স্পোর্টস ডেস্ক : ইমরুলকে দলে নেয়ার সম্ভাবনাও ছিলো না। হঠাৎ করেই তাকে নেয়া হয়। আর তাকে উড়িয়ে নেয়াটা বেশ কাজে দিয়েছে।
প্রথম ম্যাচ গুলোতে লিটন-শান্তর ভরাডুবির জন্য হঠাৎ করেই দুবাইতে আনা হয় ইমরুল কায়েস এবং সৌম্য সরকারকে। ঘটা করে দুজনকে আনার মানেই ছিল মূল একাদশে থাকবেন যেকোন একজন। শেষ পর্যন্ত জায়গা পেয়ে গেলেন ইমরুল কায়েস।
কিন্তু ইমরুলের ব্যাটিং পজিশনটা ছিল অনেকটা হুমড়ি খাওয়ার মত। কারণ সচরাচর তিনের পরে তাকে নামানো হয় না। ক্যারিয়ারে প্রথমবার ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামলেন তিনি। মাশরাফির টোটকাতেই ছয়ে নামেন ইমরুল, বদলে যায় বাংলাদেশ। নেমেই করলেন বাজিমাত। তবে ইমরুলের এই ছয়ে নামার টোকটাই ছিল টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার।
আফগানিস্তানের কাছে প্রথম দেখায় তাদের স্পিন ঘূর্ণিতেই হেরেছিল বাংলাদেশ। যার জন্য ম্যাচের আগেই আফগান বোলারদের সামলানোর ছক আঁকলেন মাশরাফি। অবশ্য আগের ম্যাচে হারার পর অধিনায়ক জানিয়ে রেখেছেন যে,‘ওই ম্যাচের মাধ্যমে আমরা আফগানদের কৌশল গুলো আরো বুজতে পেরেছি। পরের ম্যাচ ভুল গুলো শুধরে মাঠে নামবো।’
যেই কথা সেই কাজ। ইমরুল আসাতেই মাশরাফির মাথায় আসে যে আফগান স্পিনার রশীদ খানকে চাপছাড়াই খেলতে পারবেন ইমরুল। কারণ বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের নেটে রশিদ খানের বলে খেলেছেন ইমরুল। তাছাড়া ইমরুল যথেষ্ট অভিজ্ঞ। তাই ইমরুলের অভিজ্ঞতা দিয়েই রশিদকে ঠেকাতে চেয়েছেন অধিনায়ক। যার জন্য ছয় নম্বর পজিশনে নামানো হয় তাকে।
যার ফলাফল মাঠেই দিয়ে দিল ইমরুল কায়েস। খুব স্বস্তি নিয়েই হেসে খেলে রশিদ খানের বল পেটালেন তিনি। টিকে ছিলেন বাংলাদেশের ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। দীর্ঘদিন পরে মাঠে ফিরেই খেললেন ৭২ রানের ইনিংস, উপহার দিলেন লড়াই করার মত স্কোর।
এমটিনিউজ২৪.কম/হাবিব/এইচআর