স্পোর্টস ডেস্ক: এশিয়াকাপ নিয়ে নতুন করে ঝামেয়ায়। এবারের এশিয়া কাপের প্রথম পর্বে টানা ছয়দিনে ৬টি ম্যাচ খেলে শীর্ষ চার দলকে বেছে নেয়া হবে। সে চার দল আবার দ্বিতীয় পর্বে খেলবে দুটি করে ম্যাচ। সে ম্যাচগুলোও হবে তিনদিনের মধ্যে। এমন ঠাসা সূচির চাপটা প্রথমে টের পাচ্ছে ভারত। কিন্তু আসল ধাক্কাটা খেতে হবে বাংলাদেশ অথবা আফগানিস্তানকেই।
এশিয়াকাপ শুরুর আগে ঝামেলায় পড়লো বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। এবারের এশিয়া কাপে প্রথম পর্বের ৬ দিনে হবে ৬টি ম্যাচ। দ্বিতীয় পর্বের ৭ দিনেও সাতটি ম্যাচ হবে। আগামী শনিবার দুবাইয়ে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এবারের এশিয়া কাপ আসর।
২০১৪’র চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা আর ২০১৬’র রানার্সআপ বাংলাদেশের গ্রুপে অপর দল আফগানিস্তান। আর এই গ্রুপে ২০শে সেপ্টেম্বর হতে যাওয়া বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের ম্যাচটি নিয়ে বাড়তি পরিকল্পনার দরকার পড়ছে দু’দলের। ১৮ ও ১৯শে সেপ্টেম্বর টানা দুইদিন দুটি ম্যাচ খেলবে ভারত। প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের মুখোমুখি হওয়ার ক্লান্তি মোছার আগেই পাকিস্তানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রোহিত শর্মাদের। ২০শে সেপ্টেম্বর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। আর পরদিনই দ্বিতীয় পর্বের আরেকটি মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে হবে তাদের।
২১শে সেপ্টেম্বর শুরু হবে এশিয়া কাপের দ্বিতীয় পর্ব। ‘বি’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ হওয়া দুই দলকেই সেদিন মাঠে নামতে হবে। তার মানে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যে অন্তত এক দলকে টানা দুই ম্যাচ খেলতে হচ্ছে নিশ্চিত। আর সমীকরণে মিললে হয়তো দুই দল। ঝামেলার এখানেই শেষ নয়। গ্রুপে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ দুবাইয়ে খেললেও দ্বিতীয়টি খেলবে আবুধাবিতে।
আবার ‘বি’ গ্রুপে দ্বিতীয় হওয়া দলকে দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচ খেলতে হবে দুবাইয়ে। অর্থাৎ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজ নিজ ম্যাচ হেরে থাকলে এ ম্যাচটি দুই দলকেই খেলতে নামবে দুই উদ্দেশ্য নিয়ে। এক, ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় পর্ব নিশ্চিত করা এবং দুই, ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই দুবাইয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাগ গুছিয়ে রাখা।
এমটিনিউজ২৪.কম/হাবিব/এইচআর