স্পোর্টস ডেস্ক: বুমরাহর তখন ১২ বছর বয়স। ক্রিকেটের প্রতি দারুণ ঝোঁক। সবসময়ে ছোট্ট বুমরাহর হাতে সেই সময় ঘোরাফেরা করত বল। সকাল, বিকেল, রাতে হাত ঘুরিয়ে বল করত বুমরাহ। ঘরের মধ্যেই অবশ্য ছোটবেলায় খেলত সে।
যশপ্রীত বুমরাহ হঠাৎই সবার আলোচনার কেন্দ্রেবিন্দুতে। তাঁর বোলিং স্টাইল অদ্ভুত। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দলে দিব্যি মানিয়ে নিয়েছেন তিনি। রবিবার মোহালিতে অজি ব্যাটসম্যানদের হাতে গোড়ার দিকে খুব মার খেয়েছিলেন। কিন্তু পরের দিকে দারুণভাবে ফিরে আসেন। বল হাতে মারাত্মক সব ইয়র্কার করতে পারেন তিনি। ইয়র্কার দেওয়া কিন্তু মোটেও সহজ ব্যাপার নয়। ইয়র্কার যদি ঠিকঠাক না পড়ে, তাহলে ব্যাটসম্যান বোলারকে গ্যালারিতে ছুড়ে ফেলতে পারেন। তাই ইয়র্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে বোলারদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। বুমরাহ কিন্তু বলে বলে ইয়র্কার দিতে পারেন। বলা যেতে পারে চোখ বন্ধ করে ইয়র্কার দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে বুমরাহর। জানেন কি বুমরাহ কীভাবে ইয়র্কার দিতে শিখলেন? কীভাবে রপ্ত করলেই এই দক্ষতা?
বুমরাহর তখন ১২ বছর বয়স। ক্রিকেটের প্রতি দারুণ ঝোঁক। সবসময়ে ছোট্ট বুমরাহর হাতে সেই সময় ঘোরাফেরা করত বল। সকাল, বিকেল, রাতে হাত ঘুরিয়ে বল করত বুমরাহ। ঘরের মধ্যেই অবশ্য ছোটবেলায় খেলত সে। ছেলের বল হাতে এই দস্যিপনায় মাঝে মধ্যে বিরক্ত হতেন মা দলজিৎ বুমরাহ। কিন্তু ছোট্ট ছেলেটিকে বাইরে খেলতে যেতে দেবেন না মা। কারণ বাইরে রোদের প্রখর তেজ। তাই মা ছেলেকে বলেছিলেন, ‘‘তুমি ঘরে খেলতে পার। কিন্তু শব্দ করা চলবে না।’’
দুপুরে মা দলজিৎ তা হলে একটু ঘুমিয়ে নিতে পারবেন। ছেলে খেললে, শব্দ করলে তাঁর ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। যশপ্রীত বুমরাহ তো পড়লেন মহাবিপদে। ঘরের ভিতরে বল হাতে খেলবেন অথচ শব্দ হবে না, এ কীভাবে হয়! বুমরাহ নিজেই উপায় বের করলেন। ঘরের দেওয়াল আর মেঝে যেখানে এসে মিলেছে, বুমরাহ সেই সংযোগস্থলেই বল ছুড়তেন। সেই সংযোগস্থলে বল পড়ে যখন ফিরে আসত বুমরাহর হাতে, তখন শব্দ হতই না। প্রথমটায় বল ঠিক জায়গায় রাখতে পারত না ছোট্ট ছেলেটি। পরে সময় যত গড়িয়েছে ততই নির্ভুল নিশানায় বল রাখতে শিখে গিয়েছিল বুমরাহ। আর ছোটবেলার এই শিক্ষার জন্যই এখন এত ভাল ইয়র্কার দিতে পারেন বুমরাহ।-এবেলা
২৬ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর]