বুধবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৮, ০৬:৫৮:৪৩

অবশেষে সৌম্যর ব্যাটে রান

অবশেষে সৌম্যর ব্যাটে রান

স্পোর্টস ডেস্ক: ওয়ানডে দলে এখন আর জায়গা হয় না তাঁর। গত অক্টোবরে ইস্ট লন্ডনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছেন নিজের সব শেষ ওয়ানডে। এ ফরম্যাটে জায়গা হারালেও ধরে রেখেছিলেন টি-টোয়েন্টিতে। তবে সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটেও কিছুতেই রানে ফিরতে পারছিলেন না সৌম্য সরকার। তাই টি-টোয়েন্টি দল থেকেও ছিটকে পড়ার আশঙ্কার মুখে থাকা বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যানের ব্যাটে অবশেষে দেখা মিলল রানের। 

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাংলাদেশ ২-১-এ জিতলেও তাতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেওয়া সৌম্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে আয়ারল্যান্ড গিয়েই দিয়েছেন ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত। সেখানে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিনি আবার বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়কও। গত পরশু আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে সফরকারীদের ৪ উইকেটের জয়ে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি। রান তাড়ায় ৪১ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় করা ৫৭ রানের এমন ইনিংস অবশ্য সৌম্য খেলেন না অনেক দিন।

সত্যিই তাই। সে জন্য তাঁর সীমিত ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারেই চোখ বুলিয়ে দেখা যাক। তাঁর খেলা সব শেষ ৬ ওয়ানডেতে করেছেন মোটে ৪২ রান (০, ২৮, ৩, ৩, ০, ৮)! যে ফরম্যাটে জায়গা ধরে রেখেছিলেন, সেই টি-টোয়েন্টিতে অবস্থা ছিল আরো শোচনীয়। সব শেষ ৮ ম্যাচে সর্বোচ্চ ইনিংস মাত্র ১৫ রানের! সব মিলিয়ে করেছিলেন মাত্র ৪২ রান (১, ১০, ১, ৩, ১৫, ০, ১৫, ৫)! 

আইরিশদের বিপক্ষে আন-অফিশিয়াল সিরিজের প্রথম ম্যাচেই পরশু করলেন এর চেয়ে ঢের বেশি। আন্তর্জাতিক ম্যাচে দুই ফরম্যাট মিলিয়ে সব শেষ ১৪ ম্যাচে যেখানে সর্বোচ্চ ইনিংস ২৮ রানের, সেখানে ডাবলিনের ৫৭ রান যে কিছুটা স্বস্তির হাওয়াও বইয়ে দিচ্ছে। সেই স্বস্তির কথাই কাল শোনা গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশনস কমিটি প্রধান আকরাম খানের মুখে। বাংলাদেশ দলের সাবেক এ অধিনায়ক বলছিলেন, ‘সৌম্য গতকাল রানে ফিরেছে। অনেক দিন পর সে রানে ফিরল। সৌম্যর মতো তরুণরা রানে ফিরলেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের মঙ্গল।’

পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-২-এ ড্র করার পর পরশুর জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্য বিশেষ অবদান আছে নাজমুল হোসেন (শান্ত) এবং আফিফ হোসেনেরও। আইরিশদের ১৫২ রান তাড়ায় স্কোরবোর্ডে কোনো রান জমা হওয়ার আগেই ওপেনার জাকির হোসেনকে হারানো বাংলাদেশ ‘এ’ দল এরপর দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্য ও নাজমুলের ব্যাটে পায় ৬২ রানের পার্টনারশিপ। 

সেই সময় তুলনায় একটু বেশিই আক্রমণাত্মক নাজমুলের (২৩ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৩৮ রান) বিদায়ের পর প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর চড়াও হন সৌম্যও। সব শেষে ২ ওভার হাতে রেখেই জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয় ২১ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় আফিফ হোসেনের ৩৫ রানের ঝোড়ো হার না মানা ইনিংসে। যে ম্যাচে দীর্ঘ খরার পর এক পশলা বৃষ্টির স্বস্তি নিয়ে এসেছে সৌম্য সরকারের ব্যাটিংও।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে