সোমবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৭, ১১:৩২:৫৪

আমি এখন সেলিব্রেটি, লন্ডনে আমার অনেক বন্ধু হয়েছে : নীলা

আমি এখন সেলিব্রেটি, লন্ডনে আমার অনেক বন্ধু হয়েছে : নীলা

নারায়ণগঞ্জ থেকে : মিডিয়ার কারণে যেমন আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, তেমনি আবার মিডিয়ার কারণে সেলিব্রেটি হয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নুর হোসেনের ‘বান্ধবী’ বলে খ্যাত জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা।

মিডিয়ার কারণে তার সংসার তছনছ হয়ে গেছে অভিযোগ করে নীলা বলেন, ‘তবে আমি মিডিয়ার কারণে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, তেমনি আবার মিডিয়ার কারণে সেলিব্রেটি হয়েছি।  দেশে-বিদেশে আজ অনেকে চেনে আমাকে। লন্ডনে আমার আজ অনেক ফ্রেন্ড-শুভাকাক্সক্ষী সৃষ্টি হয়েছে।’

সাত খুনের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নীলা। তিনি বলেছেন, শুধু নূর হোসেন নন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবার শাস্তি কার্যকর চান তিনি।

নীলা বলেন, ‘কিছু কিছু মিডিয়া লেখে আমি নাকি নুর হোসেনের রক্ষিতা। বিয়ের পর একজন স্ত্রী কীভাবে স্বামীর রক্ষিতা হয়?’

নুর হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে দাবি করে এর সাক্ষীও হাজির করেন নীলা। বলেন, ‘নুর হোসেনের সাথে আমার বিয়ে হয়েছে এটা নারায়ণগঞ্জের জনপ্রতিনিধি, সাংসদ, কাউন্সিলরসহ নারায়ণগঞ্জবাসী সবাই জানে। বিয়ের পর একজন নারী কীভাবে কারো রক্ষিতা হয় সেটা আমার প্রশ্ন।’

সোমবার রায় ঘোষণার পর সাত খুনের কারণে সাতটি পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে উল্লেখ করে নীলা বলেন, ‘উপার্জনক্ষম মানুষগুলো হারিয়ে পরিবারগুলো এখন পথে বসে পড়েছে। আমি অন্তর থেকে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি, নুর হোসেনসহ সবার শাস্তি কার্যকর চাই।’

জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা নূর হোসেনের ‘রক্ষিতা’ ছিলেন বলে কিছু কিছু গণমাধ্যমে খবর এসেছিল। কোথাও কোথাও আবার তাকে বান্ধবী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সে সব সংবাদ নাকচ করে তিনি নূর হোসেনের স্ত্রী বলে দাবি করেন। নীলা জানান, সাত খুনের একজন কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ছিলেন তার বিয়ের উকিল বাবা। তবে মিডিয়ায় তাকে রক্ষিতা বা যেভাবেই তুলে ধরা হোক না কেন, তাতে একটা লাভও হয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, তিনি এখন সেলিব্রিটি।

সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সাবেক নারী কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা গত বছরের মে মাসে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা জুয়েল হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। প্রায় দুই মাস পর জামিনে মুক্তি হন তিনি।

এর আগে গত ১৮ মে নীলাকে সাত হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি নূর হোসেন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকের পর তাকে ছেড়ে দেয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

এলাকাবাসী জানায়, নীলা নাসিক ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর। ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর নির্বাচনের কিছুদিন পর থেকেই ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেনের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। নূর হোসেনের স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন মহলে প্রভাব বিস্তার ছাড়াও কেন্দ্রীয় বেশ কয়েকজন রাজনীতিক নেতা এবং প্রশাসনের অনেক কর্তা ব্যক্তির সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল।

এ নিয়ে স্বামী সায়েমের সঙ্গে বিরোধ দেখা দিলে ২০১৩ সালের ২৫ জুন তাদের ডিভোর্স হয়। গত ১৮ মে নীলাকে সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদে জন্য আটকের পর ছেড়ে দেয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

১৬ জানুয়ারি ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসএস

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে