স্পোর্টস ডেস্ক: সিলেটে আজ অসাধারণ অপরাজিত সেঞ্চুরি করলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের শাই হোপ। হলেন সিরিজ সেরা। বল হাতে উইন্ডিজের কোমর ভেঙে দিয়ে ম্যাচ সেরা হলেন মেহেদী মিরাজ। ওপেনিংয়ে নেমে ৮১* রানের নিখুঁত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন তামিম ইকবাল। কিন্তু মাঝে ম্যাচের সবটুকু আলো কেড়ে নিলেন অন্যজন। তার শৈল্পিক ব্যাটের দাপটে বল বারবার আছড়ে পড়তে লাগল সীমানার ওপারে। দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে এনে দিয়ে তিনি যখন ফিরছেন, গোটা গ্যালারি হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানিয়ে দিল সৌম্য সরকারকে।
হ্যাঁ, তার দিনে ম্যাচের সবটুকু আলো নিজের দিকে টেনে নিতে জুড়ি নেই সৌম্যর। কিছুদিন আগেও তার দীর্ঘ খারাপ সময় গেছে। বাদ পড়েছেন দল থেকে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করে দলে ফেরার পর আহামরি কিছু ঘটেনি। তাই আবারও সমালোচনা। গত জিম্বাবুয়ে সিরিজে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করলেন তিনি। সুযোগ পেলেন উইন্ডিজ সিরিজে। প্রথম দুই ম্যাচ ভালো করতে না পারলেও শেষ ম্যাচে দেখিয়ে দিলেন নিজের ক্লাস আর টেম্পারমেন্ট। তার এবং তামিমের ব্যাটে চড়েই সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ।
ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে যথাক্রমে ৬ এবং ৭ নম্বরে ব্যাট করেছেন সৌম্য। তার সংগ্রহ ১৯ এবং ৬। আজ ফিরে পেলেন পছন্দের টপ অর্ডার পজিশন। ওপেনিংয়ে নামতে না পারলেও তিন নম্বরে নেমে খেললেন ৮১ বলে ৫ চার ৫ ছক্কায় ৮০ রানের চোখ জুড়ানো ইনিংস। ছক্কাগুলোর দৈর্ঘ্য ছিল ৯০ মিটারের ওপরে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার সর্বশেষ সেঞ্চুরিটাও ছিল তিন নম্বরে নেমে। পজিশনটা পছন্দসই হলে সৌম্য যে আবারও সেই ২০১৫ সালের রূপে ফিরে যেতে পারেন- এটাই তার নমুনা।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৬টি ওয়ানডে খেলেছেন সৌম্য সরকার। এ বছর বাংলাদেশের আর কোনো ওয়ানডে ম্যাচ নেই। ৬ ম্যাচে তার সংগ্রহ যথাক্রমে ০, ৩৩, ১১৭, ১৯, ৬ এবং ৮০। তার এই ব্যাটিং দেখে সোশ্যাল সাইটে বলা হচ্ছে 'সরকারী ব্যাটিং'। চলতি বছর ওয়ানডেতে তার ব্যাটিং গড় ৪২.৫০। স্ট্রাইক রেট ১০৪.৫০। ১ সেঞ্চুরি এবং ১ হাফ সেঞ্চুরিতে ৬ ম্যাচে করেছেন ২৫৫ রান। ক্যারিয়ারের ৩২টি ছক্কার মাঝে ১৩টিই মেরেছেন এই বছর। তার এই বিধ্বংসী রূপ আর ধারাবাহিকতা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্যই তো সুখবর। এবার প্রশ্ন, তিন নম্বর পজিশনটা কি ওপেনার হিসেবে পরিচিত সৌম্যই দখল করবেন?