তারেক পাঠান, পলাশ প্রতিনিধিঃ নরসিংদীর পলাশ উপজেলার পারুলীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে ইভটেজিং এর দায়ে একই বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র সুমনকে ৭ দিনের জেল প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দেবনাথ মোবাইল কোটে বসিয়ে এ সাজা প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত সমুন পারুলীয়া মোড় এলাকার মাসুদ মিয়ার ছেলে।
থানা সূত্রে জানা যায়, সুমন ওই বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে দীর্ঘদিন যাবত স্কুলে যাওয়ার পথে উক্তত্য করে আসছে । এক পর্যায়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পর স্কুলের ভেতরে ওই ছাত্রীকে স্কুলের মধ্যে বিরক্ত ও উক্তত্য করে। ঘটনার পর অভিযোক্ত সমুনকে পলাশ থানার এস আই জাহিদ তাকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রেরণ করে। পরে ওই মেয়ের ব্যক্তব্য অনুযায়ী তাকে এ সাজা প্রদান করা হয়। তবে এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে,পারুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মো: আব্দুল আলী সাহেবের মোবাইলে বার বার কল দিয়ে ও ওনার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে অমিত দেবনাথ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সামাজিক দিক চিন্তা-বিবেচনা করে অভিযুক্ত সুমনকে মাএ কয়েক দিনের কারাদন্ড দেওয়া হয়ছে। এর পর থেকে আমি পলাশে যত দিন আছি যদি কোন বখাটে যুবক মেয়েদের কে ইভটেজিং করে, আর আমি যদি তা জানতে পারি তাহলে এই ইভটেজিং আইনে বখাটে যুবকদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে ।
উল্লেখ্য থাকে যে, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দেবনাথ পলাশে আসার পর থেকে কোথাও কোন প্রকার অনিয়ম,দুর্নীতি, জানতে পারলে ওনি তা সঙ্গে-সঙ্গে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নিয়ে তা সমাধান করার চেষ্টা করেন ।
২৬ জানুয়ারি ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস