স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বকাপের বলও ফাটে! ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের ২৯ মিনিটে হুট করেই ফাটল বল। ঠিক তাঁর ৫ মিনিট পর ওউসমানে ডেমবেলে আবিষ্কার করলেন, তাঁর হাতের বলটাও ফাটা!
ফুটবল খেলায় হুট করে বল ফেটে যাওয়া তো শৈশবের স্মৃতি। বিশ্বকাপে কাল সেই স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছিল ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ। আঁতোয়ান গ্রিজমান-লুকাস হার্নান্দেজদের খেলার মাঝে হঠাৎ করেই ফেটে গেল বিশ্বকাপের অফিশিয়াল বল অ্যাডিডাস টেলস্টার ১৮।
ম্যাচের তখন ২৯ মিনিট। সতীর্থ লুকাস হার্নান্দেজকে পাস দিয়েছিলেন গ্রিজমান। অস্ট্রেলিয়ার ডিফেন্ডার ট্রেন্ট সেইনসবুরি তাঁকে বাধা দিতে এলে বিপত্তিটা ঘটে। সেইনসবুরির পায়ের চাপে বলের পঞ্চত্বপ্রাপ্তি ঘটে—মানে ফেটে যায়। মুহূর্তের জন্য থেমে যায় দুই দলের খেলা। বলটা পাল্টে নিয়ে তা অস্ট্রেলিয়ার গোলরক্ষকের কাছে পাঠিয়ে দারুণ ক্রীড়াসুলভ মনোভাব দেখান গ্রিজমান। কিন্তু নাটকের তখনো বাকি ছিল।
ঠিক তার ৫ মিনিট পর কর্নার পায় ফ্রান্স। কর্নার কিক নিতে গেলেন ওউসমানে ডেমবেলে। তাঁকে যে বলটা দেওয়া হলো, সেটা হাতে নেওয়ার পর ডেমবেলে আবিষ্কার করলেন, ওই বলও ফাটা! ব্যাপার কী? সম্ভবত প্রথমবার যে বলটা ফেটেছিল, সেটাই ঘুরে-ফিরে চলে এসেছে ডেমবেলের হাতে।
সে যা–ই হোক, রাশিয়া বিশ্বকাপে টেলস্টার ১৮ কিন্তু গোলরক্ষকদের মন কাড়তে পারেনি। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই এই বলকে অনভিপ্রেত গতি আর হুট করে দিক বদলের জন্য ‘অদ্ভুতুড়ে’ বলেছিলেন স্পেনের গোলরক্ষক ডেভিড ডি গেয়া। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই গোলরক্ষকের সঙ্গে বলটার ‘সম্পর্ক’ যে অতটা ভালো নয়, তা বোঝা গেছে স্পেনের প্রথম ম্যাচেই। নইলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ওই শট ডি গেয়া রুখতে ব্যর্থ হন কীভাবে!