শনিবার, ২৩ জুন, ২০১৮, ০৮:০৫:১০

মেসি নাকি সাম্পাওলি, এবার জানা গেল আসল দোষী কে?

মেসি নাকি সাম্পাওলি, এবার জানা গেল আসল দোষী কে?

স্পোর্টস ডেস্ক: আর্জেন্টিনা ফুটবল মনে হয় এমনই। এখানে প্রকৃত মেধাবীদের চেয়ে অলস কিংবা কম মেধাবীদের গুরুত্ব দেয়া হয় বেশি। ২০১৮ এ দাঁড়িয়ে নয় বরং সেই দুই যুগ কিংবা ফুটবল জ্ঞান আসার পর থেকেই এমন রীতি চলমান আর্জেন্টাইন ফুটবলে। বাংলাদেশের কোটা সিস্টেমের মতো যতই প্রতিভা থাকুক না কেন একটা জায়গায় গিয়ে ঠিকই ধরা পড়ে আর্জেন্টিনার প্রকৃত মেধাবীরা।

এছাড়া বিকর্তিক স্কোয়াড, কোচ-সিনিয়রদের বাড়াবাড়িতে রাশিয়া বিশ্বকাপে খাদের কিনারায় আর্জেন্টিনা। আচ্ছা, বিশ্বকাপের স্কোয়াডে কেন নেই মাউরো ইকার্দি? যদিওবা কোচ সাম্পাওলি বলেছেন, ‘হি ইজ আনডিসেপ্লিন।’ হয়তো মনে মনে আওড়ানো, ফা* ইউ ম্যান, আই জাস্ট হেট হিম। সত্যিই বোকা ইন্টার মিলান ফুটবল ক্লাব কর্তৃপক্ষ। আনডিসেপ্লিন একজন খেলোয়াড়কে অল্প বয়সেই অধিনায়ক বানিয়ে দিলো ক্লাবটি। বোকা, সত্যিই পুরোদুস্তর বোকা। না হয় সাম্পাওলির মতো অত শত বুদ্ধি নেই তাদের!

যাই হোক। ইকার্দিটা না হয় বেয়াদব। বাদ দিলাম তার প্রসঙ্গও। এখন কথা হলো, স্কোয়াডে জায়গা পাওয়ার পরও দিবালা-পাভনের মতো তারকাকে কেন বসিয়ে মজা নিচ্ছেন মিস্টার সাম্পাওলি। উত্তর নাই। থাকারই কথা না। কারণ তারই তো পছন্দ থাকতে পারে। আর সেই পছন্দ-অপছন্দের অযাচিত মারপ্যাঁচে ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা দুইবারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার।

দলের পজিশন নিয়েও যাচ্ছে-তাই সিদ্ধান্ত সাম্পাওলির। ২-৩-৩-২ ফরমেশনে খেলানোর সিদ্ধান্ত তার। যদিওবা এই সিস্টেম প্রায় অচল দীর্ঘসময় ধরে। তাই তো তাকে কাণ্ডজ্ঞানহীন বলতে দ্বিধা করেননি আর্জেন্টিনার হয়ে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জেতানো নায়ক ডিয়াগো ম্যারাডোনা। তিনি ব্যাপারটাকে হাস্যকর বলেছিলেন। বলেছিলেন, একটি ম্যাচও জিততে পারবে না তার উত্তরসূরীরা।

তবে এবার কোচ সাম্পাওলির এমন সিদ্ধান্তগুলোয় এবার বেজায় চটেছেন আর্জেন্টিনার সিনিয়র খেলোয়াড়েরা। তারা তো নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে গুরুর বিদায় প্রার্থনা করেন। কেউবা আবার আগ বাড়িয়ে বলেছেন, প্লিজ তুমি বিদায় হয় এবার। অনেক কষ্ট করেছ তুমি আমাদের জন্য। তাদেরই একজন বিশ্বকাপ মিশনে সাদা-আকাশি জার্সিদের প্রথম হিরো আগুয়েরো। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ৯ মিনিটের মাথায় তাকে মাঠ থেকে তুলে নেন সাম্পাওলি। 

হারের পর বিমূঢ় হয়ে বেঞ্চে অনেকক্ষণ বসে ছিলেন আগুয়েরো। ম্যাচ শেষে সাম্পাওলি স্বীকার করে নেন তার ‘প্রকল্প ব্যর্থ হয়েছে’ এবং সে জন্য খেলোয়াড়দেরও দোষারোপ করেছেন চিলির এই কোচ। আগুয়েরো এর জবাবে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও বুঝিয়ে দিয়েছেন কোচের কথাটা তার ভালো লাগেনি। ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে আর্জেন্টিনার এই ফরোয়ার্ড বলেন, ‘সে যা খুশি বলতে পারে। রাগ ও দুঃখ দুটোই লাগছে যদিও এখনো সুযোগ আছে।’

তবে দোষটা শুধু কোচেরও ওপরই পড়েনি। অভিযোগ উঠেছে মেসির বিরুদ্ধেও। তাও দেশটির ৭০ বছরের এক ক্রীড়া সাংবাদিক অভিযোগ করেছেন, মেসি তার বন্ধুদের দলে ভিড়াচ্ছেন। আর তাই দল হারছে। এমনকি অতিদ্রুত কোচেরও সঙ্গে মেসিরও বিদায় প্রার্থনা তার।

এখন মেসি কিংবা কোচেরও বিদায়ের চেয়ে আর্জেন্টিনার জুরুরি হয়েছে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করা। সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্তের বিনিময়ে দলকে শান্তির বারতা এনে দেওয়া। কারণ আর্জেন্টিনার শেষ ১৬’র স্বপ্ন এখনো ভেঙে যায়নি। নাইজেরিয়াকে শেষ খেলায় হারাতে পারলেই শীর্ষ ষোলোয় পা রাখবে মেসির দল।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে