বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৮, ১০:১৪:০১

আইপিএলে এক ম্যাচেই খেলোয়াড়দের পকেটে ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা!

আইপিএলে এক ম্যাচেই খেলোয়াড়দের পকেটে ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা!

স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এখন ক্রিকেটারদের চোখের মণি। বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোই যে এখন ক্রিকেটারদের আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস। তবে অন্য সব লিগের চেয়ে বহু বহু দূর এগিয়ে আছে আইপিএল। জাঁকজমক তো আছেই, সেই সঙ্গে অর্থের ঝনঝনানিতে আইপিএলের ধারে-কাছেও নেই কোনো লিগ। কিন্তু একজন মনে করেন, আইপিএল থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু পেতে পারেন ক্রিকেটাররা। আইপিএলের একটি নিয়ম তুলে দিলেই নাকি এক ম্যাচ খেলে ১০ লাখ ডলারও আয় করা সম্ভব। মানে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা!

১০ লাখ ডলার এ আসলে কত বড়, সেটা একটু হিসাব করে বলা যাক। ফুটবলের তিন মহাতারকা মেসি-রোনালদো-নেইমার বেতন বাবদ ক্লাব থেকে বছরে ৩০ থেকে ৫০ মিলিয়ন ডলারের মতো আয় করেন। বছরে ম্যাচের সংখ্যা হিসাব করলে ম্যাচপ্রতি সেটা অবশ্যই ১ মিলিয়ন ডলারের চেয়ে কম। আর আইপিএলেই এক ম্যাচে এত অর্থ! কিন্তু এমন অঙ্কটার কথা যে সে বলেননি, বলেছেন ললিত মোদি। এই ব্যক্তির প্রচেষ্টাতেই ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্চাইজির যুগে এসেছে। তাই মোদি যখন বলেন, আইপিএলের এক ম্যাচ খেলে ১০ লাখ ডলার আয় করা সম্ভব, তখন একটু গুরুত্ব দিয়েই শুনতে হয়।

এবার প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি পুরো দলের বেতনের জন্য খরচ করতে পেরেছেন ৮০ কোটি রুপি বা ১২.৫ মিলিয়ন ডলার। সব দলকেই এই সীমা বা স্যালারি ক্যাপ মেনে নিতে হয়েছে। টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোদি বলেছেন, এই স্যালারি ক্যাপ তুলে দিলেই খেলা বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখা ক্রিকেটারদের নিয়ে নিলামে লড়াইয়ে নামবে দলগুলো। ফলে বিরাট কোহলি কিংবা এবি ডি ভিলিয়ার্সের জন্য অর্থের ঝুলি নিয়ে নামবে সবাই, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকেরাই খেলোয়াড়দের বেতন দেয়। আইপিএল যদি স্যালারি ক্যাপ তুলে দেয়, এটাকে উন্মুক্ত করে দেয়? তাহলে তো সেটা প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের মতোই হবে। বেতন বেড়ে যাবে। অনেক খেলোয়াড়ই ম্যাচপ্রতি ১০ থেকে ২০ লাখ ডলার আয় করবে।’

এবারের আইপিএলে সর্বোচ্চ অর্থ পাচ্ছেন কোহলি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু তাঁকে ১৭ কোটি রুপি দিয়ে দলে টেনেছে। সেরা চারে না থাকলে মৌসুমে ১৬টি ম্যাচ খেলে এক একটি দল। ফলে এমনিতেই ম্যাচপ্রতি ১ কোটি রুপি পাচ্ছেন কোহলি। তাই বলে ম্যাচ প্রতি ৬ থেকে ১২ কোটি রুপি একটু বেশিই শোনায়। মোদি অবশ্য তাঁর বক্তব্যে অটল, ‘ভারতে দেড় শ কোটি মানুষ আছে, যারা ক্রিকেটে মজে আছে। ভারতের মানুষের আয় বাড়ছে। কিছুদিন পরেই দেখবেন, আইপিএল এক দিনেই ২০ কোটি ডলার আয় করবে প্রতি ম্যাচে! প্রতি মৌসুমে ৬০টি ম্যাচ, মানে টুর্নামেন্টের মূল্য বছরে হাজার কোটি ছাড়াবে।’

আইপিএলের মতো বিগ ব্যাশ কিংবা ন্যাট ওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টের মতো লিগ চালু হয়েছে। কিন্তু আইপিএলের মতো সাফল্য পাচ্ছে না কেউ। আইপিএল নিয়ে দুশ্চিন্তায় কদিন আগেই আলাদা করে আলোচনা করেছে কাউন্টির দলগুলো। এ সমস্যার সমাধান জানিয়ে দিয়েছেন মোদি, ‘বোর্ড আর কাউন্টি দল দিয়ে লিগ চালানো আবে না। মালিকদের কাছ থেকে টাকা জোগাড় করতে হবে। একটা টেবিলে ১০ জন ধনকুবেরকে যদি বসাতে পারেন, তাদের অহংবোধ জাগিয়ে তুলতে পারেন, সেটাই আপনাকে প্রয়োজনীয় অর্থ এনে দেবে। তাহলেই কেবল আইপিএলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।’
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে