স্পোর্টস ডেস্ক: শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ। আর সেই ম্যাচে ঘটে গেল অনেক নাটক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ওভারের ‘নো’ বল বিতর্কে জড়ায় দুই দল। আর তাতে নাম লেখান বাংলাদেশ দলের রিজার্ভ খেলোয়াড় হিসেবে থাকা নুরুল হাসান সোহান। যিনি কিনা রিজার্ভ খেলোয়াড় হিসেবে পুরো নিদাহাস ট্রফি শেষ করে। সেই ম্যাচের শেষ ওভারে থিসারা পেরেরাকে শাসিয়েছিলেন তিনি।
আর এর শাস্তি হিসেবে টাইগার অধিনায়ক সাকিব ও সোহানকে ম্যাচ ফির ২৫ ভাগ জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে তাদের নামের পাশে যোগ হয় ১ ডিমেরিট পয়েন্ট। তবে একে যথেষ্ট মনে করছেন না ভারতের সাবেক ক্রিকেটার হরভজন সিং বরং পুরো বাংলাদেশ দলকেই নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘যা ঘটেছে, ক্রিস ব্রডের (ম্যাচ রেফারি) অবশ্যই সিরিয়াস নোট নেয়া দরকার ছিল। আমি বিস্মিত যে তাদের ম্যাচ ফির মাত্র ২৫ ভাগ জরিমানা করা হয়েছে। আমার মনে হয়, তাদের কয়েক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল। পুরো দলকেই নিষিদ্ধ করা উচিত।’
এখন যিনি বাংলাদেশকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন সেই হরভজনের ক্যারিয়ার শুরুই হয়েছিল বিতর্ক দিয়ে। এমনকি শেষ দিকে এসেও মেজাজ ঠান্ডা করতে পারেননি তিনি।
চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক হরভজনের কাণ্ডগুলো-
১. ১৯৯৮ সালে ১৭ বছর বয়সে অভিষেক ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ার সিনিয়র খেলোয়াড় রিকি পন্টিংয়ের সঙ্গে মাঠে বেয়াদবি করেন তিনি। আর তার জন্য এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে হয়েছিল তাকে।
২. ২০০০ সালে ভারতের এক স্পিন বোলিং ক্যাম্পে তাকে পাঠানো হয়েছিল গ্রেট বোলারদের কাছ থেকে ট্রেনিং নিতে। অথচ সেখানে তার বাজে আচরণের কারণে বহিষ্কার করা হয় তাকে।
৩. ২০০২ সালে টিম হোটেলের বাইরে ভারতীয় পুলিশকে আক্রমণ করতে গিয়ে নিজের হাতেই আঘাত পেতে হয়েছিল তাকে।
৪. ২০০৫ সালে ভারতীয় কোচ চ্যাপেলের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক কথা বলে পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ও ভারতীয় বোর্ডের শাস্তির মুখেও পড়তে হয়েছিল হরভজনকে।
৫. ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরের ম্যাচ চলার সময় অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসকে ‘বানর’ বলেছিলেন হরভজন সিং। আর এটা ক্রিকেটে কুখ্যাত হয়ে আছে ‘মাঙ্কিগেট কেলেঙ্কারি’ নামে। ম্যাচ রেফারি মাইক প্রক্টর বর্ণবাদের দায়ে তিন টেস্টের জন্য বহিষ্কার করেছিলেন হরভজনকে।
৬. এমনকি ২০০৮ সালে প্রথম আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স বনাম কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ম্যাচ চলার সময় ভারতীয় পেসার শ্রীশান্তকে চড় মেরে বসেন হরভজন সিং। আর এতে কেঁদে ফেলেন শ্রীশান্ত। এর শাস্তি হিসেবে মৌসুমের বাকি আইপিএলে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তাকে। সেই সঙ্গে ভারতীয় দলে ৫ ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছিল দেশটির ক্রিকেট। আর এমন ঘটনা আবার হলে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের হুঁশিয়ারি মাথায় নিয়েই নিজের ক্যারিয়ার শেষ করতে হয়েছিল হরভজনকে।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি