রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০১:৪২:৫০

আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে প্রার্থীর ছড়াছড়ি

আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে প্রার্থীর ছড়াছড়ি

কবীর হোসেন চান মিয়া/মজিবুর রহমান, নেত্রকোনা থেকে : একাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে নেত্রকোনা-৩ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে মনোনয়ন দৌড়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির এক ডজন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। কেন্দুয়া ও আটপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে বড় দুই দলেই কোন্দল রয়েছে।

নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ হিসাব-নিকাশ কষছেন। প্রার্থীর অনুসারীরা পোস্টার ও ফেস্টুনের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রার্থীদের কর্মকাণ্ড ও গুণকীর্তন প্রচার করছেন। তবে এ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়া অন্য কোনো দলের শক্তিশালী প্রার্থী নেই।

সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে যে কয়েকজন নেতা মাঠে সক্রিয় হয়ে কাজ করছেন তাদের মধ্যে অন্যতম আওয়ামী লীগ থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য ইফতিখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু। তিনি দানবীর হিসেবে পরিচিত। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি ষাঁড়ের লড়াই ও জুয়ার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছিলেন। বর্তমানে কেন্দুয়া ও আটপাড়া উপজেলায় প্রকাশ্যে ষাঁড়ের লড়াই ও জুয়া খেলা নেই। তবে তিনি বেশির ভাগ সময় ঢাকায় অবস্থান করায় সাধারণ মানুষসহ নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ একেবারেই কম।

বর্তমান এমপি’র কাছের মানুষ রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমাদের এমপি একজন সৎ ব্যক্তি। তার প্রচেষ্টায় এলাকায় বহু উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। দল থেকে তিনি আবারো মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে জয়ী হবেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।

কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনার ঐতিহ্যবাহী উকিল পরিবারের সন্তান তিনি। কেন্দুয়া-আটপাড়া রাজনৈতিক অঙ্গনে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তৃণমূল ভোটে জয়ী হলেও শেষ পর্যন্ত দলের মনোনয়ন পাননি তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দুয়া ও আটপাড়া চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। গ্রামে গ্রামে করছেন গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক।

জনপ্রতিনিধি না হয়েও তিনি এলাকার বন্যাদুর্গতদের ছাড়াও প্রতিবন্ধী, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার প্রচেষ্টায় বহু শিক্ষা, ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে। স্বামীর পাশাপাশি সংসদীয় এই আসনটিতে নৌকার পক্ষে ব্যাপক প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অপু উকিল।

এ ব্যাপারে অসীম কুমার উকিল বলেন, এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে থাকতে চাই। তাই সময়-সুযোগ পেলেই তাদের কাছে ছুটে যাই। আমরা রাজনীতি করি, আমদের শক্তিই জনগণ। তাই যত বেশি জনগণের পাশে থাকা যায়, সেই চেষ্টা করি। আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন দেবেন সভানেত্রী শেখ হাসিনা। আমিও দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। রাজনীতির ময়দানে আমার অর্জনটুকু জনপ্রতিনিধি হয়ে এলাকাবাসীর মাঝে বিকশিত করতে চাই। দল থেকে যাকেই মনোনয়ন দেয়া হয় আমরা দলের হয়ে তার পক্ষে কাজ করব।

অপরদিকে ২০০১ সালে বিএনপি জোট সরকার ক্ষমতায় এলে এই আসনের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা নির্যাতনের শিকার হন। দলের এই দুঃসময়ে ২০০২ সালের দিকে আওয়ামী লীগের কাণ্ডারি হয়ে আবির্ভাব ঘটে বিশিষ্ট শিল্পপতি সমাজসেবক সামসুল কবীর খানের। দুর্দিনে নেতাকর্মীদের পাশে থাকায় অনেক নেতাকর্মী তাকে ভুলতে পারেন না। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বার বার আলোচিত হচ্ছেন তিনি। এলাকায় তার জনপ্রিয়তা ব্যাপক।

গত ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে উপজেলা আওয়ামী লীগকে সার্বিক সহযোগিতা করে স্থানীয় রাজনীতির মাঠে আলোচনায় নতুন ঝড় তুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে তিনি নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সভা-সমাবেশ ছাড়াও তিনি নিয়মিতভাবে বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করছেন। অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনেও উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে আসনটি যাতে আওয়ামী লীগেরই থাকে সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান।

মনোনয়ন পেলে বিজয়ী হয়ে এ আসনটি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেবেন এবং অতীতে ও বর্তমানের চেয়ে এলাকায় বেশি উন্নয়ন ঘটানোসহ অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবেন বলে জানান তিনি। এছাড়া সাবেক এমপি মঞ্জুর কাদের কোরাইশী এবারো দলের মনোনয়ন লাভের আশায় কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন। এলাকায় গণসংযোগও করছেন।

মঞ্জুর কাদের কোরাইশী বলেন, বর্তমানের তুলনায় আমি এমপি থাকাকালে এলাকায় উন্নয়ন বেশি হয়েছে। দলের নেতাকর্মীরা আমাকে পছন্দ করে। এবারো যদি দলের মনোনয়ন পাই তাহলে বিপুল ভোটে জয়ী হবো। আটপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের  চেয়ারম্যান খায়রুল ইসলামও এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি প্রয়াত গণপরিষদের সদস্য, নেত্রকোনা মহকুমা প্রতিষ্ঠাতা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও  মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি বলেন, তার প্রচেষ্টায় আটপাড়া উপজেলায় গত ইউপি নির্বাচনে সবক’টি ইউনিয়নে নৌকা মার্কার জয় হয়েছে।

কেন্দুয়া-আটপাড়াবাসীর সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করার কথা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, দলের মনোনয়ন পেলে এবং নির্বাচিত হতে পারলে সরকারে চলমান উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখতে কাজ করে যাবো। এ আসনে দলের মনোনয়ন চাইবেন জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও আটপাড়া উপজেলার বাসিন্দা কেশব রঞ্জন সরকার। তিনি বলেন, আমাকে মনোনয়ন দিলে জয়ী হবো এবং সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাবো।

এছাড়াও আওয়ামী লীগ থেকে বিশিষ্ট শিল্পপতি ও জনতা ব্যাংকের পরিচালক নাগিবুল ইসলাম দিপু, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি অনলবর্ষী বক্তা অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনমত গড়ে তুলতে কাজ করছেন।

বঙ্গবন্ধুর সহচর ও আওয়ামী লীগের সাবেক ৪ বারের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট এম জুবেদ আলীর পুত্র আবুল বাশার মো. আমিরুল ইসলাম তুষারও এ আসনে নৌকার মাঝি হতে কেন্দ্রে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম মো. জাহাঙ্গীর চৌধুরী, কেন্দুয়া পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুল হক ভূঁইয়া, সাবেক ছাত্রনেতা আলমগীর হাসান ভূঁইয়ার নাম শোনা গেলেও তারা আলাদা ভাবে মাঠে এখনো নামেননি।

অপরদিকে বিএনপি থেকে ২০০৮ সালে চারদলীয় ঐক্য জোটের প্রার্থী হয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী ভোটে লড়েছিলেন। ওই নির্বাচনে তিনি জেলার পাঁচটি আসনের অন্য জোট প্রার্থীদের চেয়ে সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্ত হয়েছিলেন। হেরে গেলেও তিনি মাঠ ছাড়েননি। দলের দুঃসময়েও দুই উপজেলার নেতাকর্মীদের পাশে থেকে করে যাচ্ছেন সাহায্য সহযোগিতা। বিভিন্ন সময়ে দলীয় আন্দোলন বা কর্মকাণ্ড করতে গিয়ে একাধিক মামলার আসামি হয়েছেন তিনি।

এ আসনে বিএনপি সম্ভাব্য প্রার্থীদের আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন তিনি। আলহাজ ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী বলেন, বিএনপির একজন কর্মী হয়ে এলাকার জনগণের সেবা করার চেষ্টা করি সব সময়। যতটুকু সম্ভব পাশে থাকি। এলাকার মানুষ আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। বিএনপির চেয়ারপারসন ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জনসম্পৃক্ত হতে সব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এলাকায় জনগণের পাশে থেকে তার নির্দেশ পালন করছি।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন বিএনপি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে। নির্বাচন ও আন্দোলন প্রস্তুতি হিসেবে সদস্য সংগ্রহ এবং নবায়ন কার্যক্রম চলছে। সক্রিয় করা হচ্ছে দলের নেতাকর্মীদের। দলের চেয়ারপারসন ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যাকেই মনোনয়ন দেবেন আমরা তার হয়ে কাজ করবো। মনোনয়ন চূড়ান্ত হলে দলের মধ্যে কোনো গ্রুপিং থাকবে না।

এদিকে উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া দুলাল এবারও দল থেকে মনোনয়ন চাইবেন। সে লক্ষ্যে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সমর্থন আদায়ের জন্য এলাকায় গণসংযোগ করছেন। দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া দুলাল জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমি জনগণের সেবায় কাজ করছি।

এ আসনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ আলমগীরও মনোনয়ন প্রত্যাশী। এ লক্ষ্যে তিনি এলাকায় মসজিদ-মাদরাসায় সাহায্য-সহযোগিতার হাত প্রসারিত করছেন। তিনি মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রের সঙ্গে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। মাঝে মধ্যে এলাকায়ও আসছেন। তিনি বলেছেন, দলের মনোনয়ন পাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি চেয়ারপারসন আমাকে মনোনয়ন দেবেন আর মনোনয়ন পেলে আমি বিপুল ভোটে জয়ী হবো।  

এছাড়া জেলা বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আহমদ খান এফসিএ দীর্ঘদিন ধরে মাঠে রয়েছেন। এলাকার শিক্ষার মানোন্নয়নে তার ভূমিকা প্রশংসনীয়। এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা ছাড়াও তিনি ‘ইডিএ’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলছেন। কেন্দুয়া উপজেলাসহ নেত্রকোনা সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করছেন।

বিভিন্ন সেমিনার, উপবৃত্তি ও শিক্ষা সফর ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার আয়োজন করে চলছেন দীর্ঘদিন ধরে। সমাজে একজন সাদামনের মানুষ হিসেবে পরিচিতি রয়েছে তার। অর্থনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করে অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তিনিও দলের মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে বলেন দীর্ঘদিন ধরে দলে মনোনয়ন চেয়ে আসছি। আশা করছি, এবার দলে মনোনয়ন পাবো। মনোনয়ন না পেলেও দলের জন্য কাজ করে যাবেন বলেও জানান তিনি।

নেত্রকোনা জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আটপাড়া উপজেলার বাসিন্দা ডি জেড এম হাসান বিন শফিক (সোহাগ) মনোনয়ন প্রত্যাশী। তরুণ এই রাজনীতিবিদ মনোনয়ন লাভের জন্য কেন্দ্রে লবিংয়ের পাশাপাশি এলাকায়ও ঘন ঘন আসছেন।

প্রয়াত এমপি নুরুল আমীন তালুকদারের পুত্র ও বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা রায়হান আমীন তালুকদার রনির নাম এক সময়ে আলোচিত থাকলেও এখন তিনি ভাটার টানে। এলাকায়ও আসেন না।

বিশিষ্ট্য শিল্পপতি ও পেশাজীবী সংগঠন জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারস্‌ ফোরামের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. মোস্তুাফা- ই-জামান (সেলিম) মনোনয়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। সাবেক এই ছাত্রনেতা জানান, ছাত্রজীবন থেকে বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হয়ে ’৯১-এর স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিয়েছি। বিভিন্ন মসজিদ-মন্দিরসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দান-অনুদান এবং এলাকার বহু যুবককে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছেন।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ায় এ আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া। ওই নির্বাচনে তিনি নিজ কেন্দ্রসহ প্রতিটি কেন্দ্রে চরম ভরাডুবি হয়েছিলেন। নির্বাচনের পর তাকে আর এলাকায় আসতে দেখা যায়নি।

স্বাধীনতার পর থেকে এ আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি ছিল। বিএনপি প্রতিষ্ঠায় আসনটি চলে যায় বিএনপির কব্জায়। এরপর জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা হলে তাদের দখলে থাকে কিছু দিন। এর পর আবার আওয়ামী লীগের দখলে আসে এ আসনটি। ১৯৯১ সালে বিএনপি, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ এবং ২০০১ সালে নির্বাচনে এ আসনটি বিএনপি আবার জয় পেয়ে দলের শক্ত ঘাঁটি করে নেয়।

কেন্দুয়া-আটপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় ১৫৯ নং ও নেত্রকোনা-৩ আসন। এ আসনে মোট ভোটার ৩২২৫২৩ জন। এর মধ্যে কেন্দুয়া উপজেলায় পুরুষ ১০৮৩৫৭ ও মহিলা ১০৭৯৪০ জন। অপরদিকে আটপাড়া উপজেলায় পুরুষ ৫৩৫৩৩ ও মহিলা ৫২৬৯৩ জন। বর্তমানে হালনাগাদের কাজ চলছে। তাই ভোটার সংখ্যা কিছুটা বাড়বে বলে জানায় কেন্দুয়া নির্বাচন কর্মকর্তা। এমজমিন

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে