শুক্রবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৮, ১০:৩৪:১৮

বার্সেলোনা, রিয়াল না অ্যাটলেটিকো- এবার কোন দল এগিয়ে?

  বার্সেলোনা, রিয়াল না অ্যাটলেটিকো- এবার কোন দল এগিয়ে?

স্পোর্টস ডেস্ক: আগামীকাল লা লিগা শুরু হচ্ছে। এর আগে দেখে নেওয়া যাক, এবার বার্সেলোনা, রিয়াল না অ্যাটলেটিকো—কোন দল এগিয়ে আছে

লা লিগা মানেই যেন দুই ঘোড়ার দৌড়। বার্সেলোনা নয়তো রিয়াল মাদ্রিদ। ২০১৩/১৪ মৌসুমে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ লা লিগা জিতলেও সেটা এখনো বিস্ময় জাগায়। কারণ, স্কোয়াডে তারকা সংখ্যা কিংবা গভীরতা-দুই দিক থেকেই বার্সেলোনা ও রিয়ালের চেয়ে বেশ পিছিয়ে ছিল। গত কয়েক বছরেও সেটাই সত্য ছিল। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ হয়তো বার্সা কিংবা রিয়ালের সঙ্গে সেয়ানে-সেয়ানে লড়েছে। কিন্তু স্কোয়াডের গভীরতায় মৌসুমের শুরুতে তারা পিছিয়েই ছিল।

সে ধারা কিন্তু ২০১৮/১৯ মৌসুমে এসে বদলেছে। এই প্রথম এমন স্কোয়াড সৃষ্টি করেছে যারা মৌসুমজুড়ে সব শিরোপার দৌড়েই রাখতে পারবে দলকে। আগামীকাল আনুষ্ঠানিকভাবে এ মৌসুমের লা লিগা শুরু হচ্ছে। এর আগে দেখে নেওয়া যাক, এবার কোন দল এগিয়ে থাকছে।

বার্সেলোনা 
এবারও দলবদলের বাজারে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে কাতালানরা। রক্ষণে লেংলেট, মধ্যমাঠে ভিদাল ও আর্থার এবং আক্রমণে ম্যালকমের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে মাঠের প্রতিটি পজিশনে একজন বিকল্প পাচ্ছেন ভালভার্দে।

ইতিবাচক দিক: 
* সব পজিশনে দুজন খেলোয়াড়
* মাঠ বড় করে খেলার সুযোগ
* ৪-৪-২ কিংবা ৪-৩-৩ ফরমেশনে অদলবদল করার সুযোগ
* হাইপ্রেসিং ফুটবল খেলার উপযুক্ত

নেতিবাচক দিক: 
* গত মৌসুমের মতো এবারও বার্সেলোনার ধরনে না খেলার সম্ভাবনা
* মেসি কিংবা সুয়ারেজের জায়গা নেওয়ার কেউ নেই
* নতুন খেলোয়াড়রা মানিয়ে নেওয়ার জন্য সময় পাচ্ছেন কম

রিয়াল মাদ্রিদ
এক মাসের ব্যবধানে জিনেদিন জিদান ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে হারিয়েছে রিয়াল। উয়েফা সুপার কাপে হার বুঝিয়ে দিয়েছে, সে ধাক্কা এখনো কাটিয়ে ওঠা হয়নি তাদের। দলবদলের বাজারে থিবো কোর্তোয়া ও ওদ্রিওজোলাকে কিনলেও মৌসুমে রোনালদোর ৫০ গোল কে এনে দেবেন সেটা নিশ্চিত নয়।

ইতিবাচক দিক: 
* রোনালদো চলে যাওয়ায় বেলের সেরা রূপ দেখা যাবে
* নাভাস-কোর্তোয়ায় গোলবার সুরক্ষিত
* ইসকো ও অ্যাসেনসিওর ওপর ভরসা বাড়ছে
* সেবায়োস, ভিনিসিয়ুসদের মতো তরুণদের সুযোগ মিলবে

নেতিবাচক দিক: 
* একজন সেন্টারব্যাক ও একজন লেফটব্যাকের অভাব পূরণ হয়নি
* রোনালদোর গোল কে এনে দেবেন নিশ্চিত নয়
* দলে বয়স্ক খেলোয়াড় বেশি। রক্ষণ, মাঝমাঠ ও আক্রমণের নেতাদের সবার বয়স ত্রিশের বেশি—রামোস (৩২), মদরিচ (৩২), বেনজেমা (৩১), মার্সেলো (৩০)

অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ 
বিস্ময়করভাবে এবার দলবদলে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত ছিল অ্যাটলেটিকো। নতুন সব খেলোয়াড়ই শুধু আনেনি, আঁতোয়ান গ্রিজমান ও ডিয়েগো গডিনকেও ধরে রেখেছে তারা। আক্রমণে মূল দুই ভরসা গ্রিজমান-সুয়ারেজ যদি মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গে পেরে নাও ওঠেন তবু সমস্যা নেই। অ্যাটলেটিকোর বিকল্প খেলোয়াড়রা বার্সেলোনার চেয়ে অনেক এগিয়ে। মধ্যমাঠ ও রক্ষণে বেশ ভালোভাবে দল সাজিয়েছে তারা।

ইতিবাচক দিক: 
* বেঞ্চ সবচেয়ে শক্তিশালী
* দুর্দান্ত আক্রমণভাগ
* রক্ষণের সেরা খেলোয়াড়দের সবাই আছেন
* রদ্রিগোকে কেনার পর মাঠে বল নিয়ন্ত্রণে উন্নতি আসবে

নেতিবাচক দিক: 
* সদ্য যোগ দেওয়া কালিনিচের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ
* এত ভালো খেলোয়াড়দের মন জুগিয়ে একাদশ সাজানো, যাদের বাদ রাখা হবে তাদের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখা
* ভালো বিকল্প নেওয়া হলেও গতবারের মতোই এবারও স্কোয়াডে খেলোয়াড় কম আছে অ্যাটলেটিকোর। লম্বা মৌসুমে এর প্রভাব পড়তেও পারে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে