আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের হবু প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পাকিস্তান পৌঁছালেন নভজ্যোত সিং সিধু। ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানের লাহোরে প্রবেশ করেন তিনি। শনিবার ইসলামাবাদে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন সিধু।
আটারি ওয়াঘা সীমান্তে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন ভারতের তরফ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে পাকিস্তান যাচ্ছেন তিনি। দুই দেশের সম্পর্ক যাতে আরও উন্নত হয়, সেই চেষ্টার জন্য তাঁর পাকিস্তান যাত্রা। তিনি আরও বলেন, তাঁর আশা মানুষ তাঁকে ভুল বুঝবেন না।
এর এক সপ্তাহ আগে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পান সিধু। তারপরেই তাঁর যাওয়ার ব্যাপারে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে জানানো হয়। জানানো হয় পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর অফিসকেও। ১৮ আগস্ট ইসলামাবাদে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকতে চান বলেও জানান সিধু।
এরআগে, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়ার সিদ্ধান্তের পরেই বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিতর্কের শুরু করেন বিজেপি নেতা সুব্রক্ষ্মণ্যম স্বামী। তাঁর বক্তব্য ছিল, ইমরান খানের আমন্ত্রণে যদি সিধু পাকিস্তান যান, তবে তাঁর সাথে নাকি দেশদ্রোহী ও প্রতারকের মতো ব্যবহার করা উচিত। এমনই বলেছিলেন এই বিজেপি নেতা। এমনকি সিধুর মানসিক সুস্থতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন সুব্রক্ষ্মণ্যম স্বামী। তাঁর পরামর্শ ছিল, যদি মানসিক ভাবে সুস্থ থাকেন সিধু, তবে তাঁর পাকিস্তান যাওয়া উচিত নয়।
সুব্রক্ষ্মণ্যম স্বামী বলেছিলেন সিধু যদি পাকিস্তানে যান, তবে সেই ঘটনা তাঁর রাজনৈতিক জীবনে প্রভাব ফেলবে। জনপ্রিয়তা হারাবেন তিনি। মানুষ কখনোই এই ঘটনাকে স্বাভাবিক ভাবে নেবেনা। তাঁকে প্রতারক ও বিশ্বাসঘাতক হিসেবে দেখবে মানুষ।
তবে এই বিতর্ককে আমলা দিতে রাজী নন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার। তিনি সব বিতর্ককে পিছনে ফেলেই পাকিস্তান গিয়েছেন। ইমরান খান জানিয়েছিলেন তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কোনও বিদেশি নেতা বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ভীড় হোক, তা চান না তিনি। তিনি চান তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হোক জাঁক জমকহীন। পাকিস্তানের সংবাদপত্রগুলির দাবি ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয় একটি বিবৃতি।
এদিকে, জাতীয় আইনসভার ভোটাভুটিতে অবশেষে জয় এল। প্রধানমন্ত্রী হলেন তেহরিক-ই-ইনসাফ নেতা তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার ইমরান খান। বিশ্বের প্রথম কোনও ক্রিকেটার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী হয়ে নজির গড়লেন কিং খান। ১৮ তারিখ শপথ নেবেন তিনি।