্টস ডেস্ক: রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। শিরোপার এত কাছে গিয়ে আবার মন ভাঙবে না তো সবার? এ নিয়ে গতকাল কলম্বো থেকে টেলিফোনে কথা বলেছেন দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ

প্রশ্ন : আপনিও দেখলাম নাগিন নাচছেন! কখনো কখনো কি ইমোশন কন্ট্রোল করা অসম্ভব হয়ে পড়ে?

খালেদ মাহমুদ : আসলে তখন কী করেছিলাম, বুঝতে পারছিলাম না! শেষ ওভারের ঘটনা, তারও আগে আমাদের চারপাশে যা ঘটেছিল, তা নিয়ে খুব আবেগতাড়িত ছিলাম হয়তো। মাঠে অনেকে অনেকভাবে সেলিব্রেশন করে। কিন্তু ওরা আমাদের নাগিন ডান্স নিয়ে অযথাই ঠাট্টা করছিল। ড্রেসিংরুমের সামনের দর্শকরাও পুরো ম্যাচে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করেছে। সেসবের প্রতিক্রিয়াতেই হয়তো ওরকম করেছিলাম।

প্রশ্ন : সেই আপনাকেই দেখলাম সাকিবকে শান্ত করে ড্রেসিংরুমে পাঠালেন...

মাহমুদ : দেখেন, টিভিতে দেখে অনেকের অনেক কিছু মনে হতে পারে। লেগ আম্পায়ার নো সংকেত দেওয়ার পরও সেটা বাতিল হয়ে যাওয়ার বিষয়টিরই প্রতিবাদ করেছিল সাকিব। কোনোভাবেই খেলা বন্ধ হোক, এটা ও চায়নি। চাইলে তো আমি বলতেই ওপরে উঠে যেত না। তবে একটা কথা মনে রাখবেন, আমরাও মানুষ। আমাদেরও আবেগ আছে।

প্রশ্ন : এই জয়টাকে আপনি কোথায় রাখবেন? আপনার খেলোয়াড়ি জীবনকেও যদি বিবেচনায় আনতে বলি?

মাহমুদ : এটা একটা টি-টোয়েন্টির ম্যাচ। তবু এই জয়টা আমাদের কাছে অনেক মূল্যবান। কিছুদিন আগে ক্রমাগত হেরেছি। সেখান থেকে মুশফিকের দারুণ একটা ইনিংসে জয়ের দেখা পেলাম এখানে। সবশেষ রিয়াদের (মাহমুদ উল্লাহ) ওরকম পরিস্থিতিতে এ রকম ব্যাটিং...অবিশ্বাস্য। বলতে পারেন, এই জয়টা বিশেষভাবে উপভোগ করার অনেক কারণ আছে।

প্রশ্ন : কিন্তু ঘুরেফিরে তো সেই সিনিয়রদের নৈপুণ্যই চোখে পড়ছে। তাঁদের অনুজরা কবে পাপড়ি মেলবেন?

মাহমুদ : এটা নিয়ে আমরা আলোচনাও করেছি। ওদেরও দলকে জেতানোর ক্ষমতা আছে। তবে সেটা মাঠে দেখা যাচ্ছে না। আশা করি, ওরা সহসাই জ্বলে উঠবে।

প্রশ্ন : এমন স্নায়ুক্ষয়ী দুটি ম্যাচের এক দিন পরই ফাইনাল, যে মঞ্চে এখনো জেতেনি বাংলাদেশ। এই শেষ হার্ডলটা পেরোতে খেলোয়াড়রা মানসিকভাবে কতটা তৈরি?

মাহমুদ : মাশাল্লাহ, মানসিকভাবে ছেলেরা অনেক স্ট্রং আছে। আপনি যখন কঠিন লড়াইয়ে জিতবেন, তখন আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বেই। কোনো দলকে খাটো করে বলছি না, এই টুর্নামেন্টের দুটি দলকেই হারানোর সামর্থ্য আমাদের আছে। ভারতের বিপক্ষে একটা জেতা ম্যাচ হেরেছি। আশা করি, ফাইনালে ছোটখাটো সেই ভুলগুলো আর হবে না। ওদের মনে ট্রফি জেতার ক্ষুধাটা দেখতে পাচ্ছি। শ্রীলঙ্কা ২১৪ রান করার পরও আমরা আলোচনা করেছিলাম, ওরা পারলে আমরা পারব না কেন? মুশফিক-রিয়াদ পারলে আমাদের অন্যরাও পারবে।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে