শুক্রবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৯:৫৮:৪০

আগামীকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে একটি কারণে এগিয়ে বাংলাদেশ!

আগামীকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে একটি কারণে এগিয়ে বাংলাদেশ!

স্পোর্টস ডেস্ক: শনিবার (১৫ই সেপ্টেম্বর) শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের মধ্যকার ম্যাচ দিয়েই ২০১৮ এশিয়া কাপের পর্দা উন্মোচিত হবে। সর্বশেষ ত্রিদেশীয় সিরিজে দেখা হয়েছিল। আবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দল দুটি। তবে খু্বই গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে। তাই সাধারণ সিরিজের তুলনাই এ ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনা রয়েছে সমর্থকদের মধ্যে।

টেস্ট ও টি-২০র চাইতে ওয়ানডেতে শ্র্র্র্রীলঙ্কার তুলনায় অনেকটা এগিয়ে বাংলাদেশ। ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে শ্রীলঙ্কার উপরে থেকে সাত নম্বরে অবস্থান মাশরাফির দল।

তবে ওয়ানডে পরিসংখ্যানে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। এই ফরম্যাটে দুই দলের দেখা হয়েছিল সর্বমোট ৪৪ বার। যেখানে মাত্র ছয় বার জিততে সক্ষম হয়েছিল টাইগাররা। ২০০৬ সালে ঘরের মাঠে প্রথমবার লঙ্কানদের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। এর আগে টানা ১৬ ম্যাচ পরাজয় মেনে নেয় বাংলাদেশ।

এরপর আবার হার। টানা ৮ ম্যাচ হারে টাইগার টিম। এরপরে ২০০৯ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজে পাঁচ উইকেটে জয়সুরিয়া-সাঙ্গাকারাদের হারিয়েছিল আশরাফুলের দল। এরপর আবার ২০১২ সালের এশিয়া কাপে জয় পায় বাংলাদেশ। আগামীকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি কারণে এগিয়ে বাংলাদেশ, আর তা হলো মাঠে শ্রীলংকার তুলনায় প্রচুর বাংলাদেশি দর্শক সমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মুশফিকুর বাহিনী সেবার পাঁচ উইকেটের জয় তুলতে সক্ষম হয়। সে বারই এশিয়া কাপে প্রথম বারের মতো ফাইনাল খেলার গৌরবও অর্জন করে টাইগাররা। লঙ্কানদের মাটিতেও জয়ের পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম জয় ২০১৩ সালে। বৃষ্টি আইনের ম্যাচে তিন উইকেটের জয় পেয়েছিল মুশফিক বাহিনী। আবারও ২০১৭ সালে লঙ্কানদের ঘরের মাঠে মাশরাফির অধীনে ৬০ রানের জয় অর্জন করে বাংলাদেশ।

এরপর ছিল ত্রিদেশীয় সিরিজে ঘরের মাঠে ১৬০ রানের বিশাল জয় পায় বাংলাদেশ। কিন্তু দাপটের সাথে খেলে ও সিরিজ হারায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার জয় ৩৬টি ম্যাচ। আর দুইটি ম্যাচের ফলাফল আসে নি। সেই হিসেবে জয়ের পাল্লায় এগিয়ে শ্রীলঙ্কা।

কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটার নিয়ে গড়া বাংলাদেশের সম্প্রতি পারফর্মেন্স বলছে ভিন্ন কথা। সাম্প্রতিক সময়ে কোন পরিস্থিতিতে পরাজয়ের স্বাদ উপহার দিতে পারে দলটি। তাই বলা যায় পরিসংখ্যানে শ্রীলঙ্কা এগিয়ে থাকলেও সাম্প্রতিক পারফর্মেন্সে এগিয়ে বাংলাদেশ।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে