স্পোর্টস ডেস্ক: প্রিমিয়ার ক্রিকেট, জাতীয় লিগ আর বিসিএলের সাথে যদিও মানের ফারাক বিস্তর তাই তুলনা করার আগে ভাবতে হচ্ছে কয়েকবার। তারপরও, কেউ ফর্মে থাকলে ঠিকই রান করবেন। আর অফ ফর্মের ব্যাটসম্যানের, ব্যাট কথা বলবে না কোথাও। যেমন রান নেই সৌম্য সরকারের ব্যাটে।
অথচ একই ম্যাচে সৌম্যর ব্যাটিং পার্টনার অভিজ্ঞ শাহরিয়ার নাফীস খেলছেন স্বচ্ছন্দে। অবলীলায় প্রতিপক্ষ বোলিং আক্রমণ মোকাবিলা করে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটাচ্ছেন শাহরিয়ার নাফীস। ৫৬ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করা শাহরিয়ার নাফীস ১০৩ বলে ৮২ রানে আউট হয়েছেন, ১০ বাউন্ডারিতে।
লিজেন্ডস অফ রুপগঞ্জের বোলারদের বিপক্ষে শেরেবাংলার যে পিচে শাহরিয়ার নাফীসের ব্যাটে রানের ফলগুধারা বইছে, সে ম্যাচে সৌম্যর রান করতে কি যে কষ্ট হলো! খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ২৪ পর্যন্ত গেলেন, জাতীয় দলের এ বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। বল খেললেন দ্বিগুণের বেশি; ৬৬টি।
অবাক হবার মতই বিষয়, এ ইনিংসে একটি বাউন্ডারিও নেই। নিদাহাস ট্রফিতে খেলতে যাওয়ার আগে অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে যে তিনটি ম্যাচ খেলেছেন, তাতেও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি সৌম্য। ওই তিন খেলায় তার স্কোর ছিল যথা ক্রমে ০+২৪+৬ =৩০। নিদাহাস ট্রফির পাঁচ ম্যাচেও কিন্তু আহামরি কিছু করতে পারেননি। পাঁচ খেলায় সংগ্রহ সাকুলে ১৪+২৪+১+১০+১ = ৫০।
যদিও ভিন্ন ফরম্যাটে, তারপরও ঘরের ক্রিকেট ও আন্তর্জাতিক আসরে শেষ নয় ম্যাচে (নিদাহাস ট্রফিতে পাঁচ আর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আজকেরটিসহ চার ম্যাচ) খেলায় ব্যাটে কোন সেঞ্চুরি তো বহুদুরে; হাফ সেঞ্চুরিও নেই। মোট রান মাত্র ১০৪। সর্বোচ্চ মোটে ২৪। ভাবা যায়, জাতীয় দলের একজন নিয়মিত টপ অর্ডারের এমন রান খরায় ভোগা ও করুন দশা!
হোম অফ ক্রিকেটে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জের ২০৪ রানের ছোট পুঁজির বিপক্ষে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অগ্রণী ব্যাংকের সংগ্রহ ৩৭ ওভারে ৩ উইকেটে ১৩১ রান।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি