শনিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৮, ১০:০৬:১৩

পুরো প্রক্রিয়াই ছিল অবৈধ, বিশ্বকাপ জিতলেও ৫ বছরের জেল হতে পারে ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়কের!

পুরো প্রক্রিয়াই ছিল অবৈধ, বিশ্বকাপ জিতলেও ৫ বছরের জেল হতে পারে ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়কের!

স্পোর্টস ডেস্ক: রোববার ফাইনালে জিততে পারলে হয়ে যাবেন দেশটির প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কও লুকা মদ্রিচ। তবু জেলে যেতে পারেন তিনি।

শুনতে খুব অবাক লাগতে পারে। দেশকে প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা জেতালেও কেন দেশের মানুষের মন পাবেন না মদ্রিচ? কেনই বা জেল খাটার কথা আসছে?

নিজের দেশ ক্রোয়েশিয়ার সাধারণ ফুটবলপ্রেমীদের কাছেই জনপ্রিয় নন মদ্রিচ। মদ্রিচকে তারা দেখেন ঘৃণার চোখে, মদ্রিচের প্রতি তাদের ব্যাপক অনাস্থা। কারণ? মদ্রিচ যে তাদের চোখে একজন মিথ্যাবাদী!

মদ্রিচ এক সময়ে খেলতেন ক্রোয়েশিয়ার অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় ক্লাব ডায়নামো জাগরেবে। এই ক্লাবের নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন এক সময়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব মামিচ।

প্রভাবশালী লোক হওয়ায় প্রতিভাবান ও উঠতি খেলোয়াড়দের ওপর কিছুটা প্রভাব খাটাতেন। লুকা মদ্রিচ, দেজান লভরেন, সিমে ভারসালকোর মতো তারকার সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিলেন তিনি। চুক্তিতে উল্লেখ করা ছিল ক্লাবের হয়ে তাঁরা যতদিন থাকবেন ততদিন তাঁদের সব খরচের দায়িত্ব নিবেন মামিচ নিজে। সেই সঙ্গে আর্থিক সহায়তাও ছিল চুক্তির একটি অংশ। কিন্তু খেলোয়াড়দের সঙ্গে একটি আলাদা চুক্তি হয়েছিল যেখানে বলা হয়েছিল যদি খেলোয়াড়রা কখনো এই ক্লাব ছেড়ে অন্য ক্লাবে পাড়ি জমান, সেই ক্ষেত্রে তাঁদেরকে ট্রান্সফার ফির একটি অংশ মামিচকে দিয়ে যেতে হবে।

সেই সঙ্গে মামিচ আরও একটি বিষয় জুড়ে দেন চুক্তিতে। চুক্তিতে বলা হয়েছিল তাঁদের খেলোয়াড়দের এজেন্ট হবে মামিচের পুত্র মারিও। অর্থাৎ কোন খেলোয়াড় যদি এক দল থেকে অন্য দলে ট্রান্সফার হয় সে ক্ষেত্রে ট্রান্সফার ফির একটি অংশ আয় করেন এজেন্টরা। সেই সময় চুক্তি মেনেই চুক্তিতে সই করেছিলেন মদ্রিচ।

২০১০ সালে তিনি ওই ক্লাব ছেড়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান। ইংলিশ ক্লাব টোটেনহ্যামে যোগ দিয়েছিলেন ১০.৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে। ইংল্যান্ডে পাড়ি জমানোর জন্য মদ্রিচের চুক্তি অনুযায়ী মাচিচকে দিতে হয়ে ৮.৫ মিলিয়ন ইউরো।

এই চুক্তিগুলোর পুরো প্রক্রিয়াই ছিল অবৈধ। যার কারণে এক সময় এই ঘটনাগুলো সবার সামনে আসে। লেনদেনে অবৈধ পন্থা অবলোপন করায় এক সময় মাচিচ পুলিশের কাছে ধরা পড়েন। শুনানি শেষে তাঁকে এই জন্য ৬ বছরের সাজাও দেওয়া হয়।

মামলা চলাকালীন সময় সাক্ষ্য দিয়েছিলেন খোদ মদ্রিচ। এই সাক্ষ্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে তিনি হয়ে যান দেশের কাছে ভিলেন।

তদন্তের এক পর্যায়ে দেখা যায় মদ্রিচের একটি বক্তব্য তাঁর পরবর্তী বক্তব্যর মধ্যে কিছুটা সাংঘর্ষিক হচ্ছে। যার কারণে মদ্রিচের বিরুদ্ধে আনা হয় মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার অভিযোগ। আর এই অভিযোগের শুনানি শুরু হবে বিশ্বকাপের পরপরই। ঘটনা যদি প্রমানিত হয় সে ক্ষেত্রে মদ্রিচকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পেতে হবে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে