স্পোর্টস ডেস্কঃ সাফ ফুটবলে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল চরম ভাবে ব্যর্থতার পরিচয় নিয়েছে। গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়া স্বাগতিক বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বেও লড়াইয়ে সেই কবে ২০০৩ সালে ঘরের মাঠে সাফ জিতে ছিল বাংলাদেশ তা আজ স্মৃতি হাতরে বের করতে হয়। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার মাটিতে এশিয়ান ফুটবলে অ-২৩ দলের দুর্দান্ত পারফর্মেন্স দেখে আশা জেঁগে ছিল এবার হয়তো বুঝি কিছু হবে। কারণ সাফ আসরে স্বাগতিক দলের ৯ জনই ছিলেন অ-২৩ দলের সদস্য। স্বপ্ন আর বাস্তবতা যে এক নয় সেটা গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ বাদ পড়ে প্রমান দিয়েছে।
গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ ২-০ গোলে হারায় প্রথম ম্যাচে ভূটানকে। আর দ্বিতীয় ম্যাচে কোনক্রমে ১-০ গোলে পাক ফুটবল দলকে। এরপর তো সেই ২-০ গোলে নেপালের কাছে হারের লজ্জা আর বিদায় ঘন্টা বেঁজে উঠা। পর দিনই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন মিডিয়াতে ঘোষণা দিলেন ‘সাফ ফুটবলে ব্যর্থতার তদন্ত হবে’।
পরে বাফুফে ভবনে খোঁজ নিয়ে জানা গেলে এই ‘তথাকথি’ তদন্তের ভার বাফুফে সভাপতি নিজেই কাধেঁ তুলে নিয়েছেন। তিনিই না-কি তদন্ত করছেন আসলে ব্যর্থতা কেন হয়েছে।
কিন্তু আদতেই কি এই তথাকথি তদন্ত রিপোর্ট আলোর মুখ দেখবে? এ প্রশ্নটি বার বার সামনে আসার কারণ, বিগত কয়েক যুগেও বাফুফের কোন তদন্তের রিপোর্ট আলোর মুখ দেখেনি। যা বলা হয়েছে সেটা মুখে কথা ধরেই নিয়েই মিডিয়া বিষয়টি এড়িয়ে যায়।
সাফ ব্যর্থতার পর পরই বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন কোচ, অধিনায়ক, কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এটা ভেতরের খবর, কিন্তু বাফুফে সভাপতি কি কথা হয়েছে বা কোচ-অধিনায়ক কি বক্তব্য দিয়েছেন তা প্রকাশ করেননি। মুঠোফোনে প্রশ্ন করা হলে তিনি শুরু জানালেন, কাজ চলছে, জানাব।
তাহলে এই তদন্তের ফলাফল কি? আর কত দিনই বা লাগবে তদন্ত শেষ হতে? প্রশ্নটা সরাসরি মুঠোফোনে করা হলো বাফুফে সভাপতিকে। কিন্তু তিনি তো মাত্র কয়েকটি শব্দ উচ্চারণ করেই ফোন কেটে দিলেন। এতো দ্রুত তিনি কথা শেষ করলেন যে, তিনি যেন ফোন কাটতে পারলেই বেঁচে যান। বাস্তবতাও বলছে সেটাই। আজ অবদি বহু বার বাফুফে থেকে তদন্তের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ইতিহাসে এমন কোন উদাহরণ নেই যে বাফুফে কোন তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এবার সাফ ব্যর্থতার তদন্ত রিপোর্টও বাফুফে ভবনে কর্মকর্তাদের টেবিরের নীচেই পড়ে থাকবে, আলোর মুখ দেখার সুযোগ নেই বলেই চলে।
বছরে পর বছর ফুটবল ব্যর্থতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তদন্তের কাজ চলছে, চলবে।