স্পোর্টস ডেস্ক: তাঁকেই ফাইনালের সম্ভাব্য নায়ক ধরা হয়েছিল। দু’টো হলুদ কার্ড দেখেছেন আগেই। তবু তিনি খেলেছেন। খেললেন প্রথম একাদশেই। তিনি কিলিয়ান এমবাপে। ক্রোয়েশিয়ার বিজয় রথ থামাতে ফরাসি এই টিনএজারই তুরুপের তাস দিঁদিয়ের দেঁশ-র। কিন্তু দু’টো হলুদ কার্ড নিয়েই কীভাবে থাকছেন ফাইনালে? ফিফর নিয়মে এমবাপে মাঠেই ছিলেন, এবং নায়ক হিসেবেই ছিলেন। রাশিয়া ২০১৮ ফিফরা বিশ্বকাপ ফাইনালের ৬৫ মিনিটে এমবাপে ক্রোয়েশিয়ার জালে দলের পক্ষে ৪র্থ গোলটি আদায় করে নায়ক বনে গেলেন।
সাধারণত, দুটো হলুদ কার্ড থাকলে সংশ্লিষ্ট ফুটবলার খেলতে পারেন না একটি ম্যাচ। তবে এই নিয়মের ব্যতিক্রমও রয়েছে। ফিফার নিয়ম বলছে, দু’টো হলুদ কার্ড নিয়েও খেলা যায় ফাইনাল। কারণ, সেমিফাইনাল থেকে সমস্ত হলুদ কার্ড গ্রাহ্য হয় না বিশ্বকাপে।
সেমিফাইনালের আগে এমবাপে একবার হলুদ কার্ড দেখেছিলেন। বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে শেষ চারে ফের একবার দ্বিতীয় হলুদ কার্ড হজম করেন তিনি। তবে স্বস্তি খবর চিল, ফিফার ব্যতিক্রমী নিয়মেই তিনি মাঠে নেমেছেন।
১৯ বছরের টিনএজার বিশ্বকাপের আবিষ্কার। তাঁর সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে পেলের মতো মহাতারকারও। এত অল্প বয়সে তাঁর গতিময় ফুটবল অবাক করেছে ফুটবল বিশ্বকে। মেসির আর্জেন্টিনাকে তো কার্যত একাই ছেলেখেলা করেছিলেন তিনি। এহেন তারকা ফুটবলারকে নিতে এখন থেকেই ঝাঁপিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্লাব। তবে তার আগে এমবাপে ফাইনালে ডাগ আউটে বসে থাকতে হয়নি।