মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৬, ০২:৫৭:২৫

বিএনপি নেতা বাবর হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

বিএনপি নেতা বাবর হত্যায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড

লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতা বাবর মিয়া হত্যা মামলায় ১১ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪ আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সাইদুর রহমান গাজী এ আদেশ দেন।

মৃত্যৃদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আলম, মহিউদ্দিন, মিরাজ, মঞ্জু, মাইন উদ্দিন, মোর্শেদ আলম, মাসুদ, কালা মুন্সি, সাইফুল ইসলাম মামুন, আব্দুস সহিদ ওরফে ভুট্রো, আবুল বাশার। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, জামাল, নুরুল হুদা, আলী হোসেন নসু ও নুরুল হক।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের ৮ মার্চ গভীর রাতে সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের তিতারকান্দি এলাকার ভুঁইয়ার হাট বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জের ধরে ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক বাবরকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ১০ মার্চ নিহতের ভাই নুরুল আলম বাদি হয়ে ২০ জনকে আসামি করে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা (মামলা নং-৮) দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ৩ আসামির উপস্থিতিতে ১১ জনকে মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত গলায় ফাঁসি ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ও অর্থদণ্ডের আদেশ দেন। অর্থদণ্ড আদায়ে ব্যর্থ হলে বিভিন্ন মেয়াদে সাজার আদেশ দেন আদালত। পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আসামি পক্ষের মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ও আবুল বাশার। রাষ্ট্র পক্ষের মামালা পরিচালনা করেন লক্ষ্মীপুর জজকোর্টের এ পি পি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম।

আসামি পক্ষের আইনজীবী হুমায়ুন কবির রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, নুরুল হক নামের এক আসামির পক্ষে তিনি লড়েছেন তাকে আদালত খালাস করে দিয়েছেন।

অপর আইনজীবী আবুল বাশার অভিযোগ করে বলেন, এটি একটি রাজনৈতিক মামলা, বাদী পক্ষ দাবি করেছেন বাবরকে পরিকল্পিতভাবে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৩ জন সাক্ষি রয়েছে। প্রসিকিউশনের দাবি ছিল ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে সাইফুল ইসলাম মামুনকে টর্চার করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী লক্ষ্মীপুর জজকোর্টের এ পি পি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, ২০০৩ সালের ৮ মার্চ গভীর রাতে মাওলানা বাবর মিয়াকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। আদারত দীর্ঘ শুনানি শেষে ১১ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অপর ৪ আসামিকে খালাস প্রদান করেন।
৩০ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে