স্পোর্টস ডেস্ক : এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চিড় ধরা কবজি নিয়ে এক হাতে ব্যাট করে অদম্য সাহস দেখানো তামিম ইকবালকে নিয়ে গর্বিত তার পরিবার।
তামিমের অবদান শেষ পর্যন্ত দলের জয় নিশ্চিত করায় অত্যন্ত খুশি তারা। তামিমের দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর দোয়া চেয়েছেন তার মা নুসরাত ইকবাল এবং বড় ভাই ক্রিকেটার নাফিস ইকবাল।
শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ২য় ওভারে কবজিতে বলের আঘাতে মাঠ ছাড়েন তামিম ইকবাল। পরে জানতে পারেন এশিয়া কাপেই খেলা হবে না আর। তবু দলের প্রয়োজনের মুহূর্তে শেষ উইকেটে মুশফিকের সাথে জুটি বাঁধেন। এক হাতে ব্যাট করে প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ সংগ্রহ গড়তে মুশফিককে সঙ্গ দেন তামিম।
শেষ পর্যন্ত দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তামিমের অতুলনীয় বীরত্ব। দেশবাসীর বাঁধভাঙা আনন্দ তো আছে, কিন্তু চট্টগ্রামে তামিম ইকবালের পরিবারের আনন্দটা একাবারেই অন্যরকম।
গর্বিত মা নুসরাত ইকবাল বলেন, ছোটবেলা থেকেই তামিম খুব সাহসী ছিল। শ্রীলঙ্কা ম্যাচের যে সাহসিকতা সে দেখিয়েছে তা হয়তো আর কেউ করতে পারবে না।
নুসরাত ইকবাল বলেন, ‘ও মাঠে নেমেছে। আমরা তো ভাবিনি ও নামবে। ওকে দেখেই তো চোখে পানি। শুধু আমাদের না, ওর যত সমর্থক আছে সবারই। প্রত্যেকে বলছে ও দেশপ্রেমিক, দলের জন্য কীভাবে নিজের সব দিয়ে দিচ্ছে।’
বড় ভাই নাফিস ইকবালের মতে, তামিমের ত্যাগের বিনিময়েই বাংলাদেশ জয় পেয়েছে। তবে মাঠের দুর্ঘটনার কারণে এই সিরিজে তামিমের ভালো কিছু ইনিংস থেকে বাংলাদেশ বঞ্চিত হওয়ায় একটু হতাশাও আছে নাফিস ইকবালের।
নাফিস বলেন, ‘মুশফিকের সঙ্গে ৩৩ রানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা জুটি। যেটা ম্যাচের পাল্লাটা বাংলাদেশের দিকে নিয়ে এসেছিল। ও তো সবার মন জয় করেছে। যে কাজ করেছে তার জন্য ভীষণ সাহসের দরকার। আমরা ওকে নিয়ে দারুণ গর্বিত।’
তামিমের ঘটনায় বাবার কথাও মনে পড়েছে নাফিসের। তিনি বলেন, ‘বাবা মারা যাওয়ার আগে একবার তা পা কেটে গিয়েছিল। কিন্তু অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য ক্রাচে ভর দিয়েই তিনি আমাদের খেলা দেখতে যেতেন।’
দেশবাসীর কাছে তামিম ইকবালের দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছে তার পরিবার।